ঠিকানা রেস্তোরাঁ-বাঙালীয়ানা খাবারের স্বাদ গ্রহণ
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। এইতো সেদিন আমি রংপুর বিভাগে গিয়েছিলাম ডাক্তার দেখানোর জন্য। আর সেই ডাক্তার দেখাতে গিয়ে আমি ভীষণ বিড়ম্বনায় পড়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তারের চেম্বারে গেলে সব সময়ে অপেক্ষা করতে হয় সিরিয়ালের জন্য। কিন্তু এই অপেক্ষা করা খুবই ধৈর্যের বিষয় যা আমার মাঝে নেই। আমার মনে হয় কতক্ষণে ডাক্তার দেখিয়ে আমি বাড়ি ফিরতে পারবো। আর তাই সবসময় চেষ্টা করি তাড়াতাড়ি যেন ডাক্তার দেখাতে পারি। যদিও বা ডাক্তার আমার আত্মীয় সেই সুবাদে আমি একটু তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখাতে পেরেছিলাম। কিন্তু এক্সরে করতে গিয়ে তার রিপোর্ট নেওয়া পর্যন্ত আমাকে অনেকটা সময় ডাক্তারের চেম্বারে অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
আর তাই দুপুরের খাবারের সময় পার হয়ে গিয়েছিল। পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা কিন্তু যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। চিন্তাভাবনা করলাম ডাক্তারের কাজ একবারে শেষ করে তবেই খাবার খাব। যেই ভাবা সেই কাজ ডাক্তারের চেম্বারের সমস্ত কাজ গুটিয়ে আমরা খাবারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম, স্থানটির নাম হচ্ছে ধাপ, রংপুর আর্মি ক্যান্টনমেন্ট এর কাছে। সেখানেই ঠিকানা রেস্তোরাঁটি অবস্থিত।
আমরা পৌছে গেলাম আমাদের গন্তব্যস্থল ঠিকানা রেস্তোরাঁ " বাঙালীয়ানা খাবারের রেস্তোরাঁ "। আমরা যেহেতু দুপুরের লাঞ্চ শেষবিকেলে করতে গিয়েছিলাম, তাই বিকেলের নাস্তার জমজমাট একটু ভিড় অনুভব করলাম। রেস্তোরাঁটিতে দেখতে পেলাম দুপুরের খাবার, গ্রিল, নান রুটি, ভেজিটেবল রোল, পরোটা, ফালুদা, লাচ্ছি, বিভিন্ন আইটেমের মিষ্টি ইত্যাদি অনেক খাবারের সমারোহ রয়েছে।
আমার অর্ধাঙ্গিনী ওয়াশরুম থেকে এসে একটি টেবিলে বসে পড়লো, আর আমি খাবারের অর্ডার করে ওয়াশরুম গেলাম। ওয়াশরুম থেকে এসে দেখি যথারীতি আমাদের টেবিলে খাবারগুলো পরিবেশন করে দেয়া হয়েছে।
অর্ডার মতো খাবার পরিবেশন করা দেখে আমার পেটের ক্ষুধা যেন আরো দ্বিগুণ হয়ে উঠল। প্রথমে আমাদের টেবিলে ভাত, ডাল, সবজি ও শশা লেবু পরিবেশন করেছিল।
তারপর পরিবেশন করেছিল রুই মাছের পিস ও মুরগির লেগ পিস। আমার অর্ধাঙ্গিনী মাংস খেতে অনিহা দেখালো তাই তাকে রুই মাছের পিস খেতে বললাম আর আমি মুরগির লেগ পিস নিয়ে বসে পড়লাম।
আমি, আমার অর্ধাঙ্গিনী ও আমার ছেলে খুবই তৃপ্তি সহকারে খাবারগুলো কব্জি ডুবিয়ে খাওয়া শুরু করলাম। খাবারের মান জাস্ট ফাটাফাটি। প্রচন্ড ক্ষুধায় খাবারগুলো যেন আমাদের কাছে অমৃত মনে হল। তাই তৃপ্তির সাথে খেয়ে পেট ভোজন করে ফেললাম। আমাদের একবেলার খাবারের সময় তারতম্য হওয়ার কারণে খাবারগুলো হয়তো এতটাই সুস্বাদু মনে হয়েছিল। এক বেলা খাবার খাওয়া দেরি হওয়াতে আমরা পেটের ক্ষুধায় অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম। তাই হঠাৎ করেই মাথায় চিন্তা আসলো যারা আর্থিক অনটনের কারণে ঠিকমতো খাবার খেতে পারে না তাহলে তাদের অবস্থাটা কি রকম হয়। তাই খাবার খাওয়ার পরে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম এবং দোয়া প্রার্থনা করলাম সেই সব মানুষের প্রতি যারা খাবার ঠিকমতো খেতে পারেনা। মহান আল্লাহ তাআলা সবার রিজিকে যেন তিন বেলা খাবার খাওয়ার মত তৌফিক দান করে। আমিন
আশা করি আমার ঠিকানা রেস্তোরাঁ-বাঙালীয়ানা খাবারের স্বাদ গ্রহনের পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার এই পোস্ট দেখে কিছুটা অবাক হয়েছিলাম। রেস্টুরেন্ট এর নাম আবার এমন হয়! ঠিকানা রেস্তোরাঁ। কিছুটা হাস্যকর মনে হলে হয়তো অনেক জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে আমারও ভালো লাগে। অন্যরকম একটা অনুভূতি কাজ করে মনের মধ্যে।
ঠিক বলেছেন ভাই ঠিকানা রেস্তোরাঁটি অনেক অনেক জনপ্রিয়। তাই এখানে প্রচুর ভিড়ও হয়। আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন বেশ ভালো থাকলেও খাবারের মানগুলো ঠিকঠাক থাকে না। তবে খাবারের মানগুলো বেশ ভালো ছিল যেন খুশি হলাম আর আপনারা সপরিবারে কব্জি ডুবিয়ে খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শুধু তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিকার অর্থেই ঠিকানা রেস্তোরাঁর খাবার অনেক মানসম্মত ছিল। তাই খেতেও অনেক অনেক সুস্বাদু মনে হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাই আসলে ঠিকই বলেছেন ডাক্তারের কাছে গেলে আসলে অনেক বেশি অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষা করতে করতে হয়ত রোগী আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে আপনি অপেক্ষা করে ক্ষুধা লেগেছে আপনি খাবার খেয়ে নিয়েছো এটা ভালো ভালো ছিল। খাবার গুলো সত্যিই খুব লোভনীয় ছিল দেখেইতো লোভ লেগে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের শেয়ার করার জন্য ।
অপেক্ষা করা অনেক কষ্টের কাজ।ডাক্তারের কাছে গেলো তো।রোগীদের ভিড়ে আরো বেশি অস্বস্তি লাগে।যাই হোক জমপেশ খেলেন মনে হচ্ছে। 🤪
অপেক্ষা করা তাও আবার ডাক্তারের কাছে, অনেক ধৈর্যের ব্যাপার যা আমার মোটেও ভালো লাগে না। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আপনার এই পোস্ট দেখে বোঝা যাচ্ছে রেস্টুরেন্টে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্তের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। রেস্টুরেন্ট এর খাবার গুলো সত্যিই অনেক বেশি লোভনীয় ছিল দেখেই জিভে জল এসে গিয়েছে ।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আসলে প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়ে খাবার খেয়েছেন তো এ কারণে খাবারের স্বাদটা খুব অন্যরকম ছিল খুবই ফাটাফাটি ছিল। আসলে দুমুঠো ভাত খাবার জন্যই তো এত পরিশ্রম পৃথিবীর এত সব কিছু। ভালো লাগলো ভাই আপনার আত্ম তৃপ্তি দেখে।
ঠিক বলেছেন ভাই ক্ষুধার্ত অবস্থায় ডাল ভর্তা ভাত খেলেও খুবই সুস্বাদু মনে হয়। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।