মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আমারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে "মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি" পোস্ট উপস্থাপন করব। মাছে চর্বির পরিমাণ একেবারেই কম আর প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই মাছ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। ছোট ছোট সোনামণিদের শারীরিক গঠনের জন্যও এই মাছের ভূমিকা অপরিসীম। আর মাছ-মাংস থেকে আমরা যেসব ভিটামিন পেয়ে থাকি, তা বাদেও আমাদের শরীরে অনেক ভিটামিনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা আমরা শাকসবজি থেকে পেয়ে থাকি।
আজকের উপকরণে কচুর বই ও আল রয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে এই কচুর গুন সম্পর্কে জানি। এই কচুর গাছের পাতা, কচুর ডাটা ও কচুর বই, এক কথায় এই কচুর গাছ আমাদের মানবদেহ গঠনে অনেক উপকার করে। আজকের উপকরণে নেয়া এই কচুর বই, আমাদের শরীরের হৃদ যন্ত্রর জন্য, কিডনির জন্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য, পাকস্থলীর জন্য, শরীরের মেদ কমানোর জন্য, ও ত্বকের জন্য ইত্যাদি, ইত্যাদি অনেক উপকার করে।
এদিকে আবার আলুতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, মিনারেল ও ভিটামিন আছে, যা মানুষেকে সুস্বাস্থ্য করতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও আলু দিয়ে ত্বকের পরিচর্যা ও চুলের পরিচর্যা করে থাকে। আজকের উপকরণে নেয়া মাছ, কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি মানে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিনের যোগান দেয়া। তাহলে বন্ধুরা আজকে আমার তৈরি মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছি, তার প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। চলুন তাহলে আমার বন্ধন প্রণালীর ধাপ গুলো দেখে নেয়া যাক।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | মাছ | ৬ পিস |
২ | আলু | ৩০০ গ্রাম |
৩ | কচুর বই | ৩০০ গ্রাম |
৪ | ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
৫ | শুকনা মরিচ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
৬ | হলুদ গুড়া | ১ চা চামচ |
৭ | জিরা বাটা | ২ চা চামচ |
৮ | সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
৯ | লবণ | স্বাদমতো |
" ধাপ : ১ "
প্রথমে উপরে দেয়া চিত্রের মত করে মাছ গুলো ও ধনিয়া পাতা গুলোকে কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
" ধাপ : ২ "
এবার উপরে দেয়া চিত্রের মত করে কচুর বই ও আলু গুলোর ছাল ছাড়িয়ে, টুকরো করে কেটে নিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
এবার উপরে দেয়া চিত্রের মত করে পেঁয়াজ গুলোর ছাল ছাড়িয়ে, কুচি করে কেটে নিতে হবে।
" ধাপ : ৪ "
এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে, কেটে নেয়া পেয়াজ কুচি গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে বাদামি রঙের করে ভেজে নিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রঙের ভাজা হয়ে গেলে, এক কাপ পরিমাণ পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। পানি গরম হয়ে আসলে, উপকরণে নেয়া সকল মসলা কড়াইতে ঢেলে দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
এবার মসলা পানি গুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে নেয়ার পর, পরিষ্কার করে নেয়া মাছগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
![]() | ![]() |
---|
এবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। তারপর মাছগুলোকে সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৯ "
![]() | ![]() |
---|
এবার পানি কড়াইতে ঢেলে দেয়ার পর আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে, পানি গুলোকে মাখোমাখো করে ঝোলে পরিণত করে নিতে হবে। তারপর কেটে নেয়া ধনিয়া পাতার অল্প পরিমাণ মাছের উপরে ছড়িয়ে দিয়ে, ১-২ মিনিট কষিয়ে নিয়ে মাছগুলোকে আলাদা একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে।
" ধাপ : ১০ "
![]() | ![]() |
---|
এবার কষানো মাছগুলোকে তুলে নেবার পর, মাখো মাখো করে নেয়া ঝোল গুলোর উপরে কচুর বই ও আলুগুলো ঢেলে দিতে হবে। তারপর চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ১১ "
এবার কিছুক্ষণ কষিয়ে নেবার পর, কচুর বই ও আলু গুলো সিদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। এবং আরো কিছুক্ষন কষিয়ে পানি গুলোকে পুনরায় মাখো মাখো করে ঝোলে পরিণত করতে হবে। তারপর কষানো মাছগুলো কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ১২ "
এবার কষানো মাছগুলো ঢেলে দেয়ার পর, রেখে দেয়া অর্ধেক ধনিয়া পাতা কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্খিত মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি ।
এবার আলাদ একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে মনের মত সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন এই মজাদার রেসিপি।
আশা করি আমার তৈরি মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। কালারটা দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু আমার তৈরি রেসিপিটির শুধু কালার নয় খেতেও খুবই মজার হয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মাছ দিয়ে কচুর ছরি ও আলুর মজাদার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে মিতা। চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক অনেক ধন্যবাদ মিতা সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে আরো নিত্য নতুন রেসিপি তৈরি করতে আমাকে অনুপ্রাণিত করার জন্য। ধন্যবাদ
মাছ দিয়ে কচুর বই এবং আলুর দারুন মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি এই ধরনের রেসিপি খেতে আমি খুবই পছন্দ করি। এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যিকার অর্থেই মাছ দিয়ে কচুর বই রেসিপি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ
কচু দিয়ে সাধারণত ইলিশ মাছের রেসিপি তৈরি করলে সেটা অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন যেটা আমার দেখা একটা ভিন্ন ধরনের রেসিপি। রেসিপিটা আমার কাছে নতুন হলেও দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। এমন লোভনীয় ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া ঠিক বলেছেন কচুর বই দিয়ে ইলিশ মাছের রেসিপি অনেক মজার হয়ে থাকে। কিন্তু ইলিশ মাছ সব সময় হাতের নাগালে পাওয়া যায় না। তবে কচু ও মাছ দিয়ে সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে খেলে মন্দ হয় না। ধন্যবাদ
ভাই আপনি অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এটি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে, আশা করি খেতেও ভীষণ মজাদার হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মাছ দিয়ে কচুর বই ও আলুর রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
যে ভাইয়া সুস্বাদু রেসিপিটি খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছিল। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি এই রেসিপি নিয়ে অনেক উপকারিতার বর্ণনা দিয়েছেন যেটি সত্যি সবার জানা দরকার ছিলো, এছাড়া কচুর বই দিয়ে মাছ রান্না করলে খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার হয় ভাইয়া, আপনার রান্নার পদ্ধতি আমার খুবই ভালো লেগেছে, অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন, এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
![default.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNwBDPMPvL1yaKWTYF4wxyUmxWiEJgAy1WZWTJyCha5wE/jswit_comment_initial.w320.jpg)
মাছ কচু ও আলুর মিশ্রণে লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন রেসিপিটি দেখেই জিভে জল চলে আসলো ইচ্ছে করছে খেতে শুরু করি বিশেষ করে রন্ধন প্রণালী খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা থাকলো ভাইয়া আপনার জন্য
ভাই আমার তৈরি রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলে আমার বাসায় চলে আসেন এই সুস্বাদু রেসিপি নতুন করে তৈরি করে খাওয়াবো। ধন্যবাদ
খুবই মজাদার একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই মাছের রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আমার রেসিপি পোস্ট আপনার কাছে দেখে লোভনীয় মনে হয়েছে এবং ভালো লেগেছে জানতে পেরে ভীষণ খুশি হলাম। ধন্যবাদ