জ্বরের মুখে ঝাল ঝাল পানিপুরি খাওয়ার অনুভূতি-10% Beneficiary To @shy-fox & 5% @ abb-school
কেমন আছেন সবাই? আশা করি আপনারা সবাই বেশ ভালো আছেন। আমিও আছি আপনাদের দোয়ায়। তবে কয়েকদিন কয়েকদিন যাবৎ অনেক অসুস্থ। চারদিকে এত জ্বরজারী যে কারো কিছুই করার নেই । আর জ্বরের কারনেই গত ক দিন হলো কোন পোস্ট করতে পারিনি। তাই আজ আবার চলে আসলাম। যদিও শাররীক ভাবে তেমন সুস্থ্য হতে পারিনি। তবু এখন হতে চেষ্টা করবো প্রতি নিয়ত আপনাদের সাথে থাকার জন্য। ।
জ্বর জারি হলে কিন্তু মানুষের তেমন রুচি থাকে না। আর আমারও তেমন কোন রুচি ছিল না। কিন্তু বেশ জ্বাল কিছু খেতে মনে চাইতো। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হঠাৎ একদিন মনে হলো আমাদের বাসার নিচের ফোচকা মামার কথা। মামা অনেক দিন যাবৎ আমাদের বাসার নিচে বসে। মামার ফুচকা কিন্তু বিষণ মজা হয়। তাই ভাবলাম আস্তে আস্তে যেয়ে মামার কাছ থেকে একটু পানিপুরি খেয়ে আসি। আর না হয় বাসায় নিয়ে আসি। তো যেমন বলা তেমন করে আস্তে আস্তে চলে গেলাম মামার কাছে।
আমি যখন সেখানে যাই, তখন মামা মাত্র তার গাড়ীটি সাজাচেছ। তো আমি মামাকে বললাম যে মামা আমার জন্য ঝাল ঝাল একটু পানিপুরি বানিয়ে দেন। মামা আমায় দেখে বুঝতে পারলো যে আমি ভিষন অসুস্থ্য। তাই মামা সব কাজ রেখে আমার পানিপুরি আগে ভাগে বানাতে শুরু করলো। আমি আবার মনে করে আমার মোবাইল নিয়ে গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সুস্থ্য হয়ে একটি পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে।
তো মামা বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে পানিপুরি বানাতে শুরু করলো। কি সুন্দর করে পেয়াঁজ মরিচ কেটে নিলো। তারপর সব কিছু দিয়ে ঝাল ঝাল করে পানি পুরি বানাতে শুরু করলো। আমি ও মোবাইল দিয়ে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিলাম। তো আমার কিন্তু মামার পানিপুরি বানানো দেখে মনটা জিভে পানি চলে আসছিল। সাথে সাথে মামার কাছ হতে একটু টক নিয়ে খেয়ে নিলাম। অবশ্য মামার পানিপুড়ির আলাদা একটি ফ্লেভারই আছে। আছে টেষ্ট।
এক সময়ে মামার ঝাল ঝাল পানি পুড়ি বানানো হয়ে গেল। আমি আস্তে আস্তে এক প্লেট খেয়ে দেখি বেশ মজাই কিন্তু হয়েছে। আর জ্বরের মুখে খেতেও বেশ ভালোই লেগেছে। তো আমি ভাবলাম তাহলে আরও এক প্লেট খেয়ে নেওয়া যাক। যেই বলা সেই কাজ। তারপর খেয়ে নিলাম আরও এক বাটি ঝাল ঝাল পানিপুড়ি। আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালোই লাগছিল সে পানিপুড়ি খেতে। অবশ্য এত মজা করে বানায় না পানিপুড়ি। খেয়ে মনটাই ভরে যায়।
জ্বরের মুখে দু দু প্লেট পানিপুড়ি খেয়ে ঝালে আমি ও হা করেছি অনেকক্ষন। তারপর বাসায় এসে কম্বল মুড়ো দিয়ে ঘুমালে ঘাম দিয়ে জ্বর সারে। অবশ্য পরে আবারও জ্বর আসে।
প্রথমেই আপনার সুস্থতা কামনা করছি আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। আসলে বর্তমানে এই জ্বর সবারই হচ্ছে আমাদের ঘরেও আমার দুই ভাইয়ের জ্বর। আপনার এই পোস্টটি দেখে কমেন্ট করতে পারছি না কারণ শুধু জিভে জল আসছে এত এত খাবার দেখে। জ্বরের মুখে এ ধরনের খাবার খেতে সত্যি খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
বেশি পরিমাণে মরিচ যেন ঠান্ডা একটা ভালো ঔষধ বলে আমার কাছে মনে হয়। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি বেশি পরিমাণে মরিচ খেলে ঠান্ডা অনেকটাই কমে যায়। পানিপুরি খাওয়া দেখে তো আর লোভ সামলাতে পারলাম না।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জ্বরের মধ্যে বেশ ভালোই তো দৌড় ঝাপ করছেন। কিন্তু পোস্ট তো করতে দেখি না। আশা করি এখন থেকে নিয়মিত পোস্ট করবেন। পানি পুরি দেখে তো আমার ও বেশ খেতে মনে চাইছে। দেখতো তো বেশ লোভনীয় লাগছে। তবে ভালোই করেছেন। এমন জ্বরে পানি পুরি তো একটু খাওয়াই যায়।
আপনার তো দেখছি আমার মত অভ্যাস আপু। আমারও যখন জ্বর আসে তখন আমিও এই ধরনের ঝাল জাতীয় জিনিসগুলো একটু বেশি পরিমাণে খেতে শুরু করে দেয়। পানিপুরি বিক্রেতা মামা আপনাকে দেখেই বুঝে ফেলেছিল যে আপনি অসুস্থ তাই তাড়াতাড়ি করে আপনাকে একটু বেশি ঝাল দিয়ে পানিপুরি বানিয়ে দিয়েছে।
আমাদের জ্বর আসলে কোন কিছু খেতে ভালো লাগে না।এ সময় সবাই ঝাল জাতীয় জিনিস অনেক পছন্দ করে । আমি ঝাল জাতীয় খাবার গুলো খেতে ভালো বাসি। তাছাড়া পানিপুরি হলে তো কোনো কথাই নেই। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।