তিস্তা সেতুতে আমার কাটানো কিছু সময়//১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox🦊 এর জন্য
"আজ মঙ্গলবার-১লা-চৈত্র-১৪২৮ বঙ্গাব্দ, ১৫ই-মার্চ-২০২২ সাল"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি আগেই আমার অন্যান্য পোষ্টের মাধ্যমে বলেছিলাম বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানো আমার একটি শখ। আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম সদরে হওয়ার কারণে যদি কখনো রংপুর বিভাগে যেতে হয় তাহলে তিস্তা নামের একটি সেতু পার হয়ে যেতে হয়। আর এই সেতুর ওপর দিয়ে যতবারই আমি যাতায়াত করেছি ঠিক ততোবারই কিছুটা সময় হলেও এখানে পার করে গিয়েছি। আর সেই সময়ের পার করা স্মৃতিটুকু ও আনন্দটুকু আপনাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য আমার এই পোস্টটি উপস্থাপন করলাম।
এই কিছুদিন আগে আমি রংপুরে গিয়েছিলাম ফিরে আসার সময় এই তিস্তা সেতুর উপরে কিছুটা সময় পার করব বলে মনে স্থির করলাম। আমি কুড়িগ্রাম থেকে রংপুরে যাতায়াত করলে সব সময় মোটরসাইকেলে যাতায়াত করে থাকি। যার কারণে এই তিস্তা সেতু তে এসে বিরতি দেওয়া খুব বেশি একটা অসুবিধা মনে হয় না। আর তাই তিস্তা সেতুতে প্রবেশের সময় আমার মুঠোফোনে একটি ছবি তুলে নিলাম স্মৃতি হিসেবে ক্যামেরাবন্দি হয়ে থাকবে আমার মুঠোফোনে।
এই হচ্ছে আমাদের তিস্তা সেতু, এটি একটি ব্যস্ততম সেতু এই সেতুর ওপর দিয়ে দুইটি জেলার সকল প্রকার যানবাহন এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। আমি যখন তিস্তা সেতুতে পৌঁছেছিলাম, তখন ঠিক দুপুর সময়। তাই সেই সময় এই সেতুটি একদম ফাঁকা ফাঁকা ছিল। কারণ ঢাকাগামী যে বাসগুলো এ সেতুর উপর দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় সে সময়টি হচ্ছে সকালে ও রাতে যার কারণে ওই সময়টাতে এই সেতুটি বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে যানবাহনের ভিড়ে। এই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে যখন দূরের প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখা যায় তখন কি অপরূপ দৃশ্য অবলোকন করা যায় তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। আমি এই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে চটজলদি আমার মুঠোফোনে একটি ছবি তুলে নিলাম।
এখন আমি যেখানে দাঁড়িয়ে দূরের ওই সেতুটির ছবি তুলেছি সেটি হচ্ছে ব্রিটিশের তৈরি তিস্তা ব্রিজ। আমি যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম সেটি হচ্ছে নতুন তিস্তা সেতু আর দূরের ওই ব্রিটিশের তৈরি তিস্তা ব্রিজ পুরাতন ব্রিজ। এই ব্রিজটি আগে বেশি ব্যস্ততম ব্রিজ ছিল। কারণ নতুন সেতুটি হওয়ার আগে এই ব্রিজের ওপর দিয়ে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনসহ ট্রেন চলাচল করত। কিন্তু এখন সেটি শুধুই ট্রেন চলাচলের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। নতুন যে তিস্তা সেতু আছে একে তিস্তা সেতু বলে এবং পুরাতন টিকে সবাই তিস্তা ব্রিজ হিসেবে নামকরণ করেছে।
আমি যখন এই তিস্তা সেতুর উপরে দাঁড়িয়ে আছি তখন দেখি জেলেরা তিস্তা নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে রেখেছে। নৌকায় করে তারা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরে থাকে। আমি সেদিন এই জেলেদের কাছ থেকে টাটকা মাছ কিনে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই মাছগুলোর ছবি আমি সংরক্ষণে রাখতে পারিনি। যার কারণে আমি তা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারছিনা। জেলেরা এই তিস্তা নদী থেকে মাছ সংগ্রহ করে শুটকি তৈরি করে তিস্তা বাজারে এক আরদে প্রচুর পরিমাণে শুটকি বিক্রি করে থাকে। আমি তিস্তা সেতুর ওপরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য টি দেখছিলাম।
এখন আমরা নতুন তিস্তা সেতু থেকে পুরাতন সেই ব্রীজে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় পার করি। এই ব্রিজটি ব্রিটিশের তৈরি। এর মেয়াদ শেষ হয়েছে অনেক আগে তবুও এখনো ট্রেন চলাচলের জন্য এই ব্রিজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ব্রীজ পুরোটায় লোহার তৈরি। এই ব্রিজে দাঁড়িয়ে তিস্তা নদীকে দেখলে ভীষণ ভালো লাগে। তাই আমরা এই ব্রিজে এসে অনেকটা সময় পার করে গিয়েছি।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে আমার খুবই ভালো লাগে। আর তাই যখনই আমার সময় সুযোগ হয় তখনই চেষ্টা করি কোন না কোন জায়গায় গিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে আসি। আর তাই সেদিন তিস্তা সেতুতে আমার কাটানো সময়টুকু ভীষণ আনন্দে কেটেছিল। আমি নতুন তিস্তা সেতু ও পুরাতন তিস্তা ব্রিজে অনেকটা সময় পার করে বিকেলের দিকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আর তাই ফেরার পথে আবারো আমি আমার মুঠোফোনে নিজের একটি সেলফি ক্যামেরা বন্দি করে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিলাম।
Device | oppo A16 |
---|---|
Photographer | মাহবুবুল ইসলাম লিমন |
W3w Location | https://w3w.co/ravine.recounts.heedlessly |
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয় দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে আমি নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, বাংলায় হাসতে, আরো ভালো লাগে এই অপরূপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকলকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
তিস্তা ব্রিজে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে যে কোন ব্রিজে উঠে নদী দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এ সুন্দর জেলেরা মাছ ধরছে অসাধারণ একটি সময়ে গিয়েছেন।মাছ ধারা দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে।যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। এভাবেই পাশে থাকবেন সবসময়। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মনে হচ্ছে আপনি অনেক ভালো সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। উপর থেকে নদীতে ফটোগ্রাফি টাও খুব ভালো ক্যাপচার করেছেন। অনেক ভালোই ঘোরাফেরা করেছেন। মনে হচ্ছে খুব সুন্দর উপভোগ করেছেন। আমাদের মাঝে এরকম একটা মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আমার পোস্টে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তিস্তা সেতুতে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আমি কখুনো যায়মি তিস্তা সেতুতে তবে ইচ্ছা আছে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর উপস্থাপন এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তিস্তা সেতু তো আপনার কাটানো সময়টুকু পড়ে অনেক ভালো লাগলো । আপনার অনেক সুন্দর সময় কাটানোর সাথে সাথে ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে করেছিলেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আমার পোস্টে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এই তিস্তা ব্রিজে অনেক ছোট বেলায় গিয়েছিলাম। ভিন্নজগতে যাওয়ার সময় এই ব্রিজের উপর দিয়ে যেতে হয়। আপনাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
। শুভকামনা রইল ভাই আপনার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আমার পোস্টে এসে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
তিস্তা ব্রিজে কখনো যাওয়া হয়নি। তবে ব্রিজের ওপরে থেকে আপনি যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন তা দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি দেখতে অসাধারণ হয়েছে। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে এভাবে ঘুরতে গেলে আমাদের সবারই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে আপনার আনন্দময় মুহূর্তগুলো শেয়ার করেছেন বলে।
আমার পোস্টে এসে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তিস্তা সেতু দেয়া আমি আজও কখনো যায়নি তবে আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে তিস্তা সেতু অনেক সুন্দর ভাবে দেখতে পেলাম এবং আপনার মুহূর্তগুলো অনেকটাই উপলব্ধি করতে পারলাম। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার তিস্তা সেতুতে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার অসাধারণ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
তিস্তা সেতুতে কখনো যাওয়া হয়নি ভাই।সামনাসামনি কখনো না দেখলেও আপনাদের পোস্টের মাধ্যমে তিস্তা সেতু দেখে ভালো লাগলো।যাওয়ার ইচ্ছা আছে।আপনি তিস্তা সেতুতে গিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার পোস্টে এসে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।