বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হতে কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো আমার প্রিয় কমিউনিটির ভাই বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। সবাই সবসময় ভালো থাকেন আমি এই দোয়াই করি। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আসলে যতই দূরে থাকিনা কেন মনে হয় যেন আপনাদের সবার কাছেই আছি। আর সবার আরও কাছে থাকার জন্য হুট করে আমার আরও একটি পোস্ট নিয়ে এলাম আপনাদের মাঝে। দীর্ঘ এক সপ্তাহ এই কিউনিটিতে কাজ করা থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন ছিলাম। না হচ্ছিল কোন কথাবার্তা আর না পোস্ট দেয়া। আবারও নতুন করে শুরু হয়ে গেল আমাদের সকল কাজকর্ম । আর সেই থেকেই আজও আমার আরও একটি পোস্ট আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হলাম। আসলে ফটোগ্রাফি করা এখন আমাদের সবার একটি নেশায় পরিনত হয়েছে। যে যেখানে যাইনা কেন যাই দেখি ইচ্ছে হয় মোবাইলে ক্যাপচার করে রাখি। আর ফটোগ্রাফি করতে করতে এতই করে নিয়েছি যে মোবাইলে আর কোন জায়গা নাই। আবার এখানে ফটোগ্রাফিগুলো ফেলেও দিতে ইচ্ছে করে না।তাই ভাবলাম আজ একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আর সেই থেকে আজ আমার ফটোগ্রাফি নিয়ে আসা।
আসলে আমাদের এই বাংলাদেশ অপুরূপ রূপে রূপায়িত। আর এ দেশের সকল কিছু দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। এই অপুরূপ সুন্দর প্রকৃতির দেশে জন্মগ্রহন করে আমি সত্যি মুগ্ধ। কিন্তু আমি যেই জন্মভূমিকে ভালোবাসি এইতো সেই জন্মভূমি নয়। এই জন্মভূমি আসতে আসতে হিংসা,স্বার্থপরতা ও দূরনীতিতে ভরে যাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে এদের জন্য দেশের প্রকৃতির সৌন্দয্য। আসলে মোবাইলে অনেক ছবি আর ভিডিওগ্রাফি জমা রয়েছে যা কবে আপনাদের মাঝে পোস্ট করবো মোবাইলে চোখ গেলেই শুধু এই কথাই ভাবি। আর এই ভাবা থেকেই আজও জাদুঘরের কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। জানি আপনাদেরও অবশ্যই ভালো লাগবে।জাদুঘরের এত অপূর্ব জিনিসগুলোর ফটোগ্রাফি আমাকে সত্যি মুগ্ধ করেছে। তাইতো মোবাইলে বার বার জাদুঘরের ফটোগ্রাফিগুলো দেখি। আর ভাবলাম আমার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনাদেরকেও একটু দেখার সুযোগ করে দেই যে আমাদের বাংলাদেশে জাদুঘরে কি কি জিনিস দেখার মতো রয়েছে। যা আপনাদেকেও মুগ্ধ করবে। তাহলে চলুন আজ আমার ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আসি।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হতে কিছু ফটোগ্রাফি
প্রথমে আপনারা যে ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আগের দিনের রাজা বাদশাহদের পালঙ্ক। শুনেছি এটি নাকি জমিদার ও আগের দিনের রাজা বাদশাহ্দের ব্যবহার করা হতো। জাদুঘরে এই পালঙ্কগুলো অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যা দেখতে হাজারও দর্শনাথী ভীড় হয়ে মুগ্ধ হয়ে দেখছে। আসলে এত সুন্দর জিনিসগুলো মোবাইলে ফটোগ্রাফি করে রাখতেও ভালো লাগে।যা মাঝে মাঝে দেখা যায়। আর অন্য সবাইকে দেখানো যায় যে আমাদের দেশের জাদুঘরে কি কি রয়েছে।
এবার যেই ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি হলো আগের দিনের জমিদার ও রাজা বাদশাহরা ও মন্ত্রী ব্যবাহার করতো এই সিংহাসন। শুধু ছোট বেলা এই সিংহাসন গুলোর অনেক গল্প শুনেছি বা বিভিন্ন মুভীর মধ্যে দেখেছি। কিন্তু সামনা সামনি কখনও দেখা হয়নি। কিন্তু জাদুঘর এমন একটি জায়গা যেখানে গেলে পুরনো সকল ঐতিহ্য দেখা যাবে। যা দেখে সত্যি মনটা ভরে যায়। এত সৌন্দয্য ভরা সব জিনিস যা একদিনে ফটোগ্রাফি করে শেষ করা যাবে না। আর সেখানে ফটোগ্রাফি করতে আমাদের নিষেধ করে ছিল।কিন্তু এত সুন্দর মুগ্ধকর সবকিছুর ফটোগ্রাফি না করে কি থাকা যায়। তাই সব লুকিয়ে ফটোগ্রাফি আর ভিডিওগ্রাফি করতে হয়েছে।
এখন আরও একটি ইতিহাস হয়ে থাকা ফটোগ্রাফি দেখছেন। ১৯৭১ সালে কত মুক্তিযোদ্ধাদের এভাবে হত্যা করে মেরে রাস্তায় রাস্তায় ফেলে রেখে ছিল সেটা যারা নিজের চোখে দেখেছে তারাই বলতে পারবে। বাবার মুখে শুনেছিলাম কিছুটা। তারপর ছবির মধ্যে দেখেছিলাম। যারা ৭১ এর যুদ্ধ দেখেছে তারা এখনও এই ইতিহাসের স্মৃতি ভূলতে পারে না। আমরাতো নিজের চোখে দেখিনি তারপরও কেন যেন এই ভাস্কর্যগুলো দেখে সেই দৃশ্যগুলো কল্পনায় আসলে সমস্ত শরীর কাটা দিয়ে বসে। আসলে যারা দেশের জন্য মাটির জন্য মায়ের জন্য নিজেদের রক্ত ত্যাগ করে গেছেন তাদের জন্য আমার পক্ষ থেকে হাজারও সালাম। তাই মাঝে মাঝে আমি মোবাইলে এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখি। আর নিজের অজান্তেই কল্পনায় হারিয়ে যাই অতীতের সেই না দেখা দিনগুলোতে। আশা করি আমার আজকের এই ফটোগ্রাফিগুলো দেখে আপনাদেরও সেই দৃশ্যগুলো কল্পনায় ধরা দেবে।
এ হলো আরও একটি ফটোগ্রাফি। এই তরোয়ারগুলোও শুধু ছবিতে দেখেছি বাস্তবে কখনও দেখা হয়নি। সেদিন জাদুঘরে গিয়ে এগুলো সামনা সামনি দেখেছি। জাদুঘরে কখনও আমি যেতে চাইতাম না। বলতাম কি আছে দেখার মতো। সেদিন গিয়ে আমি মুগ্ধ। জাদুঘরে অনেক কিছু দেখার জানার আর শেখার আছে। তবে আমি মনে করি এই জাদুঘরে এগুলো অক্ষত সাজানো আছে বলেই আমরা এখনও অনেক কিছু দেখেতে আর জানতে পারছি। যা আমাদের অদেখা আর অচেনা। যারা নতুন প্রজন্ম পৃথিবীতে বড় হচ্ছে তারাতো ডিজিটাল যুগে ডিজিটালভাবে বড় হচ্ছে। এই ইতিহাস সম্পর্কে তাদের জানা দরকার। তাই আমি মনে করি প্রতিটি বাবা মা তাদের সন্তাদের মাঝে মাঝে পড়ালেখার পাশাপাশি এই জায়গাগুলোতে ঘুরতে নিয়ে এই ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে হবে।
এবার যেই ফটোগ্রাফি দেখছেন সেগুলো হলো আগের দিনের অন্ধকারের আলো জালানোর বাতি।আগের দিনের মানুষ এত সুবিধা পায়নি। তখন তার এই কেরসিনের বাতি ব্যাবহার করেছে । আর এই অল্প বাতির আলোতেই আগের দিনের মানুষ পড়ালেখা করেছে। এগুলো এখন আর দেখা যায় না।কিন্তু আগের দিনে এগুলো সবার ঘরে ঘরে ব্যবহার করতো। কমদামী ও বেশী দামী হারিকেন মানুষ ব্যবহার করতো। তখন কেরাসিন তেল হারিকেনে ভরে মানুষ ঘরে আলো জ্বালাতো। তখনকার দিনে মানুষের ঘরে বাতি জ্বলতো হাতে গনা কয়েকজন। বেশীর ভাগ পরিবারি কেরাসিন তেল দিয়ে হারিকেন ব্যাবহার করতো। আসলে এই জিনিগগুলো কখনও হারিয়ে যাবার নয়। এখনকার শিশুরা হয়তো অনেকে এগুলোকে ঠিকমতো চেনেও না। আর নামও জানে না। তবে এই বাতি জ্বালিয়ে কিন্তু অনেক মানুষ লেখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হয়েছে। আগের দিনের মানুষ এতো আলো পায়নি এই আলোতেই সকলের কাজকর্ম হয়ে যেত।
এই হলো রাজাবাদশাহ্ ও জমিদারদের হুক্কা সুরমা দানি আরও অনেককিছু। যা আমিও এখনও নাম জানিনা। আগের দিনে এগুলোর ব্যবহার প্রচুর দেখা যেত। সময়ের ব্যবধানে সব হারিয়ে গেছে। এগুলোর ব্যবহার এখন আর দেখা যায় না। তবে পৃথিবী যত পরিবর্তন হয়েছে তার অবনতিও ততই বেড়েছে। আগের দিনে এত মানুষও ছিল না। আর তাদের চাহিদাও ছিল কম। তাদের মনেও ছিল না কোন প্যাচ। আর এই ঐতিহ্যগুলো গ্রাম গঞ্জেই ব্যবহার প্রচলন ছিল।
এবার যেই বীনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখছেন এগুলোও প্রচলন ছিল তখনকার সময় অনেক। আসলে এই বাদ্য গুলোর তখনকার গানগুলোই ছিল মধুর। আর এখনকার গানগুলো হলো ষ্টেজভাঙ্গা গান। তখনকার এই বাদ্যযন্ত্রের তারের সুরগুলো হৃদয়ে গেঁথে যেত। আমি সবসময় এই গুলোর সুর শুনতে অনেক পছন্দ করি। কত লালনগীতি পল্লিগীতি ভাটিয়ালি মূরশীর্দি, মারফতি, আরও কতকি গানের সূর তোলা হতো এই বাদ্যযন্ত্রগুলো দিয়ে। সেই গানগুলো যেন দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি হারিয়ে যাচ্ছে এই বাদ্যযন্ত্রগুলোর ব্যবহারও।এখন কত নতুন নতুন আপডেড বাদ্যযন্ত্র পৃথিবীতে আসছে। সব পুরনো জিনিস উঠে যাচ্ছে।
কেমন লেগেছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলো? আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলোও অবশ্যই ভালো লেগেছে। আজ তাহলে এখানেই আপনাদের সাথে আমার আজকের ব্লগটি শেষ করছি। আবারও আগামীকাল নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো। আপনাদের সবার সু-স্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ। আমি মাহফুজা আক্তার নীলা । আমার ইউজার নাম @mahfuzanila। আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি স্টিমিট প্লাটফর্মে যোগদান করি ২০২২ সালের মার্চ মাসে। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে যোগদান করে আমি অনেক বিষয় শিখেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু শেখার ইচ্ছে আছে। আমি পছন্দ করি ভ্রমন করতে, ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে। এছাড়াও আমি বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে। মন খারাপ থাকলে গান শুননি। তবে সব কিছুর পাশাপাশি আমি ঘুমাতে কিন্তু একটু বেশীই পছন্দ করি।
বিষয় ফটোগ্রাফি ডিভাইস OPP-A16 ফটোগ্রাফার @mahfuzanila ভৌগলিক অবস্থান ঢাকা, বাংলাদেশ
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
tweeter
জাদুঘরে পুরনো জিনিস গুলো দেখতে আসলেই ভালো লাগে। ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা যায়। যদিও আমার জানামতে এসব জায়গায় ফটোগ্রাফি করা নিষিদ্ধ। যাই হোক আপনার ফটোগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। রাজা বাদশাদের বিভিন্ন জিনিস দেখতে পারলাম। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা যায়। সুন্দর মন্তব্যে জন্য অনেক ধন্যবাদ।
বেশ দারুন কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম আজ। যে গুলো এখন আর সচারচর দেখা যায় না। আপনি খুব সুন্দর করে প্রতিটি ফটোগ্রাফির বর্ণনা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এমন সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন আপু এগুলো সচারচর দেখা যায় না। ধন্যবাদ আপু সবসময় পাশে থাকার জন্য।
আপু অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখলাম আজ।জাদুঘরে থাকা পুরনো জিনিসগুলো দেখতে আসলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পুরাতন কিছু জিনিস দেখতে পেলাম।ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য।
আমারও পুরাতন জিনিস দেখতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আপনার পুরাতন জিনিস ভালো লাগে জেনে খুশি হলাম।সু স্বাগতম আপনাকে।