অমর একুশে বই মেলা ভ্রমন-২য় পর্ব

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো কেমন আছেন সবাই? আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম আমার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ২১শে বইমেলায় যাওয়া ও কাটানোর কিছু মুহূর্ত। একুশে বইমেলায় কখনও যাওয়া হয় না।এই প্রথম তাও আবার অমর ২১ফেব্রুয়ারীর দিন। আর এই দিনটিতে কখনও শাহবাগের ঐ দিকটায় কখনও যাইনি। আমার এমন দিনগুলোতে বাসা থেকে বের হতে খুব একটা ভালো লাগে না।সেদিনও যাওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না। আমার মনে হয় বাহির থেকে বাসার মধ্যেই শান্তি লাগে। আমি আপনাদের মাঝে আমার এই ভ্রমন পোস্টির প্রথম এপিসোড শেয়ারি করেছিলাম। আর আজ আবার বই মেলায় ঘুরে বেড়ানোর কিছু অনুভুতির দ্বিতীয় এপিসোড।

সেদিন বইমেলায় পৌছাতে আমাদের বেশ দেরি হয়ে গিয়েছিল। হাটতে হাটতে তো আমারা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। তারপরও কি করবো এত কাছাকাছি গিয়েও কেন যেন ফিরে এলাম না। তাই টিএসসির কাছে গিয়ে যখন চেনা মুখটি দেখতে পেলাম তখন বেশ ভালো লাগলো। এরপর ঢুকে পরলাম সেই প্রথম যাওয়া ও দেখা বই মেলায় আর সেই জায়গাটাকে বলা হয় বাংলা একাডেমি। তবে একটা জিনিস দেখে অভাক হলাম যে , বইমেলায় যেতে কোন টিকেট লাগে না। এটি জনসাধারনের জন্য খোলা। তাহলে চলুন ঘুরে আসা যাক বইমেলার ভেতরে।

image.png

অবশেষে বইমেলায় যখন প্রবেশ করলাম তখন প্রথমেই দেখতে পেলাম যে, আমার প্রিয় একটি চেনা মূখ। আমার পছন্দের একজন নায়ক এর ছবি দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে এই নায়ক কে নিয়ে কোন কিছু বলার নেই। তার অভিনয় আমার অনেক ভালো লাগতো। সমস্ত বাংলার বুকে তিনি একজন লিজেন্ড। আর সে হলো আমাদের সবার প্রিয় সালমান শাহ। যিনি আজও বাংলার মানুষের মনে জায়গা করে আছে।

image.png

এবার দেখতে পেলাম যে আরও কিছু ভালো লাগা মানুষের ছবি। আসলে মিডিয়ায় এমন কিছু শিল্পী আছে যাদের ভালো কিছু অভিনয় আমাদের সবারই বেশ ভালো লাগে। আর তাই তো এমন মানুষ গুলোকে দেখলেই কেন জানি বেশ ভালো লাগে।আর বই মেলায় ঢুকে যখন এত এত চিনা মুখগুলো দেখলাম তখন কিছু সময়ের জন্য দাঁড়িয়ে গেলাম সেখানে কি হচ্ছে দেখার জন্য।

image.png

image.png

image.png

এবার দেখলাম সেখানে মাত্র ৫থেকে১০ মিনিটে প্রত্যেক মানুষের ছবি আকাঁ হয়। আর তা দেখে বেশ ভালো লাগলো। তাই কাছে গেলাম কারন আমি আবার আট দেখলে থাকতে পারি না। আর লোকগুলো তো দেখছি হুবুহু প্রতিটি মানুষের মুখের মতো করে্ ছবি এঁকে দিতে পারে। আর তাই কাছে গেলাম। আর গিয়ে দেখতে পেলাম যে একটি ছবি আকঁতে ১০০০ টাকা চায়। মেজাজ গেলো গরম হয়ে। চলে এলাম। যদিও আপু বার বার বলে ছিল একটি স্কেচ এঁকে নিতে।আমি ভাবলাম শুধু শুধু টাকা নষ্ট করে লাভ কি। বরং সেই টাকা দিয়ে না হয় আমি রং তুলি কিনবো। আর আপনাদের মাঝে পেইন্টিং শেয়ার করবো। কি ঠিক করিনি?

image.png

এবার দেখতে পেলাম যে একটি বই সংগ্রহ তথ্য স্টোর বানিয়েছে। আর সেখানে সবাই দেখি বই নিয়ে ছবি তুলছে। আর স্টেরটি দেখে আমার কাছে একটু অন্য রকম লাগলো। আর আমিও তাদের আর স্টোর এর একটি ছবি তুলে নিলাম। এই রকম আরও অনেক ছবি তুলেছি। কেন যেন কোন ফটোগ্রাফি করলে আর থামতে ইচ্ছে করে না।

image.png

এবার দেখতে পেলাম যে,বাংলা একাডেমি প্যাভিলিয়ন বড় একটি বইয়ের দোকান তাই ভাবলাম বাংলা একাডেমি বই মেলায় গিয়েছি আর বাংলা একাডেমি প্যাভিলিয়নের ছবি তুলবো না তা কি হয়। তাই দাডিঁয়ে অনেকগুলো ছবি তুললাম। আর বই মেলা এতটাই বড় যে, কোন মাথা থেকে কোন মাথায় যাচ্ছি বুঝতে পারছিলাম না। শুধু এগুতে থাকলাম আর খুব সুন্দর সুন্দর লেখকের বইগুলো দেখছিলাম।

image.png

এইবার আমি হাটঁতে হাটঁতে চলে গেলাম কিছু তরুন কবির মাঝে। যাদের কবিতা গল্প উপন্যাস বা সাহিত্যের বইয়ের মোড়ক উম্মোচন হচ্ছে। আর তাদের লেখা বইগুলো থেকে কেউ করছে কবিতা আবৃত্তি কেউবা তার বইয়ের কিছু অংশ লেখা পড়ে শোনাচ্ছে। বড় বড় সিনিয়র লেখকদের মাঝে এবং এত তরুন কবি বা লেখকদের দেখে আমি তাদের মাঝে হারিয়ে গিয়েছিলাম। তার মানে তাদের কবিতা আর কথার মাঝে ডুবে যেয়ে আমি কিন্তু সত্যি আমার আপনজনদের কাছে থেকে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমি হারিয়েৈ ঐখানেই দাড়িঁয়ে রইলাম। আর চিন্তায় পড়ে গেলাম বাসায় ফিরতে পারবো কিনা। ফোন যে করবো তারও কোন উপায় নেই। কারন নেট সমস্যা। আজ এখানেই রাখছি। অপেক্ষায় থাকেন কি করে আমার আপনজনদের খুঁজে পেলাম সেই বই মেলায় সেটা জানার জন্য। আগামী এপিসোডে আরও বিশেষ কিছু নিয়ে ফিরে আসবো।

আশা করি আপনাদের মাঝে সেই দিনের এত কষ্টের মাঝেও বইমেলায় পৌঁছানোর কিছুটা অনুভূতি শেয়ার করতে পেরেছি। এর ৩য় পর্ব নিয়ে আবারও যে কোন মূহূর্তে আপনাদের মাঝে হাজির হবো। সবাই ভালো থাকবেন।

পোস্টের বিবরন
পোস্টের ধরনভ্রমন পোস্ট
ডিভাইসVIVO
মডেলVIVO-Y22S
ভিডিওগ্রাফার@mahfuzanila
স্থানবাংলা একাডেমী,ঢাকা

পরিচিতি

আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার আইডি @mahfuzanila আমি একজন বাংলাদেশী ইউজার। আমি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের একজন সদস্য। আমার পছন্দ ঘোরাঘুরি করা ,ছবি আঁকা, বিভিন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে আর কষ্ট পাই অন্যায় না করেও কেউ কষ্ট দিয়ে কথা বললে।

❤️ধন্যবাদ সকলকে❤️

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 4 months ago 

অমর একুশে বই মেলার দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এই পর্বের মধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু মুহূর্ত ও ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লেগেছে৷ যেখানে ওই আর্টিস্টরা বসে পাঁচ থেকে দশ মিনিটেই ছবি আঁকার কথা বলছিলেন তা দেখে খুব ভালো লাগলো৷ এরকম আর্টিস্ট আমি কখনো দেখিনি৷ আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে প্রথম দেখতে পেলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ৷

 4 months ago 

হ্যাঁ ভাইয়া আমিও আপনার মতো এই প্রথম এরকম আর্টিস্ট দেখেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 4 months ago 

খুব ভালো লাগলো। আপনার কাছ থেকে এটি দেখে খুব খুশি হলাম।

Posted using SteemPro Mobile

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58639.60
ETH 3167.30
USDT 1.00
SBD 2.43