মজাদার কিছু শুটকির ফটোগ্রাফি-১ম পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি প্রিয় কমিউনিটির সবাই অনেক ভালো আছেন। আমি চাই সবাই যেন সব সময় ভালো থাকে। পৃথিবীর কোন অমঙ্গল বা দুঃখ কষ্ট যেন আপনাদের কাউকে স্পর্শ করতে না পারে। আর তাই সবার মঙ্গল কামনা করে আজ আবারও চলে এলাম আপনাদের সবার ভালো লাগা সকল পোস্টগুলোর মধ্যে আরও একটি ভালো লাগা ফটোগ্রাফি পোস্ট নিয়ে। আমি জানি যে, সবাই ফটোগ্রাফি পোস্ট দেখতে অনেক পছন্দ করেন। কি ঠিক বলেছি না? কারন আমিও কিন্তু আপনাদের মতো ফটোগ্রাফি পোস্টগুলো অনেক পছন্দ করি।
হ্যাঁ সবাই হয়তো জানতে চাইছেন আমি ভালো আছি কিনা? যদিও একটু অসুস্থ্য, তারপরও আলহামদুল্লিাহ্ বেচেঁ আছি। আর বেচেঁ আছি বলেই আবারও আপনাদের মাঝে যেন কিছু পোস্ট না করলে ভালো লাগে না।কারন আপনারা সবাই এত সুন্দর ও ভালো ভালো মন্তব্য করেন যা পড়তে আমার অনেক ভালো লাগে। আর আমি আপনাদের এত ভালো মন্তব্য ও উৎসাহ পেয়ে মুগ্ধ হয়ে যাই।
এবার চলুন ফটোগ্রাফি নিয়ে কিছু কথা বলি।আজ আমি একটু ভিন্ন রকমের ফটোগ্রাফি নিয়ে আসার চেষ্টা করলাম। সেদিন বাজারে গেলম আপুর সাথে। অনেক সবজি মাছ কেনার পর গেলাম শুটকির দোকানে আর শুটকির দোকানে গেলে আমার লোভ লেগে যায়। কারন আমি শুটকি ভীষণ পছন্দ করি। জানি আমার মতো হয়তো অনেকেই শুটকি অনেক পছন্দ করেন। আবার অনেকে আছেন যারা শুটকির গন্ধও সহ্য হরতে পারেন না। হয়তো এইটা তাদের অভ্যাস নেই। তবে যারা শুটকি পছন্দ করে তারাই বোঝে শুটকি কি জিনিস।ও হ্যাঁ যা বলছিলাম তো বেছে বেছে কিছু শুটকি কিনলাম। আর তার সাথে অনেকগুলো শুটকির ফটোগ্রাফি করলাম। অবশ্য শুটকির দোনের ভাইয়া আমাকে সাহায্য করেছে ফটোগ্রাফি করতে। এমন কি মনে করেছে যে, আমি ইউটিউবে দিব তাই আমার পেইজের নাম জানতে চাইলো। আর বললো যে আমার চ্যানেল নাকি বাজারের সবাইকে দিয়ে সাবস্ক্রাইব ও লাইক বাড়িডে দেবে। বোঝা গেলো তারা অনেক হেল্প মাইন্ডের। আমাকে অনেক হেল্প করলো। তাহলে চলুন আজ আমার শুটকির ফটোগ্রাফি থেকে কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। আর বাকি ছবিগুলো আবারও যেকোন দিন আপনাদের মাঝে নিয়ে হাজির হবো।
মজাদার কিছু শুটকির ফটোগ্রাফি
দোকানের মধ্যে এত শুটকি দেখে আমি প্রথমে কোন শুটকিটির ফটোগ্রাফি করবো দেখছিলাম। তার মধ্যে তার দোকানে বেশ কাস্টমার হঠাৎ ভরে গেলো দোকানদার বললো সারা সন্ধ্যা বসে ছিল। যাই হোক তারপরও আমাকে দোকানদার মাঝে মাঝে সাহায্য করলো। প্রথমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি লইট্রা শুটকি। আসলে শুটকির মধ্যে এটিও কিন্তু অনেক মজার। সবার প্রিয় একটি শুটকি। এই শুটকিটি বিভিন্ন ভাবে রান্না করলেই ভালো লাগে।
এবার ফটোগ্রাফি করলাম আরও একটি মজাদার শুটকি। আমি প্রথমে চিনতে পারছিলাম না। তারপর দোকানদার ভাই বললো যে, রুপচান্দা মাছের শুটকি। এই মাছটি যেমন খেতে ভালো লাগে, শুটকিটি মনে হয় তার চেয়ে আরও ভালো লাগে। ছোট করে কেটে ভুনা করলে অনেক ভাত খাওয়া যায়।
এবার যেই শুটকিটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি সেটি আমি কখনও মাছও খাইনি, আর শুটকিও খাইনি এটির নাম নাকি বইচা মাছ। তবে আমরা এইটাকে বলে খৈলসে মাছ। যাক হোক খৈলসে বা বইচা শুটকি। দেখছি সবাই নিচ্ছে।যারা এই শুটকি কিনছিল তারা বললো এই শুটকি নাকি খেতে ভালো লাগে।
এখন আপনাদের সবার সামনে সবার প্রিয় আরও একটি শুটকির ফটোগ্রাফি দিলাম এই শুটকি যেমন ভর্তা খেতে মজা লাগে তেমনি বিভিন্ন রকমের সবজি দিয়েও রান্না করে খেতে ভালো লাগে। আর তাই আমি এই শুটকিটি এনে মিষ্টি কুমড়ো শাক দিয়ে রান্না করেছি। আর খেতেও সেইরকম হয়েছে। ইস্ আফসোস লাগে যে আপনাদের খাওয়াতে পারি না। শুধু লোভ লাগাই। ক্ষমা করবেন।
এবার যেই শুটকিটির ফটোগ্রাফি করছি সেটি সবাই বলে চেলা মাছের শুটকি। কিন্তু আমার মনে হয় ঢেলা মাছের শুটকি। এই শুটকিটিও খাওয়া হয়েছে সবজি দিয়ে রান্না করে। আসলে শুটকির কোন তুলনা হয় না। প্রতিটি শুটকি স্বাদ মতো রান্না করলে খেতে অনেক টেষ্ট লাগে।
এবার নিয়ে এলাম মলা মাছের শুটকি। এই শুটকিটি দেখলাম সবাই নিচ্ছে। জিজ্ঞস করলাম কি দিয়ে রান্না করবেন? বললো যে ভর্তা করবে। আমরা অবশ্য এটিও সবজি বা বেগুন দিয়ে রান্না করে খেয়েছি। কিন্তু ভর্তা করে কখনও খাওয়া হয়নি। তাই এবার নিয়ে এলাম ভার্তা খাবো বলে।
সর্বশেষ আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্চি মজাদার চাপিলা মাছের শুটকির ফটোগ্রাফি। চাপিলা মাছ কিন্তু আমার কাছে বেশ লাগে খেতে। চাপিলা মাছের শুটকিও কিন্তু অনেক ভাবে মজা করে রান্না করে খাওয়া যায়। আমি পেঁয়াজ আর টমাটো দিয়ে ভুনা করে খেয়েছি। আবার সিম ও টমাটো দিয়েও রান্না করলে ভালো লাগে। আসলে যে যেভাবে খেতে পছন্দ করে। আমি বললাম আমার পছন্দের কথা।
পরিশেষে আর কি লিখবো। শুটকির গুনের কথ বলে শেষ করা যাবে না। এটি এমন একটি খাবার আমার মনে হয় দিল্লিকা লাডডুর মতো। যে খায় তারও অনেক ভালো লাগে আর যে না খায় তারও খেয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। আর তাই আমিও এত পছন্দ করি বলে ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না। তবে কেমন হলো আমার আজ এই শুটকির ফটোগ্রাফি বলবেন কিন্তু।আর এর বাকি ফটোগ্রাফিগুলো আবারও একসময় নিয়ে আসবো আপনাদের সবার মাঝে। সবার শুটকির দাওয়াত রইলো। সবার ভালো ও সুস্থ্যতা কামনা করে আমার ব্লগটি এখানেই সমাপ্তি করছি।
বিষয় | ফটোগ্রাফি |
---|---|
ডিভাইস | OPP-A16 |
ফটোগ্রাফার | @mahfuzanila |
ভৌগলিক অবস্থান | মালিবাগ বাজার,ঢাকা |
আমার পরিচিতি
আমার পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার আইডি @mahfuzanila আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের একজন সদস্য। আমার পছন্দ ঘোরাঘুরি করা ,ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে আর কষ্ট পাই অন্যায় না করেও কেউ কষ্ট দিয়ে কথা বললে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো বেশ চমৎকার হয়েছে আপু খুব সুন্দর করে আপনি ফটোগ্রাফি করে শুটকি মাছের একটা সুন্দর ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের উপহার দিয়েছেন এমন একটা সুন্দর পোস্ট করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ওরে বাবা আপনি তো দেখতেছি বেশ অনেক রকমের শুটকির ফটোগ্রাফি করলেন। এত সুন্দর ভাবে আপনি অনেক রকমের শুটকির ফটোগ্রাফি করেছেন এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। কিন্তু এরকম ভাবে আমি শুটকির ফটোগ্রাফি করতে আগে কাউকে দেখিনি মনে হয়। আমার কাছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বেশ ভালো লাগলো। আজকে আপনার কাছে অন্যরকম কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলোর বর্ণনাও আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন।
তাই আপু আমিও মনে মনে এটাই ভাবছিলাম। এই প্রথম মনে হয় আমি শুটকির ফটোগ্রাফি করছি। আর ভাবছি সবাই কি মনে করবে। যাক আপু আপনি এত সুন্দর করে মন্তব্য করেছেন দেখে আমি খুব মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
আপনি আপনার আপুর সাথে বাজারে গিয়ে অনেক সবজি কেনার পর শুটকির দোকানে যান। যেগুলো দেখে আপনার অনেক লোভ লেগে গেল ।ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর শুটকি মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এ তো দেখছি শুটকীর বন্যা বসিয়ে দিয়েছেন। কবে কিনলেন এত শুটকী। কই আমাকে তো একটু দিলেন না। বেশ সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করে লোভ লাগিয়ে দিলেন দেখছি। আজকের ফটোগ্রাফি পোস্টটি কিন্তু দারুন ছিল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
শুটকি খেতে হয় একা একা আপু। কথায় বলে না পছন্দের জিনিস একা একা খেতে চাও দরজা বন্ধ করে খাও। তাই আমিও না জানিয়ে খেয়েছি হিহিহি 😁 তারপরও এত সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ওয়াও আপনি তো আপনার আপুর সাথে বাজারে গিয়ে বেশ মজার মজার শুটকির ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে আমাদের পরিবারের সবাই শুটকি খুব প্রিয়। শুটকি দিয়ে যে কিছু রান্না করলে খেতে এমনিতে বেশ মজা লাগে। তবে আপনি বেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি করেছেন শুটকির। এত মজার মজার শুটকি ফটোগ্রাফি করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া শুটকি দিয়ে যে কিছু রা্ন্না করলে খেতে ভালো লাগে। আমাদের বাসায়ও সবার অনেক পছন্দ। গঠনমুলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।