সিমের বিচির সাথে ছুরি শুটকির দুর্দান্ত মাজাদার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় পরিবারের আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহর রহমতে আর আপনাদের সবার দোয়া ও ভালোবাসায় ভালো আছি। আর আমিও দোয়া করি যে যেখানে থাকেন ভালো থাকেন।
আজ আবারও চলে এলাম আপনাদের সবার মাঝে আমার আরও একটি নতুন ব্লগ নিয়ে। নিশ্চয় উপরের টাইটেলে দেখে বুঝে গেছেন আজ আমি কি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়েছি। হ্যাঁ সকল বন্ধুরা ্আজ আমি আমার প্রিয় পরিবারের জন্য ছুরি শুটকির একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে এলাম। শুটকি আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয় তা আমি জানি। আবার অনেকে আছে যারা শুটকি পছন্দ করে না । তবে আমি কিন্তু শুটকি খেতে ভীষন পছন্দ করি।আর তাই মজাদার এই ছুরি শুটকির রেসিপি নিয়ে এলাম। এই শুটকি আমরা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে খেয়ে থাকি। আমিও কিন্তু পিঁয়াজ দিয়ে ভুনা বা বিভিন্ন ভাবে রান্না করে থাকি। তবে আজ আমি আপনাদের জন্য ছুরি শুটকি আর সিমের বিচি দিয়ে অনেক দুর্দান্ত রেসিপি নিয়ে এলাম। সিমের বিচির দিন এলে আমরা এইভাবে রান্নাটি খেয়ে থাকি।গতকাল বাসায় পোলাও গোশত রান্না করেছিল। তাই মুখে কোন স্বাদ পাচ্ছিলাম না। বাসার সবাই বলছিল আজ একটু শুটকি রান্না করাতে। তাই আমি ভাবলাম বাসায় যেহেতু ছুরি শুটকি আর সিমের বিচি রয়েছে তা টামাটো আলু দিয়ে রান্না করে ফেলি। আমাদের বাসায় এই রান্নাটি সবাই খুব পছন্দ করে। আর যেই কথা সেই কাজ। সাথে সাথে সব কিছু গুছিয়ে চলে গেলাম রান্না ঘরে। আর রান্নার পর যখন সবাই একসাথে খেতে বসলাম তখন সবার প্রশংসা শুনে ভালো লাগলো। আর তাই খাওয়া দাওয়ার পরে ভাবলাম আজ আপনাদের সাথেও এই রেসিপিটি শেয়ার করে নেই। তাহলে চলুন আজ আমার ছুরি শুটকি আর সিমের বিচির দুর্দান্ত মাজাদার রেসিপিটি সম্পূর্ন প্রনালীটি দেখে আসি।
সিমের বিচির সাথে ছুরি শুটকির দুর্দান্ত মাজাদার রেসিপি
প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহ
প্রস্তুত প্রণালী ধাপ-১ প্রথমে সিমের বিচির খোসা পরিস্কার করে ও ছুরি শুটটিগুলো ভালো করে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলাম। আর টমাটো পেঁয়াজ ধনেপাতা সহ সকল উপকরন কাঁচামরিচ কেটে গুছিয়ে নিলাম। ধাপ-২ এবার চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তার মধ্যে তেল ও পেঁয়াজ কুচিগুলো দিয়ে দিলাম এবং পেঁয়াজগুলো তেলে লাল করে নিলাম। ধাপ-৩ এবার পেঁয়াজগুলো লাল হয়ে এলে তার মধ্যে একে একে হলুদগুড়া,মরিচগুড়া,আদা রসুন বাটা ও পরিমান মত লবন দিয়ে একটু নেড়ে দিলাম। ধাপ-৪ এবার মসলাগুলোর মধ্যে একটু পানি দিয়ে দিলাম। আর মসলাগুলো ভালো করে কষিয়ে নিলাম এবং তেল ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করলাম। ধাপ-৫ এবার যখন দেখবো যে মসলাগুলো কষে লাল হয়ে আসছে ও মসলায় তেল উঠে আসছে তখন শুটকিগুলো দিয়ে নেড়ে দিলাম। ধাপ-৬ এবার মসলার মধ্যে শুটকিগুলো ভালো করে কষিয়ে নিলাম। ধাপ-৭ *** এবার শুটকিগুলো কষে এলে বা একটু ভাজা ভাজা হয়ে এলে তার মধ্যে সিমের বিচিগুলো দিয়ে আবার সিমের বিচি আর শুটকিগুলো নেড়ে দিলাম। ধাপ-৮ এবার কিছুক্ষন শুটকি আর সিমের বিচি কষিয়ে এলে তার মধ্যে আলুগুলো দিয়ে দিলাম। ধাপ-৯ এখন তরকারি গুলো কষানো হয়ে গেলে তার মধ্যে পরিমান মতো পানি দিয়ে দিলাম আর নেড়ে দিলাম ধাপ-১০ এবার তরকারিটি চুলায় বেশ কিছুক্ষন জ্বালে রাখতে হবে সবজিগুলো সিদ্ধ হওয়া পর্যন্ত এবং কিছুক্ষন পর পর নেড়ে দিলাম। ধাপ-১১ এবার কেটে রাখা টমাটোগুলো তরকারির মধ্যে দিয়ে নেড়ে দিলাম। ধাপ-১২ এবার কিছুক্ষন পর তরকারিটির মধ্যে কাঁচামরিচ ও ধনেপাতাকুচি গুলো দিয়ে দিলাম আর নেড়ে দিলাম। শেষ ধাপ এবার যখন দেখবো যে তরকারিটি হয়ে এসেছে এবং পানিটি একটু টেনে আসছে এবং রান্নাটি সম্পূর্ণ হয়ে গেছে এবং পানিটি টেনে আসছে তখন পরিবেশনের জন্য নামিয়ে নিলাম। পরিবেশন এবার সবাই বলেন তো কেমন হলো আমার আজকের মজাদার ছুরি শুটকি আর সিমের বিচির মজাদার রেসিপিটি? আমি আশা করবো আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। আজ তাহলে এখানেই আমার রেসিপির ব্লগটি শেষ করছি। আগামীতে আবারও নতুন কোন সুন্দর ব্লগ নিয়ে আমি আপনাদের সামনে উপস্থিত হবো ইনশাআল্লাহ্। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি।সবাই ভালো থাকবেন। পরিচিতি আমি মাহফুজা আক্তার নীলা আমার ইউজার নাম @mahfuzanila আমার পছন্দ ঘোরাঘুরি ভ্রমন করা ,ছবি আঁকা, বিভি ন্ন ধরনের মজার মাজার গল্পের বই পড়তে, ফটোগ্রাফি,ডাই প্রজেক্ট বানাতেও দারুণ পছন্দ করি। আর বেশী পছন্দ করি মজার রেসিপি করতে,মন খারাপ থাকলে গান শুনতে ও গান গাইতে আর সবচেয়ে বেশী ঘুমাতে।
|
---|
শুঁটকি খেতে আমার কাছে এত বেশি ভালো লাগে, যা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না। আর সে জায়গায় যদি হয় ছুরি শুঁটকি, তাহলে তো কোন কথাই নেই একেবারে। আপনি শিমের বিচি দিয়ে ছুরি শুঁটকি মাছের মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন দেখেই তো অনেক বেশি লোভনীয় এবং সুস্বাদু মনে হচ্ছে দেখতে আর এই মজাদার রেসিপিটার মধ্যে টমেটো ব্যবহার করেছেন দেখে মনে হচ্ছে, এটার স্বাদ আরো বেশি বেড়ে গিয়েছিল। সত্যি এটাই বলতে হচ্ছে যে, একেবারে দুর্দান্ত একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন আপনি সবার মাঝে।
হ্যাঁ আপু ছুরি শুটকি খেতে আমারও অনেক পছন্দের। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আমার রেসিপিটি নিয়ে আপনার এত সুন্দর একটি মন মুগ্ধকর মন্তব্য পেয়ে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
সিমের বিচির সাথে ছুরি শুটকির রেসিপি আমার আগে কখনো খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে কয়েকটি ধাপের মাধ্যমে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাই আসলে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকেও। আমার রেসিপির মত করে এত চমৎকার ভাবে মন্তব্য করার জন্য।
শি বিচির সাথে ছুরি শুটকির রেসিপি দারুন হয়েছে। শুটকি মাছ আমার ভীষণ পছন্দের। তবে শিমের বিচি দিয়ে খাওয়া হয়নি। আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এই রেসিপি তৈরি করেছেন এবং আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের মাঝে পাশে থাকার জন্য।
দারুন একটি রেসিপি তো। কবে করেছেন আপু। আমাকে একটু বলতেন। খুব স্বাদের হয়েছিল আপনার রেসিপিটি সেটা বুঝাই যাচেছ। আর আপনি কিন্তু বেশ সুন্দর করে আপনার রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হঠাৎ করে রান্না আপু। আগে থেকে বললে তো এত সুন্দর একটি মন্তব্য পেতাম না।ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর করে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
সিমের বিচির সাথে ছুরি শুটকির দুর্দান্ত মাজাদার রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলেই এমন রেসিপি খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে শীতের শেষের দিকে এই রেসিপিগুলো খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই ধরনের রেসিপি গুলো আমারও অনেক ভালো লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছুরি শুটকির রেসিপি এভাবে কখনো তৈরি করা হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। শিমের বিচি খেতে আমি সবসময়ই পছন্দ করি। শিমের বিচি দিয়ে ডাল রান্না করেছি আর খেতেও খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আপনি শিমের বিচি দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে ছুরি শুটকির রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমিও সিমের বিচি খেতে খুব পছন্দ করি।এভাবে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আপু অবশ্যই ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে। আমার রেসিপি ও তার উপস্থাপনা নিয়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
শিমের পিসি আমার খুবই প্রিয়। এজন্য পুকুর পারে আমি অনেক অনেক শিম গাছ লাগিয়ে থাকি। এবারও আলহামদুলিল্লাহ অনেক সিম খাওয়া হয়েছে। বেশ ভালো লাগলো আপনার শিমের বিচির সাথে মাছের রেসিপি তৈরি করতে দেখে।
হ্যাঁ ভাইয়া সিমেরবিচি রান্না আমারও বেশ ভালো লাগে। তবে আপনি নিজের হাতে সিম এবং সিমের বিচি চাষ করে খান আর সেটার মজাই আলাদা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি যত দেখি ততই লোভ লেগে যায়। শিমের বিচি এবং শুঁটকি মাছ দুটোই হচ্ছে আমার সব থেকে পছন্দের খাবার। আর এই দুইটা একসাথে যদি এরকম ভাবে রান্না করা হয়, তাহলে তো আরো ভালো লাগবে খেতে। তবে এই বছর এরকম রেসিপি আমার খাওয়া হয়নি, কিন্তু আগেই প্রচুর খেয়েছি। শীতের সময় যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে তাতে যদি টমেটো ব্যবহার করা হয়, তাহলে আরো ভালো লাগে খেতে। দেখে মনে হচ্ছে এটা অনেক মজাদার হয়েছিল, আর মজা করেই খেয়েছিলেন।
হ্যাঁ ভাইয়া আসলেই রেসিপিটা অনেক মজা হয়েছিল। আর এই রেসিপিটা আমার প্রায় রান্না করি।ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছুরি মাছের এই শুঁটকি দিয়ে যে কোনো তরকারি লাস্ট কবে রান্না করে খেয়েছি তা আমার নিজেরও মনে নেই আপু। আপনার শেয়ার করা এই শিমের বিচি দিয়ে শুঁটকি মাছের রেসিপিটি জাস্ট অসাধারণ লাগলো আমার কাছে। এরকম রেসিপি মুখে রুচি এনে দিতে পুরোপুরি সক্ষম। যাইহোক, রেসিপিটি আপনি বেশ সুন্দরভাবে এখানে উপস্থাপন করেছেন যা দেখলাম। যার ফলে রেসিপিটি খুব সহজেই শিখে নিতে পারলাম আপনার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে। আপনি শুঁটকি খেতে ভীষণ পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। এক সময় আমিও অনেক পছন্দ করতাম এই শুঁটকি মাছ ।
কেনো ভাইয়া এখন আর শুটকি পছন্দ করেন না।ঠিক বলেছেন ভাইয়া এইরকম রেসিপি মুখে রুচি আনার সক্ষম রাখে। আপনার এত সুন্দর মন্তব্য দেখে আমিও জাস্ট মুগ্ধ হয়ে গেছি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
সময়ের সাথে সাথে রুচিরও কিছুটা পরিবর্তন হয়ে গেছে আপু, এই জন্যই হয়তো এত বেশি পছন্দ করি না এখন শুঁটকি মাছ।