সুখে থাকলে ভূতে কিলায় 10% Beneficiary To @shy-fox & 5% @ abb-school
আস্সা।লামু আলাইকুম । আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের এপার ওপার বাংলার সকলে কেমন আছেন? আমি আলহামদুল্লিলাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভাল আছি । আজ আমি একটি সত্য ঘটনার অবলম্বনে একটি গল্প লিখব। যার প্রথম এপিসোড আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
মেয়েটিন নাম হালিমা। পড়া লেখা বেশী দূর অবদি করেনি। হালিমারা হলো ৪ বোন ও ১ ভাই। হালিমাদের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ। হালিমার মা-বাবার আর্থিক অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। হালিমার বাবা গ্রামে চাষাবাদ করত। তাই তিনি তার আর্থিক অবস্থার জন্য ছেলে-মেয়েদের বেশী লেখাপড়া করাতে পারেনি। হালিমার বড় দুই বোনকে গ্রামে যাকে যার কাছে পেরেছে বিয়ে দিয়েছে। হালিমা ছিল বোনদের মধ্যে তৃতীয় ও ছোট। আরও একটি বোন ও ভাই আছে হালিমার।
ওর ছোট বোনটি ছিল ওর পিঠাপিঠি । একদিন হঠৎ হালিমার বাবা এসে হালিমার মাকে বলে যে, হালিমার জন্য একটা ভালো বিয়ের সমন্ধ এসেছে। হালিমার মা বিস্তারিত জিজ্ঞেস করলে, হালিমার বাবা বলল যে, ছেলে একটু হালিমার থেকে বয়স বেশি, তবে ছেলেটির স্বভাব ও চরিত্র ভালো। ছেলেটি হালিমাকে কোথাও হয়ত দেখেছে। ছেলেটি আবার একজন ড্রাইভার। সে স্থানীয় একজন এমপির গাড়ী চালান। আর সেই সুবাদে তাকে নানান জায়গায় যেতে হয়। ছেলেটির নাম রায়হান।
ছেলেটি হঠাৎ একদিন হালিমাদের গ্রামে কোন একটি কাজে গিয়েছিল। সেখানে হালিমাকে দেখে পছন্দ করে ফেলে। তখন হালিমর বাবা মা মনে করেন, তাদের যেই আর্থিক অবস্থা সেই তুলনায় এই ড্রাইভারকে হয়তো আল্লাহই তার মেয়ের জন্য পাঠিয়েছেন । আর তাই হালিমার মা হালিমার বাবাকে বলল তুমি আর দেরি না করে একটু খোঁজ খবর নিয়ে সামনের দিকে এগুতে থাকো। হালিমার বাবাও তাই মেয়েকে ছেলেটির সাথে বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করলো। মেয়ের মতামত নেওয়ার প্রয়োজন মনে করলো না। তাই হালিমার বাবা ছেলেটির ভালো করে খোঁজ খবর করে এবং জানতে পারে যে রায়হান একজন ভালো ও ভদ্র ছেলে। তবে বয়সে একটু বড়।
একদিন বিয়ের ডেট ঠিক হয়ে যায়। অবশেষে হালিমা ও রায়হানের বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর হালিমাকে রায়হান ঢাকার বাসায় নিয়ে আসে । এভাবে বিয়ের কিছুদিন গেল কেটে। হালিমার হাসবেন্ড হালিমাকে অনেক ভালোবাসত। তবে যেহেতু সে এমপির কাজে বেশী ব্যস্ত থাকে তাই হালিমাকে কোন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য বলে। হালিমা যদি চায় পড়াশুনাও করতে পারে। এতে রায়হানের কোন আপত্তি নেই। রায়হান চায় হালিমা নিজেকে প্রতিষ্ঠি করুক। তখন কি রায়হান জানত যে, নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা শুরু হয়ে গেছে? (চলবে)।
আজ এখানেই রাখছি। রছি আমার এই গল্পটি যদি আপনাদের কাছে ভাল লেগে থাকে তাহলে এর পরের অংশ আবারও আপনাদের জন্য নিয়ে আসবো সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গল্পের প্লট টা ভাল ছিল।যদিও পরের পর্বের কিছুটা আচ করতে পেরেছি মনে হচ্ছে। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার পোস্টের গল্পটি পড়েছেন। আরো জেনে ভালো লাগলো আপনার কাছে গল্পটা ভালো লেগেছে। আমি নতুন ভাইয়া কতটুকু পেরেছি জানিনা তবে চেষ্টা করেছি। কোথাও কোন ভুল হয়ে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। শুভকামনা আপনার জন্য ভাইয়া।
না ভুল হয়নি।বেশ সুন্দর লিখেছেন। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে এমন ঘটনা আমাদের দেশে আজ অনেক বেশি। অনেক ক্ষেত্রে আমি লক্ষ্য করে দেখেছি ছেলেরা মন প্রাণ দিয়ে তার বউকে ভালোবাসে কিন্তু সেই সুযোগে বউ পা বাড়ায় অন্যদিকে। যখনই কোন মানুষ বউকে বেশি ভালোবেসে পড়ার জন্য সুযোগ করে যায় দেখা যায় সেই সুযোগটা তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। বিস্তারিত পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনি সময় নিয়ে আমার গল্পটি পড়েছেন। এবং খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। আপনি ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন টিভি খুললে দেখা যায় কত ধরনের ঘটনা। আসলে ভাইয়া ভালবাসার ক্ষেত্রে ছেলে কি আর মেয়ে কি যারা ভালোবাসা বোঝে না তার ভালবাসার মূল্য দিতে জানে না। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুব ইন্টারেস্টিং ছিল গল্পটি তবে পরের কি হবে সেটা বোধহয় একটু হলেও আন্দাজ করতে পারছি তবুও পরবর্তী পার্টের জন্য অপেক্ষায় থাকবো।
ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন।