কলা সুজি দিয়ে সু স্বাদু পিঠার রেসিপি || ১০% বেনিফিশিয়ারি এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি কলা সুজি দিয়ে সুস্বাদু পিঠা রেসিপি তৈরি করে দেখাবো। কলা সুজি দিয়ে সুস্বাদু এই পিঠাটি তৈরি করে খেলে খুব খুব ভালো লাগে। বিশেষ করে পিঠাটি খাওয়ার সময় কলার আলাদা একটা ফ্লেভার পাওয়া যায় তার জন্য আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। এই পিঠাটি এত সহজেই তৈরি করা যায় তা বলার বাইরে।
এইতো সেদিন আমার বাসায় বিকেল বেলায় দুজন মেহমান এসেছিল। আর তখনই আমার স্ত্রীকে বললাম চটজলদি কিছু তৈরি করে দিতে। যদিও বা হাতের কাছে দোকান রয়েছে সেখান থেকে হয়তো বিস্কুট চানাচুর অথবা অন্য কিছু কিনে এনে মেহমান আপ্যায়ন করা যেত। কিন্তু কেন জানি আমার কাছে হাতে তৈরি কিছু না খাওয়ালে মনের মধ্যে তৃপ্তি পাই না। আর তাই আমার স্ত্রীকে বলা মাত্রই সে খুব দ্রুতই এই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে দিল। আর আমি পাশে থেকেই রেসিপির সমস্ত উপকরণ এবং রন্ধনপ্রণালীর প্রত্যেকটি ধাপ ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
এই কলা সুজি দিয়ে পিঠা খেতে সত্যিই অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে। কেননা এই পিঠাটি তৈরি করতে কলার সাথে সুজি, ময়দা, চিনিও ডিমের সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় বলে খেতে দারুন লাগে। বিশেষ করে আমার ছেলে মেয়ে দুটো এই কলা সুজি দিয়ে পিঠা খেতে খুবই ভালোবাসে। এই পিঠাটি তৈরি করায় মেহমান আপ্যায়নের সাথে সাথে আমার ছেলেমেয়েদের সুস্বাদু খাবার টি গ্রহণ করা হল। এত মজাদার একটি পিঠা আমি কিভাবে তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তো বন্ধুরা চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক কলা দিয়ে সুস্বাদু পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | কলা | ২ টি |
২ | সুজি | ১০০ গ্রাম |
৩ | আটা | ১০০ গ্রাম |
৪ | ডিম | ১ টি |
৫ | চিনি | পরিমাণ মতো |
৬ | লবণ | সামান্য পরিমাণ |
৭ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
" ধাপ : ১ "
প্রথমে পরিমাণমতো সুজি ও আটা নেবো। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ২ "
এবার কলা দুটো কে ছিলিয়ে নিতে হবে এবং ডিম টিকে ভেঙ্গে নিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
এবার কলা দুই টিকে হাত দিয়ে পেস্ট করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মতো করে।
" ধাপ : ৪ "
এবার পরিমাণমতো নেয়া আটা, সুজি, চিনি, চিত্রে দেয়া সামান্য পরিমাণ লবণ ও ভেঙে নেয়া ডিম কলা পেস্ট এর উপরে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
এবার হ্যান্ড ব্লেন্ডার দিয়ে ভালোভাবে মিক্সার করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
" ধাপ : ৬ "
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে চামচের সাহায্যে মিক্সার গুলো চিত্রের মত করে তুলে গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
এবার গরম তেলে ছেড়ে দেবার পর কিছুক্ষণ ভাজা হলে নিচের অংশ গুলো যখন লাল হয়ে আসবে, তখন আবার সবগুলো গোলা উল্টে দিতে হবে।
" ধাপ : ৯ "
এবার গোলাগুলো এপিঠ-ওপিঠ ভাজার পর লাল বর্ণের হয়ে আসলে জালি দিয়ে তুলে আলাদা একটি পাত্রে সংগ্রহ করতে হবে।
" ধাপ : ১০ "
এভাবেই তৈরি হয়ে গেল কলা সুজি দিয়ে সু স্বাদু পিঠার রেসিপি।
এবার আপনার মনের মত করে সাজিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আপনার তৈরি কলা সুজি দিয়ে সুস্বাদু পিঠার রেসিপি।
আশা করি আমার তৈরি কলা সুজি দিয়ে সু স্বাদু পিঠার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আপনার তৈরি করা পিঠার রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এভাবে পিঠা তৈরি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি এই পিঠা তৈরীর রেসিপি অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রন্ধনপ্রণালী দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনেক দক্ষতার সাথে এই পিঠা তৈরি করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
কলা সুজি দিয়ে সুস্বাদু পিঠা খেতে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগে। সেদিন এই পিঠাটি খেয়ে খুবই স্বাদ পেয়ে ছিলাম। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
কলা সুজি দিয়ে সু স্বাদু পিঠার রেসিপি দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করলেন। আপনার রেসিপি উপস্থাপন এবং পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার রেসিপির উপস্থাপন দেখে শিখতে পারলাম, পরবর্তীতে তৈরি করবে ইনশাল্লাহ।
আমার তৈরি রেসিপির উপস্থাপন এবং পরিবেশন আপনার কাছে খুবই ভালো লেগেছে জানতে পেরে ভীষণ খুশি হলাম ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এটি একটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রেসিপি ।বিশেষ করে জ্যৈষ্ঠ মাসে এর চাহিদা বেশি দেখা যায় ।খুব সুন্দর কিছু।
বড় ভাই, আমার পোস্টে এসে মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও আসতে আমন্ত্রণ জানানো হলো।
ভাই বাড়ীতে মেহমান আসলে বাইরের খাবারের থেকে ঘরে হাতে বানিয়ে কিছু খাওয়ালে ভালো হয় ।কারণ এতে মেহমানরা খুশি হয় এছাড়া আপনি যে পিঠাতে তৈরি করেছেন এটি অল্প সময়ে তৈরি করলেও খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছে ।যেটা আপনার উপস্থাপনা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া খুবই অল্প সময়ে এবং সহজ পদ্ধতিতে এই পিঠাটি তৈরি করে মেহমান আপ্যায়ন করা সম্ভব। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা পরে আমার খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
কলা সুজি দিয়ে সু স্বাদু পিঠার রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। এধরনের পিঠা দেখলে মিতা লোভ সামলাতে পারি না। খেতে ইচ্ছা করছে, অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মিতা।
মিতা পিঠাটি শুধু দেখতে নয় খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছিল। কাছাকাছি থাকলে অবশ্যই এই পিঠাটি অবশ্যই আপনাকে খেতে দিতাম। সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এ ধরনের পিঠা আমাদের এলাকাতেও তৈরি হয়ে থাকে। তবে আমরা শুধু সুজি ব্যবহার করিনা আর আটার জায়গায় ময়দা ব্যবহার করি। আসলে বাইরের চানাচুর বা অন্য কোন খাবারের চাইতে ঘরে তৈরি এ ধরনের পিঠা অনেক বেশি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর হয়ে থাকে। এই পিঠা আমারও অনেক প্রিয়। ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই একদম সঠিক কথা বলেছেন, বাইরের চানাচুর বা অন্য কোন খাবারের চাইতে ঘরে তৈরি এ ধরনের পিঠা সুস্বাদু তো বটেই অনেক অনেক স্বাস্থ্যকরও হয়ে থাকে। এই পিঠাটি খাওয়ার সময় কলার আলাদা একটি ফ্লেভার পাওয়া যায় তাই আমার কাছেও খেতে দারুন লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এর আগেও কলা আর সুজি সমন্বয়ে পিঠার রেসিপি তৈরি করা দেখেছি। সাধারণত যে রেসিপি গুলো দেখতে বেশ লোভনীয় মনে হয় সেগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার শেয়ার করার রেসিপির ছবি দেখে বেশ লোভনীয় মনে হয়েছে।
কলা ও সুজি দিয়ে বানানো পিঠাটি সত্যিই খেতে অনেক অনেক মজাদার হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ইদানিং মানুষ নিত্যনতুন রেসিপি শেয়ার করা শুরু করেছে আমাদের মাঝে। অবশ্য খুবই ভালো লাগে এসমস্ত নতুন নতুন রেসিপি গুলো দেখে। ইচ্ছে জাগে মনে এমন সুন্দর সুন্দর রেসিপি তৈরি করি। যা খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপে ধাপে সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন সুজির তৈরি রেসিপি।
ভাই অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন আমার পোস্টে এসে এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।