হ্যালো আমার প্রিয় কমিউনিটির ভাই বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে ভালোই আছেন। সবাই সবসময় ভালো থাকেন আমি এই দোয়াই করি। আমিও আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের সবার দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ্ ভালোই আছি। আর তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সব সময় শুকরিয়া জানাই আমার নিজের ও পৃথিবীর সবার জন্য। আমরা সবাই যেন সবসয়ম ভালো ও সুস্থ থাকি। চলে এলাম আপনাদের সবার পছন্দ আমারও পছন্দের প্রিয় একটি পোস্ট নিয়ে। আর সেটা হলো ফটোগ্রাফি। ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো দেখতে আমার যেমন ভালো লাগে। আবার ফটোগ্রাফি করতেও আমার আরও বেশী ভালো লাগে।

হ্যাঁ আমার প্রিয় বন্ধুরা আমি সবসময় ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালোবাসি। ফটোগ্রাফি করতে আমি ভালোবাসি বলেই এটি আস্তে আস্তে আমার একটি নেশায় পরিনত হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাইতো যেখানেই যাই যা দেখি শুধু ফটোগ্রাফি করতে মন চায়। মনে হয় পৃথিবীটা এত সুন্দর আর তার পাশাপাশি এই পৃথিবীর সবকিছুই যেন আরও সুন্দর লাগে। তাই যাই দেখি তাই লোভ লাগে। আর তাই ফটোগ্রাফি করে নিজের মোবাইলে বন্দি করে রাখি। কিছুদিন আগে শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়েছিলাম একটি কাজে। আর সেখানে গিয়ে তো আমি মুগ্ধ হয়ে যাই। সেখানে গিয়ে বেশ সুন্দর কিছু দেখতে পেলাম যা আমার কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছে। আর তাই তার থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করতে পেরেছি। অবশ্য আরও ভালো ভালো দেখার মত বা ফটোগ্রাফি করার মত ছিল কিন্তু আমি সময়ের জন্য করতে পারিনি। আজ ভাবছি আমার ভালো লাগার এই ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। আশাা করি আপনাদের সবার ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসি আমার শিল্পকলার বেশ কিছু মনোমুগ্ধকর ফটোগ্রাফি।

প্রথমে আপনারা যেই ফটোগ্রাফিটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি দেখে মনে হচ্ছে যে একটি মহিষ এর ফটোগ্রাফি। এই জিনিসটি দেখে আমি বড়ই অভাগ হয়েছি। কি সুন্দর করে একটি ড্রাম দিয়ে মহিষটি বানিয়ে রেখেছে। দেখতে এটা এত সুন্দর লাগছিল যে কাছে গিয়ে প্রথমে জিনিসটি ভালো করে দেখলাম। এটা দূর থেকে দেখলে কেউ বুঝবে না যে এটি একটি ড্রাম দিয়ে বানানো। তাই কাছে গিয়ে ভালোমত উপভোগ করলাম এবং তারপর একটি ফটোগ্রাফি করে নিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করবো বলে।এবার চলুন আরও একটি অসাধারণ ফটোগ্রাফি দেখে আসি।

এই ফটোগ্রাফিটি দেখে নিশ্চয় আপনারাও সবাই আমার মত মুগ্ধ হয়ে গেছেন।আমিতো সবসময় বলি আমার কাছে প্রতিটি ভালো লাগার জিনিসগুলো আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো। প্রতিটি সুন্দর জিনিসগুলো একা উপভোগ করে মজা নেই। এই সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো যদি সবাই এক সাথে দেখি তাহলে যেন আনন্দটা আরও একটু বেড়ে যায়। এটি হলো বায়স্কোপ এর একটি ছবি। দেখেই আমি চমকে দাঁড়িয়েছি। যদিও এখনও আমার এই বায়স্কোপ দেখার সৌভাগ্য হয়নি। এটি কিভাবে দেখে আর ভেতরে কি দেখায় তাও জানিনা। তবে শুনেছি এটার মধ্যে ছবির নায়ক নায়িকা আরও রাজা রানীদের ছবি দেখা যায়। যাই হোক জিনিসটি আমার কাছে অপূর্ব লেগেছে ।ইচ্ছে হচ্ছিল যে এই জিনিসটি তুলে আমার সাথে করে এনে আমার বাড়িতে সাজিয়ে রাখি ।

ওমা এবার দেখতে পেলাম কতবড় একটি মানুষের মাথা। দেখে খুবই কষ্ট লাগছিল। যদিও জানিনা এটি কিসের মাথা। তবে দেখে মনে হচ্ছিল যেন কোন জীবন্ত মানুষকে এভাবে মাটিতে পুতে রাখা হয়েছিল। এই শিল্পকলার মাঠটির মধ্যে এত সুন্দর ও চমৎকার জিনিসগুলো দেখে আমি এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলাম। আর ভাবছিলাম যে মানুষের মাথায় কি বুদ্ধিরে বাবা। কি সুন্দর করে ভাস্কর্য বানিয়ে মানুষের মনকে আকৃষ্ট করে। আপনারা সামনা সামনি দেখলে আমার মত অবাক হয়ে যেতেন। এবার চলেন যাই আরও কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফির গ্যালারীতে।

এবার দেখতে পাচ্ছেন কি সুন্দর একটি গরুর খাবারের খ্যারের গোলা ও একটি হাতল। দেখে যেন মনে হচ্ছে আমি কোন গ্রামে আছি।আসলে এই ধরনের জিনিস আমার দেখতে বেশ ভালো লাগে। দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোন শুটিং করা হয়। বড় একটি মাঠ তার মধ্যে তার আশে পাশে কত সুন্দর পরিবেশ ও বড় বড় সবুজ গাছপালা দেখে আমার মনটা জুড়িয়ে গিয়েছে। যদিও কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম প্রচন্ড গরমের মধ্যে। আর তখন ছিল সকাল ১০টার কাঠভাঙ্গা রোদ। তারপরও কেন যেন গরম লাগছিল না। এত সুন্দর প্রকৃতির মাঝে আমি নিজেকে এই কাঠভাঙ্গা রোদে হারিয়ে ফেলেছি।

এবার দেখতে পাচ্ছেন একটি ছনের বাধাঁনো কি অপূর্ব বেড়ার ঘর। নানা এই ঘরটির মধ্যে কিন্তু কেউ থাকেনা । জাস্ট সাজানো রয়েছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে যে এই ঘরটিতে মানুষজন বসবাস করে। কি সুন্দর সাজানো গোছানো ঘরটি দেখে মনে হচ্ছিল সত্যি হয়তো এটি একটি গ্রামের বাড়ি। আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগছিল। দেখে আমিতো এই প্রচন্ড রোদে ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম আর প্রতিটির ফটোগ্রাফি করছিলাম। তখন ঐখানের ভাইয়ারা বলছিল আপু বিকেলে আসলে আরও ভালো লাগতো। হ্যাঁ এই রোদে না পারছি ঘুরে দেখতে, আর না পারছি ভালো করে ফটোগ্রাফি করতে। তারপরও যতটুকু পেরেছি ভালো লাগার জিনিসগুলো ফটোগ্রাফি করেছি।

এবার দেখতে পাচ্ছেন যে কতগুলো বাশেঁর মধ্যে অনেকগুলো খাঁচি দিয়ে সাজানো। এগুলোকে কি বলে আমি জানি না। তবে হয়তো গ্রাম গঞ্জে এগুলোকে মাছ ধরার প্লো বলতে পারে। তবে শুনেছি এই শিল্পকলাতে মেলা হয় । কিসের মেলা হয় তা কিন্তু জানি না। কখনও যাওয়া হয়নিতো। তবে ভাবছি এবার যদি হয় জানতে পারলে যাব।

এবার দেখতে পাচ্ছেন আরও একটি বেড়ার ঘর। এখানে এরকম লাইন ধরে পুরো মাঠ জুড়ে আরও অনেকগুলো বেড়ার ঘর রয়েছে। মাঠটি অনেক বড় আর ঘরগুলো মাঠটির সাইট দিয়ে তুলে রেখেছে। শুনেছি মেলা হলে এই ঘরগুলো স্টল করা হয়। আমি পুরো মাঠ ঘুরে ঘরগুলো দেখছিলাম। আর সবমিলিয়ে আমার কাছে এই সকল জিনিসগুলো দেখতে অসাধারণ লাগছিল। যার কারনে ভাবছিলাম যে এগুলো মিস করা যাবে না। আপনাদের মাঝে শেয়ার করতেই হবে। আর তাই ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আর আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।

কেমন লেগেছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলো? আশা করি আপনাদের সবার কাছে আমার আজকের ফটোগ্রাফিগুলো অবশ্যই ভালো লেগেছে। আজ তাহলে এখানেই আপনাদের সাথে আমার আজকের ব্লগটি শেষ করছি। আবারও আগামীকাল নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসবো। আপনাদের সবার সু-স্বাস্থ কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম। ভালো থাকবেন সবাই। আল্লাহ্ হাফেজ।

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমমি পছন্দ করি ঘোরাঘুরি ও ভ্রমন করতে ছবি আঁকতে, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে আমি দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও আর নতুন নতুন অনেক কিছু শিখতে পছন্দ করি। আরও পছন্দ করি বেশী ঘুমাতে।