বেইলী রোডের অগ্নিকান্ড যে শিক্ষা দিয়ে গেল।
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো! কেমন আছেন আমার প্রিয় সকল বন্ধরা? আশা করি যে যেখানে থাকেন সবার পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক ভালো থাকেন ।আসলে আমরা সবাই ভালো থাকার চিন্তা করি আর আশে পাশের সবাই যেন ভালো থাকে সেই দোয়াই করি। কিন্তু রাত দিনের প্রতিটা মূহূর্ত গুলো যেন মাঝে মাঝে আতংকে কাটে। কে যে কিভাবে ভালো থাকবো ভেবেই পাচ্ছি না। আসলে আমরা প্রতিনিয়ত একটি দিন আর রাত কোন রকম পার করে যাচ্ছি। অনেক আতংক আর দুঃশ্চিন্তা নিয়ে। পৃথিবীতে এখন কত ঘটনাই ঘটে চলেছে। তাই কারও মনে শান্তি নেই। আমাদের সবার একদিন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে এটাই স্বাভাবিক। আর সবাই চায় সুস্থ্য সুন্দর ভাবেই প্রিয় এবং আপন মানুষগুলোর কাছে থেকে পৃথিবী ছেড়ে যেতে। কিন্তু সেটা পারে কয়জন মানুষ। এই তো কিছুদিন আগে রাজধানীর বেইলী রোডে যে ভয়ংকর অগ্নিকান্ড ঘটে গেল, তারা কি জানতো তাদের এমন করে মৃত্যু হবে? হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি সেই বিষয় নিয়েই কিছু বলার জন্য আসছি।
Banner Credit- @mahfuzanila
এই পৃথিবীতে এখন প্রতিনিয়ত মনে হচ্ছে এক একটি ইতিহাস সৃষ্টি হচ্ছে । আর এই ইতিহাসগুলো রেখে যাচ্ছে কারও না কারও পরিবারের হৃদয় চেরা মর্মান্তিক দূর্ঘটনার মধ্য দিয়ে।কেউ কি কখনও ভেবে রেখেছে যে তার মৃত্যুটি কেমন হবে বা সকালে বাসা থেকে বের হলে সুস্থ্যভাবে বাসায় আপন জনদের কাছে ফিরবে কিনা? কারও জীবনের কোন ভরসা নেই। তারপরও আমরা প্রতিনিয়ত ছুটে চলেছি সীমাহিন ভাবে অজানা স্বপ্নের পেছনে।
দেখা যাচ্ছে একটার পর একটা ঘটনা ঘটে চলেছে। কখনও দেখা যাচ্ছে লঞ্চ ডুবে বা লঞ্চে আগুন লেগে কত মানুষ মারা যাচ্ছে। আবার কখনও দেখা যায় বাসে আগুন বা বড় ধরনের এ্যাকসিডেন্ট। আবার কখনও ট্রেনে আগুন বা বড় দূঘটনার স্বীকার হয়ে কত মানুষের অনাকাঙ্খিত মৃত্যু। কেউ একা আবার কেউ বা পরিবারের সবাই সহ ।এত এত ইতিহাস প্রতিনিয়ত আমরা চোখের সামনে দেখে যাচ্ছি যে আর সহ্য করতে পারছি না।
সেদিন আবারও নতুন করে বেইলি রোডে সৃষ্টি হওয়া ইতিহাসটি সারা বিশ্বেরমানুষকে কাঁদিয়েছে। যে ইতিহাস নিয়ে কোন কিছু লেখার ভাষা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। কেউ কি ঐ মূহূর্তে ভেবেছে যে পৃথিবী থেকে কিছুক্ষন পর এত মর্মান্তিকভাবে চলে যেতে হবে।আগুন লাগার কিছু সময় আগেও কি কেউ জানতো যে কিছক্ষন পর কি হতে চলেছে তাদের জীবনে?
বেইলি রোড হলো একটি ব্যাস্ততম এলাকা। আর ঐ সময়ে কেউ হয়তো পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে সেখানে খাচ্ছিল তাদের পছন্দের খাবার, কেউ হয়তো খাচ্ছিল ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে গিয়ে তাদের পছন্দের খাবার। আবার কেউ হয়তো তাদের পছন্দের জামাকাপড় কেনাকাটা নিয়ে ব্যাস্ত ছিল। আবার অনেকে বন্ধু নিয়ে আড্ডায় মেতে ছিল। আবার কেউ হয়তো দেখা গেছে যে পরিবারের মাকে বলছিল মা চিন্তা করো না আমি কিছুক্ষন পরে আসছি । আবার কেউ বা তার সন্তানের সাথে কথা বলছিল যে তোমাদের জন্য কাচ্চি আনবো না পিজা আনবো? তোমারা কে কি খাবে? আর মূহূর্তেই সব তছনছ হয়ে গেলো। সবার এত আশা আকাঙ্খা নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। আর তাই তো আমাদের প্রতিনিয়ত ভেবে নিতে হবে যে, যেকোন সকাল বিকাল আমাদের দিকে ধেঁয়ে আসছে যমদূত হিসাবে।
হঠাৎ ভাবলাম যে চার বছর পর যখন এই ফেব্রুয়ারীর ২৯ তারিখ আসবে তখন আমরা কে কোথায় থাকবো জানিনা। কিন্তু যারা তাদের আপন জন হারিয়েছে এই ২৯ ফেরুয়ারী তাদের জীবনে একটি কাল রাত্রি হিসাবে চিহ্নিন্ত হয়ে আসবে। তবে আমরা চাই না আমাদের কারও জীবনে এই ধরনের কাল রাত্রি বা দিন আবারও ফিরে আসুক। তাই তো আমাদের কে সব সময় সর্তক থাকতে হবে।
পরিশেষে আর কি লিখবো।আশা করি আমরা সবাই আমাদের আশেপাশের মানুষ কে নিয়ে ভালো থাকবো। এতক্ষন আমার এই ব্লগটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য সকল কে অনেক ধন্যবাদ।
পরিচিতি
আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমমি পছন্দ করি ঘোরাঘুরি ও ভ্রমন ছবি আঁকা, বিভি ন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি করতে, ডাই প্রজেক্ট বানাতে ও আর্ট করতে দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে ঘুরতে যেতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বিপদ এভাবে আসবে আমাদের মাঝে। আর এই থেকে কিন্তু আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। সব সময় আমাদের এই দিকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে যেন কখনো এমন ভয়ংকর কাণ্ড না হয়। ভালো লাগলো, আপনার এই পোস্ট কিন্তু অনেকের উপকারে আসবে আপু। হয়তো বড় ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পূর্ব সজাগ থাকতে পারবে।
জি ভাইয়া সেটাই চেয়েছি আমি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আসলে আপু আমাদের জীবন কখনো কি হবে কেউ জানে না।জীব মৃত্যু বরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বেইলি রোডের মতো মৃত্যু যেন কারো জীবনে না আসুক। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
হ্যাঁ আপু সবাই এই দোয়াই করি। ধন্যবাদ সহযোগীর মূলক মন্তব্যের জন্য।
আসলে বিপদ কখনো কাউকে কিছু বলে আসে না৷ বিপদের থেকে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ৷ যদি আমরা সাবধান না হই তাহলে সে বিপদ আসার সম্ভাবনা একটু বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায়৷ বেইলি রোড এর এরকম একটি বিষয় রয়েছে৷ আসলে অসাবধানতার কারণে এসকল ঘটনাগুলো বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে৷ তাই এরকম ঘটনাগুলো থেকে আমরা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি এবং পরবর্তীতে যেন এরকম কোনো ঘটনা না হয় সেজন্য আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে৷
জি ভাইয়া আমাদের কে অবশ্যই বেশ সজাগ থাকতে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
বাহ্ দারুন তো। বেশ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তো। সত্যি কিন্তু বেইলী রোডের আগুন কিন্তু আামাদের কে অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছে। আপনার আজকের পোস্ট পড়েও আমরা অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপু বেশ খারাপ লাগায় পোস্টটি শেয়ার করেছিলাম। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।
আমাদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একের পর এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড আমাদের সকলের জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক ও ভয় সৃষ্টি করেছে। জানিনা এরকম অগ্নিকাণ্ড কবে বন্ধ হবে। তবে এরকম অগ্নিকাণ্ড বন্ধের জন্য আমাদের দেশের সরকার এবং সর্বস্তরের জনগণকে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত।
জি ভাইয়া নিজেদের সতর্ক নিজেদের কেই হতে হবে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আমাদের জীবনটা একেবারে অনিশ্চিত। কখন এবং কোথায় কার মৃত্যু হবে, সেটা একমাত্র আল্লাহ তায়ালা ছাড়া কেউ বলতে পারে না। তাই বেঁচে থাকতে আমাদের উচিত বেশি বেশি নেক আমল করা পরকালের জন্য। যাইহোক একের পর এক অগ্নিকাণ্ড ঘটেই চলেছে আমাদের দেশে। বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা অবশ্যই আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের উচিত বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যি সেদিনের ঘটনা মনে পরতেই গায়ে কাটা দেয়।কেউ কি জানতো সেদিন টাই তাদের কাটানো শেষ মহূর্ত।কতো পরিবার তাদের প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষায় ছিলো।তারাও কি জানতো সেদিন টাই তাদের শেষ অপেক্ষা। আর যেনো এমন ঘটনা না ঘটে এটাই চাওয়া।ধন্যবাদ আপু।
আমিও তো বলি যে কত প্রিয়জন যে অপেক্ষায় ছিল। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।