আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। আর আজকের রেসিপি হচ্ছে পাবদা মাছ দিয়ে আলু, শসা ও সজনে ডাটার ঝোল রেসিপি। যে গরম পড়েছে তাতে করে সকলেরই পাতলা জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই উত্তম। দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদ, সেই সাথে অসহ্য গরম, জীবনকে একদম বিষিয়ে তুলেছে। এই গরমে কোন কিছু খেয়েও যেন শান্তি হচ্ছে না। শুধু ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খেলে প্রাণটা যেন একদম শীতল হয়ে যায়। তবে এখানেও বিপত্তি রয়েছে, ফ্রিজের পানি ঘনঘন খেলে ঠান্ডা কিংবা সর্দি লেগে যেতে পারে।

তাই পারোতো পক্ষে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি বেশি না খেয়ে, বরং লেবুর শরবত কিংবা ফলের জুস খাওয়া ভীষণ উপকারী। যাইহোক অনেক কথাই বলে ফেললাম, এবার আসি রেসিপির কথায়, আজ আমি পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি, আলু, শসা ও সজনে ডাটা মিক্সড করে। আমার কাছে এই রেসিপি খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে পাবদা মাছগুলো সাইজে একটু বড় হওয়ার কারণে, খেতে দারুণ লেগেছিল।

পাবদা মাছ ঝোল করে কিংবা সবজির সাথে মিক্সড করে খেতে আমার কাছে বেশ মজাই লাগে। তাই আমি চেষ্টা করেছিলাম, পাবদা মাছ দিয়ে আলু শশা ও সজনে ডাটার ঝোল রেসিপি খেতে যেন স্বাদের হয়, সেভাবে কষিয়ে রান্না করতে। যাইহোক বন্ধুরা, আমি কিভাবে মজার রেসিপি তৈরি করেছি, তার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন, আমার তৈরি পাবদা মাছ দিয়ে আলু, শসা ও সজনে ডাঁটার ঝোল রেসিপির রন্ধন প্রণালীর ধাপগুলো দেখে নেয়া যাক।

ক্রমিক নং	উপকরণ	পরিমাণ
১	পাবদা মাছ	৫০০ গ্রাম
২	শসা	২ টি
৩	সজনে ডাটা	২৫০ গ্রাম
৪	আলু	২৫০ গ্রাম
৫	পেঁয়াজ	৪-৫ টি
৬	জিরা বাটা	২ চা চামচ
৭	শুকনা মরিচ গুঁড়া	২ চা চামচ
৮	হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
৯	সয়াবিন তেল	পরিমাণ মতো
১০	লবণ	স্বাদ মতো

" ধাপ : ১ "

প্রথমে পাবদা মাছ গুলো কেটে, বেছে, ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর আলু, শসা ও সজনে ডাটা গুলো কেটে বেছে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ধাপ : ২ "

এবার পেঁয়াজ গুলোর খোসা ছাড়িয়ে, কুচি করে কেটে নিতে হবে। তারপর রান্না করার জন্য চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে।

" ধাপ : ৩ "

এবার কড়াই গরম হয়ে আসলে, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। ঢেলে দেয়া সয়াবিন তেল গরম হয়ে আসলে, কেটে নেয়া পেঁয়াজ কুচি গুলো, কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে বাদামী রঙ করে ভেজে নিতে হবে।

" ধাপ : ৪ "

এবার পেঁয়াজ কুচি গুলো বাদামী রঙ করে ভেজে নেয়ার পর, এক কাপ পরিমাণ পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। ঢেলে দেয়া পানি গরম হয়ে আসলে, উপকরণে নেয়া সকল মসলা কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে মশলা পানি কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৫ "

এবার মসলা পানি কিছুক্ষণ কষিয়ে নেয়ার পর, কেটে বেছে পরিষ্কার করে নেয়া মাছগুলো কড়াইতে ছেড়ে দিতে হবে। তারপর চামচের সাহায্যে হাল্কা নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে হাল্কা আচেঁ কষিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৬ "

এবার কষিয়ে নেয়ার পর কড়াইতে কিছুটা ঝোল রেখে, মাছগুলো আলাদা একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে। সেই সাথে কেটে রাখা আলু ও সজনে ডাটা করাইতে ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৭ "

এবার আলু ও সজনে ডাটা করাইতে ঢেলে দেয়ার পর, আবারো সামান্য পরিমাণ হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ও জিরা গুড়া কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। সেই সাথে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নেয়ার পর, কেটে রাখা শসা গুলো তুলে দিয়ে আবারো নেড়েচেড়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৮ "

এবার আলু শশা ও সজনে ডাটা ভালোভাবে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেয়ার পর, কড়াইতে পরিমাণ মতো পানি ঢেলে দিতে হবে। এরপর আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নেয়ার পর, আলাদা পাত্রে তুলে নেয়া মাছগুলো কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। আর মাছগুলো করাইতে ঢেলে দেয়ার পর আরো কিছুক্ষণ কষিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত পাবদা মাছ দিয়ে আলু শসা ও সজনে ডাটার ঝোল রেসিপিটি।

" শেষ-ধাপ "

এবার পরিবেশনের জন্য আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে, মনের মত সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।

---

---

আশা করি আমার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।