আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আমি আপনাদের মাঝে পেয়াজ দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। সব সময় বড় মাছ খেতে ভালো লাগে না। আর তাই মাঝে মাঝেই ছোট মাছ খাওয়ার ভিশন ইচ্ছে হয়। কিন্তু ছোট মাছ কাটাকাটিতে অনেকটা সময় ব্যয় হয় যার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও ছোট মাছগুলো খুব বেশি একটা কেনা হয় না। তবে নদীর ছোট মাছগুলো খেতে আমার কাছে দারুন লাগে। অনেকদিন থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এবং ঈদের ছুটি থাকার কারণে অর্ধাঙ্গিনী আর স্কুলে যাওয়া আসা নেই। তাই মাঝে মাঝেই এই ছোট মাছগুলো কিনে নিয়ে আসতে পারছি। আর সেই সুবাদে খাওয়াটাও বেশ জমে উঠেছে।

ছোটবেলায় যখন এই ছোট ছোট মাছগুলো খেতে চাইতাম না তখন বাবা-মা একপ্রকার জোর করে এই মাছগুলো খাওয়ানোর চেষ্টা করত। আর সব সময় বলতো ছোট মাছের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। আর এই ভিটামিনের অভাবে রাতকানা রোগ হতে পারে। আবার ছোট মাছ খেলে দৃষ্টিশক্তিও অনেক প্রখর হয়ে থাকে। বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে এই ছোট মাছগুলো আমাদের খাওয়ানো হতো। কিন্তু এখন যখন এই ছোট মাছগুলো খেতে ভীষণ পছন্দ করি তখন আর খুব বেশি একটা খাওয়া হয়ে ওঠে না।

আজ আমি বেশি করে পেয়াজ দিয়ে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি কিভাবে সুস্বাদু করে তৈরি করা যায় তার রন্ধন প্রণালী সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। বেশি করে পেয়াজ দেয়ার কারণে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি গুলো খেতে কিছুটা মিষ্টি মিষ্টি লাগবে যার কারণে খেতেও খুবই সুস্বাদু মনে হবে। এই নদীর ছোট মাছের চচ্চড়ি দিয়ে গরম গরম ভাত সেই সাথে পাতলা মসুরের ডাল এবং এক টুকরো লেবু দিয়ে খেতে পারলে খাওয়াটা বেশ জমে উঠবে। আমি কিভাবে এই ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছি তা আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি। তো বন্ধুরা কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক নদীর ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া।

ক্রমিক নং	উপকরণ	পরিমাণ
১	মাছ	৫০০ গ্রাম
২	পেঁয়াজ	মাঝারি ৫টি
৩	কাঁচা মরিচ	১০-১২টি
৪	হলুদ গুঁড়া	১ চা চামচ
৫	সয়াবিন তেল	পরিমাণ মতো
৬	লবণ	স্বাদমতো

" ধাপ : ১ "

প্রথমে মিশালী মাছগুলোকে কেটে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ধাপ : ২ "

এবার কাঁচামরিচ গুলোকে মাঝ বরাবর দুই ভাগে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ধাপ : ৩ "

এবার পেয়াজগুলোর খোসা ছাড়িয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ৪ "

এবার পরিষ্কার একটি কড়াই নিয়ে, কড়াইয়ে পেঁয়াজ কুচি, কেটে নেয়া কাঁচামরিচ, উপকরণে নেয়া হলুদ গুড়া ও লবণ কড়াইতে ঢেলে নিতে হবে।

" ধাপ : ৫ "

এবার পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ গুড়া ও লবণ একত্রে হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৬ "

এবার মাখিয়ে নেয়া পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ গুড়া ও লবণ এর উপর মাছগুলো ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৭ "

এবার মাছ ও মাখিয়ে নেয়া পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, হলুদ গুড়া, লবণ সহ একত্রে সবগুলো ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে।

" ধাপ : ৮ "

এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে মাখানো হয়ে গেলে, পরিমাণ মতো পানি কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। যাতে করে তরকারিটি সিদ্ধ হয়ে পানিগুলো সব শুকিয়ে যায়। এবং অবশ্যই ঢাকনা দিয়ে ঢেকে জাল দিতে হবে।

" ধাপ : ৯ "

এবার তরকারিতে দেয়া পানি গুলো যখন পুরোপুরি শুকিয়ে আসবে, তখন বুঝতে হবে আমাদের কাঙ্খিত সুস্বাদু দেশি মাছের মজাদার চচ্চড়ি সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে গেছে।

" ধাপ : ১০ "

এবার আলাদা একটি পাত্রে ঢেলে নিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন গরম গরম সুস্বাদু দেশি মাছের মজাদার চচ্চড়ি রেসিপিটি।

আশা করি আমার তৈরি সুস্বাদু দেশি মাছের মজাদার চচ্চড়ি রেসিপির পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।