ঢাকা ভ্রমণের স্মৃতি-পর্ব ২||১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox 🦊এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মাবলম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছি সুস্থ্য আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমি আমার প্রথম পর্বে জানিয়েছি আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং ঢাকায় ভোর বেলায় গিয়ে পৌঁছে ছিলাম। আমরা যখন ঢাকা ভোরবেলায় পৌঁছাই তখন ঢাকার পরিবেশ টা এতটাই স্বচ্ছ মনে হচ্ছিল যে দিকেই তাকাই সেদিকেই দেখি লোকজনের সমাগম একদম কম। সকালের সূর্য হালকা রোদের ঝলকানি আকাশে পাখি উড়ে যাওয়া এবং রাস্তায় রাস্তায় যানবাহনের কোলাহল একদমই কম। আমার কাছে এ যেন অন্য রকম ঢাকা শহর মনে হচ্ছিল। আমি সকালে গিয়ে পৌঁছায় সিএনজিযোগে আমার গন্তব্য স্থল শেওড়া বাজার গিয়ে পৌছালাম। কারন আমার আত্মীয়র বাড়ি ছিল ঢাকার শেওরা বাজারে। আমরা আমাদের আত্মীয়ের বাসায় গিয়ে পৌঁছালে তারা আমাদের দেখামাত্রই ভীষণ খুশি হলো।
আমার আত্মীয়ের বাসায় পৌছার পরে একটু ফ্রেশ হয়ে নেই। ফ্রেশ হওয়ার পরে আমরা হালকা নাস্তা করে নেই। আমরা সারারাত জার্নি করার পরে আমাদের শারীরিক অবস্থা খুব বেশি একটা সুবিধা মনে না হাওয়াই বিকেল পর্যন্ত আমরা কোথাও ঘুরতে বেড়ালাম না। আমার আত্মীয়ের মাধ্যমে জানতে পারি তাদের বাড়ি থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক পায়ে হেঁটে মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা। তাই আমরা বিকেল বেলায় যমুনা ফিউচার পার্ক এর উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। যমুনা ফিউচার পার্ক গিয়ে জানতে পারলাম করোনাকালীন সময়ের জন্য যমুনা ফিউচার পার্কের রাইডার গুলো বন্ধ আছে। এজন্য আমরা পার্কের ভেতরে প্রবেশ না করে যমুনা ফিউচার পার্কের শপিং মলে গিয়ে প্রবেশ করলাম, হালকা কিছু কেনার কাটার উদ্দেশ্যে।
যমুনা ফিউচার পার্কের শপিংমলে ঢুকতেই দেখি একদিক দিয়ে মহিলারা প্রবেশ করে আর অন্য দিক দিয়ে পুরুষেরা প্রবেশ করে। যে পাশে মহিলারা প্রবেশ করছিল তাদের ব্যাগ চেকিং এর জন্য অত্যাধুনিক মেশিন এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। আমরাও যথারীতি ব্যাগ চেকিং এর পর শপিংমলের ভেতরে প্রবেশ করলাম।
যমুনা ফিউচার পার্কের ভেতরে ঢুকে এলাহি কারবার দেখে মনটা কেমন চনমনে হয়ে উঠল। আমার বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় হাওয়ায়, ছোট্ট পরিসরে মার্কেটগুলো ঘোরাফেরা করতে করতে হঠাৎ করেই যমুনা ফিউচার পার্কের মতো অত বড় প্রতিষ্ঠান গিয়ে সত্যিই ভালো লাগাটা অনেক বেড়ে গেল। অনেক লোকের সমাগম এ মার্কেটে যেন মৌ মৌ করছে। বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য সামগ্রী নিয়ে দোকান গুলো সুসজ্জিত করে রেখেছে। আর আমরা সেই দোকানগুলোতে গিয়ে ঘুরেফিরে দেখছি আর কেনাকাটার জন্য দ্রব্যসামগ্রী হাতে নিয়ে দেখছি। অনেক বড় বড় দোকান তার মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে দ্রব্যসামগ্রী মনে হচ্ছে পছন্দ না হওয়ার মতো কোনো কিছুই নেই। যা দেখছি সবই ভালো লাগছে।
দোকান গুলোতে জিনিস গুলো দেখতে ভীষন ভালো লাগছিল আর কিছু কিছু জিনিস টুকটাক করে কিনতে লাগলাম। তবে একটা কথা বলতে চাই এখানে জিনিসপত্রের প্রচুর দাম। আমরা বাইরে যে টাকা দিয়ে দ্রব্য সামগ্রী কিনতে পাব তার চেয়ে অধিক চড়া মূল্যে এখান থেকে দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় করতে হয়। তাই আমরা খুব বেশি কেনাকাটা করার ইচ্ছাটা পোষণ করা বন্ধ করে দিলাম। আমরা যে জুতার দোকানে প্রবেশ করেছিলাম তার প্রত্যেকটি জুতা পছন্দ করার মত অসম্ভব সুন্দর ছিল। জুতাগুলো কে বাহারি সব ডিজাইনের রেক গুলোতে পরদে পরদে সাজিয়ে রেখেছে যা দেখে ভীষণ সুন্দর লাগছিল।
বিভিন্ন দোকান ঘুরতে ঘুরতে এবার আমি আমার ছেলের জন্য শার্ট ও প্যান্ট পছন্দ করতে বললাম আমার অর্ধাঙ্গিনী কে। তাই আমার অর্ধাঙ্গিনী আমার ছেলের জন্য দুটি প্যান্ট ও একটি শার্ট পছন্দ করে কিনে নিল। আর আমিও আমার ছেলের জন্য দুটি টি-শার্ট দেখে পছন্দ করে কিনে নিলাম। যদিওবা এখানে চড়া দামে জিনিস কিনতে হচ্ছে তথাপি যেন এত বড় শপিং মল থেকে মার্কেটিং করতে পেরে চড়া দামের কথা ভুলে গেছি। ছেলের জন্য কেনাকাটা শেষ হলে আমরা পুরো যমুনা ফিউচার পার্ক ঘুরে বেড়াবো এবং আরো অন্যান্য জিনিস ক্রয় করব তার কথা আগামী পর্বে উল্লেখ করব। আজ আর নয় আরো অনেক অনেক কেনাকাটাও ভালো লাগার মুহূর্ত গুলো আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব আগামী পর্বে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নি১য়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
ভাই আপনার ঢাকা ভ্রমণের স্মৃতির দ্বিতীয় পর্বটি অনেক সুন্দর ছিল।পড়ে ভালো লাগলো।যদিও প্রথম পর্ব পড়া হয়নি। এ পর্বে আপনার শপিং করার বিষয় তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার জন্য এবং ভালো ভালো মন্তব্য করার জন্য। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঢাকা ভ্রমনের দারুণ অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যমুনা ফিউচার পার্কে কেনাকাটা,চশমা,কাপড়, ব্যাগ,জুতার শোরুমগুলোতে খুব সুন্দর করে সামগ্রী সাজানো রয়েছে।দাম বেশি হওয়ায় অনেকটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়।এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই যমুনা ফিউচার পার্কে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।