রংপুরের CAFE 66 রেস্টুরেন্টের স্বাদ গ্রহণ || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে রংপুরের CAFE 66 এ সময় কাটানো নিয়ে কিছু কথা উপস্থাপন করব। আমি শুধু শুনেছিলাম রংপুরের CAFE 66 সেনাবাহিনী দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এবং তাদের খাবারের মানও খুব ভালো। তাই খুব ইচ্ছে হল CAFE 66 গিয়ে কিছুটা সময় কাটানোর। কেননা সুস্বাদু খাবারের প্রতি আমার আলাদা একটা টান রয়েছে। আর এই টানে চলে যাই বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করতে।
আমি শুধু বাইরে থেকে CAFE 66 রেস্টুরেন্টটি বেশ কয়েকবার দেখেছিলাম। ভিতরে কি অবস্থা তা কখনো দেখার সময় ও সুযোগ হয়নি। তাই সেদিন কিছুটা সময় হাতে নিয়েই CAFE 66 রেস্টুরেন্ট গিয়ে উপস্থিত হলাম। আমি রেস্টুরেন্টের বাইরে থেকে যতটা ভালো মনে করেছিলাম, ভেতরে গিয়ে দেখি আমার ধারণার চাইতেও রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই মনোমুগ্ধকর। আর সেখানে প্রবেশ করতেই আমার ভালোলাগা অনেকটাই বেড়ে গেল। সেই সাথে এই রেস্টুরেন্টের সুসজ্জিত আলোকসজ্জা আমার ছেলের আনন্দের মাত্রা কে বাড়িয়ে তুলল।
সেদিন রাতে CAFE 66 রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাবার খাওয়ার আগে এই রেস্টুরেন্টের মনোরম পরিবেশে কিছুটা ঘোরাফেরা করে শরীর ও মনটাকে চাঙ্গা করে নিলাম। প্রচন্ড গরমে শরীরটা খুবই অস্থির হয়েছিল কিন্তু যখন এই সুন্দর পরিবেশে হাঁটাহাঁটি করছিলাম তখন মনে হচ্ছে শরীরটা অনেকটাই শীতল হয়ে গেছে। সত্যিকার অর্থেই এই রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খেয়ে যতটা স্বাদ পেয়েছি তার চেয়ে বেশি এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশে থাকতে পেরে শান্তি পেয়েছি।
এটি হচ্ছে CAFE 66 রেস্টুরেন্টে ঢোকার মূল সদর গেট। এখান দিয়েই রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। গেটটি সবুজ রঙের আলোকসজ্জা দিয়ে সুসজ্জিত করেছে যা দেখা মাত্র সকলের নজর কেড়ে নেয়। রাতের বেলা এই আলোকসজ্জা এতটাই সুন্দর লাগছিল যা রেস্টুরেন্টের গ্রাহকদের আকর্ষণ করছিল। ভেতরে প্রবেশ করে হাতের বাম দিকে একটি রাস্তা চলে গেছে যেখানে গাড়ি পার্কিং এর ব্যবস্থা রয়েছে। আর ডান পাশে যে রাস্তাটি চলে গেছে, এটি রেস্টুরেন্টের কাছাকাছি গিয়ে শেষ হয়ে গেছে।
রেস্টুরেন্ট এর বাইরের এরিয়াতে খুবই সুন্দর একটি সবুজ ঘাসের মাঠ রয়েছে যা দেখলে মনে হয় কেউ যেন এখানে সবুজ রঙের গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। দেখতে অদ্ভুত রকমের সুন্দর মনে হচ্ছিল। এই সবুজ ঘাসের মাঠে অনেকগুলো গাছ রোপন করা রয়েছে। আর সেই গাছ বর্ণিল আলোকসজ্জায় সুসজ্জিত করে দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়েছে। আর এখানেও অনেক বড় ছাতা দিয়ে বেশ কয়েকটি টেবিল ও চেয়ার বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ইচ্ছে করলে এখানে বসেও বাইরের পরিবেশ দেখতে দেখতে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা যাবে।
এটি হচ্ছে রেস্টুরেন্টের ভিতরে প্রবেশ করার ছোট গেট। আর এই ছোট গেট দিয়ে রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করতে হয় যেখানে এসি করা রয়েছে। এখানে প্রবেশ করা মাত্রই বাইরের গরম আবহাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়ে ঘরের ভেতরের শীতল আবহাওয়া শরীরকে ঠান্ডা করে দিচ্ছে। আমরা এখানে বসেই খাবার খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।
এখানকার নিয়ম ছিল অর্ডার করার পর খাবারের আগেই বিল পরিশোধ করে দেয়া। এক কথায় যাকে বলে পে ফার্স্ট pay first । আমরা অর্ডার দিয়েছিলাম ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কোলড্রিংস ও লাচ্ছি। খাবারের অর্ডার দেয়ার অন্ততপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরে খাবার পরিবেশন করে দেয়া হবে। তাই খাবার পরিবেশনের আগে অপেক্ষার মুহূর্তে একটি সেলফি তুলে নিলাম।
অপেক্ষার পালা শেষ এবার খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার সময় এসে গেছে। খাবারগুলো খেয়ে আমরা খুবই তৃপ্তি পেয়েছি। খাবারের মান অত্যন্ত সন্তোষজনক ছিল। মনে হচ্ছিল এই রেস্টুরেন্টে আসা সার্থকতা লাভ করেছে খাবারের স্বাদ গ্রহণ করে। এবার আমাদের খাবার খাওয়া শেষে বাড়ি ফেরার পালা।
আশা করি আমার CAFE 66 রেস্টুরেন্টের স্বাদ গ্রহণের পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
রাতের বেলা জায়গাটাকে বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়েছে তাছাড়া জায়গাটার ডেকোরেশন অনেক ভালো লেগেছে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন আমার কাছেও খুবই ভালো লেগেছে। রাতের বেলা এত সুন্দর মন মুগ্ধকর পরিবেশে সময় কাটাতে পেরে সত্যিই ভালোলাগাটা অনেক বেশি ছিল। আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
খাবারের আগেই বিল দিয়ে দিতে হয় এটা প্রথম শুনলাম। আর সেনাবাহিনী যেখানে নিয়ন্ত্রণ করে তাহলে অনেক শৃঙ্খলার মধ্যে থাকবে। ক্যাফে-৬৬ আসলেই খুব সুন্দর দেখতে। ভিতরের ডেকোরেশন ও ভালো। ভালো সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।
ভাই, এখন অনেক রেস্টুরেন্টেই খাবারের আগেই বিল দিতে হয়। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুবই মনোমুগ্ধকর যা দেখা মাত্রই ভালো লেগে যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ