অসহ্য গরমে ধরলা সেতুতে শান্তির খোঁজে
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বেশ কিছুদিন থেকে গরমের তীব্রতা জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলেছে। আর এই অসহ্য গরমে ঘরে কিংবা বাইরে কোথাও যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা যাচ্ছে না। গরমের যন্ত্রণায় সারাদিন শুধু ঘরে বসে বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস গায়ে জড়াতে ইচ্ছে করে। আর সে সময় যদি লোডশেডিং দেখা দেয় তাহলে তো মেজাজ বিগড়ে যায়।
তবে আমাদের আবার বড়ই সৌভাগ্য, কেননা পৌরসভার ভেতরে লোডশেডিং হয় না বললেই চলে। তবুও হঠাৎ করে যখন, কিছুক্ষণের জন্য হলেও বিদ্যুৎ চলে যায়, তখন যেন মনে হয় সবকিছু লন্ডভন্ড করে ফেলি। কেননা ঐ অতটুকু মুহূর্তে গরমের যন্ত্রণা কিছুতেই আর সহ্য হয় না। মনে হয় সারাটা দিন ফ্যানের নিচে শুয়ে বসে দিন কাটিয়ে দেই।
তারপরেও যখন দুপুরবেলা ঘরে বসে থাকি, তখন মনে হয় ফ্যানের বাতাসও উত্তপ্ত হয়ে যায়। আর উত্তপ্ত ফ্যানের বাতাস গায়ে লাগলে, কোনরকম শান্তি পাওয়া যায় না। আর তাই আমি ও আমার অর্ধাঙ্গিনী শান্তির খোঁজে গিয়েছিলাম ধরলা সেতুতে। এটা অবশ্য আমাদের পুরনো অভ্যেস। গরমকালে কিংবা শীতকালে যখন ইচ্ছে হয় তখনই আমরা এই ধরলা সেতুতে গিয়ে অনেকটা সময় কাটিয়ে আসি।
আর এত গরমে যখন আমরা ধরলা সেতুতেতে সময় কাটাচ্ছিলাম, তখন ধরলা নদীর ফুরফুরে হাওয়ায় আমাদের ভীষণ ভালো লাগছিল। তবে একটা কথা কি তখন পর্যন্ত ধরলা সেতুর রাস্তাটি বেশ উত্তপ্ত ছিল। তাই আমরা ধরলা সেতুতে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অন্য সময় হলে ধরলা সেতুর ফুটপাত গুলোতে অনেক সময় বসে থাকতাম। কিন্তু গতকাল আর তেমনটি করতে পারিনি।
আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অপলক দৃষ্টিতে যৌবনহীন নদীকে দেখছিলাম। ধরলা নদীকে যৌবনহীন কেন বললাম সেটা এবার ব্যাখ্যা করি, যখন নদীতে অথৈ পানি থাকে, চারিদিকে শুধু পানি আর পানি, আর সেই পানিতে পালতোলা নৌকা ছুটে চলে যায়। তা দেখতে কি অপূর্ব লাগে তা আপনারা সকলেই জানেন। আর সেই অপূর্ব দৃশ্য দেখে নদীকে যৌবনময় মনে হয়। তবে বর্তমানে নদীতে পানি না থাকার কারণে, বাধ্য হয়ে ধরলা নদীকে যৌবনহীন বলতে হচ্ছে।
নদীতে পানি না থাকার কারণে নদীকে প্রাণহীন মনে হলেও, এই প্রাণহীন নদীর কিন্তু আলাদা সৌন্দর্য রয়েছে। আর আমরা ধরলা সেতুতে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেই সৌন্দর্যগুলো উপভোগ করছিলাম। সত্যি ধরলা সেতুতে দাঁড়িয়ে নদীর বিশুদ্ধ হাওয়া গায়ে জড়িয়ে আমাদের সময়টা খুব সুন্দর কেটেছিল। আর তাই আমাদের কাটানো সুন্দর সময় টুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
যেরকম গরম পড়ছে ভাইয়া কোথাও একটু স্বস্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলেই হয়তো বা একমাত্র গরম থেকে কিছুটা রেহাই পাওয়া যাবে। তবে নদীর ধারে পানির সাথে বাতাসের যে একটা মিল রয়েছে এখানে অনেকটাই আবহাওয়া ঠান্ডা পাওয়া যায়। আপনিও আপু একটু স্বস্তির খোঁজে নদীর ধারে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। আপনার পোস্ট পড়ে ও ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাইয়া।
নদীর তীরে গিয়ে সত্যিই খুব স্বস্তি পেয়েছিলাম আপু। নদীর ফুরফুরে হাওয়া শরীরটাকে শীতল করে দিয়েছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গরম নিয়ে আমাদের আর কিছু বলার নেই। তবে যতো গরম হোক না কে নদীর ধারে গেলে নদীর মৃদু হাওয়া শরীরকে ঠান্ডা করে দেয়। আপনারা দুজনে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা দুজনে মিলে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলছেন পৌরসভা তে লোডশেডিং একটু কম হয় সেদিক থেকে একটু আরামে আছি আমিও। গ্রামের মধ্যে বেহাল অবস্থা কিছুক্ষণ পরপর কারেন্ট চলে যাই। বিশেষ করে গরমের দিনে গ্রামের মানুষের অনেক বেশি কষ্টে থাকে। আপনি শান্তির খোঁজে ধরলা সেতুতে গেলেন ভীষণ ভালো লাগলো দৃশ্য গুলো দেখে। এমন প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘোরাঘুরি করতে পারলে মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে যায়।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন, গ্রামের দিকে লোডশেডিং টা একটু বেশিই হয়। তবে আমাদের এখানে লোডশেডিং নেই বললেই চলে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া আপনাদের ওদিকটাতে লোডশেডিং হয়না।আমাদের এলাকায় ও লোডশেডিং হয় না।তবে হলেও ২/৩ মিনিট।এতেই কিন্তু অসহ্য হয়ে উঠি।কারন যে গরম পরেছে পুরো বাংলাদেশে।আপনি আর ভাবি মিলে ধরলা সেতুতে একটু শান্তির খোঁজে যান এটা জেনেও ভালো লাগলো। নদীর পানি এখন শুকিয়ে গেছে।আবার বর্ষা এলে নদীতে পানি দেখা যাবে। সেই সময় নৌকা ও দেখা যাবে। নদীর সৌন্দর্য ই তো পাল তোলা নৌকা।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু নদীর তীরে গিয়ে, নৌকার ছোটাছুটি না দেখলে আমার সত্যিই ভালো লাগেনা। এজন্যই ধরলা নদীকে প্রাণহীন নদী বলেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
গরমের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আপনারা সেতুর কাছে গিয়েছেন এটা জানতে পেরে ভালো লাগলো। কিন্তু কি আর করা যাবে যেখানেই যাওয়া হোক না কেন গরমের পরিমাণটা এতটাই বেশি কোনভাবেই এর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
https://twitter.com/mahbubullemon/status/1783284414400901551?t=rfk5DEL5tBbxA3MSPPDZuQ&s=19
গরমের তীব্রতা মানুষের জীবনকে যেন অতিষ্ঠ করে তুলছে।সেই সাথে প্রতিটি ঘরে ঘরে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আপনাদের ওখানে লোডশেডিং কম হয় জেনে ভালো লাগলো। তবে এটা ঠিক এই গরমে লোডশেডিং হলে প্রচন্ড কষ্ট লাগে। আপনারা দুইজন প্রশান্তির খোঁজে ধরলা সেতুতে গেলেন সেটা দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ লাগছে। তবে এই গরমে নদীর পাড়ে একটু হলে
শান্তির পরশ পাওয়া যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া দারুন একটি পোস্ট আমাদের মধ্যে শেয়ার করার
জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন, ধরলা নদীতে সময় কাটাতে পেরে সত্যিই শান্তির পরশ পেয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই অসহ্য গরমে বাসার মধ্যে থাকতে একদমই ভালো লাগেনা। বিকেলবেলায় একটু খোলামেলা পরিবেশে গেলে অনেকটাই ভালো লাগে। আপনার ঘুরাঘুরির মুহূর্ত পড়ে ভালো লাগলো ভাইয়া। আশা করছি বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলেন।
হ্যাঁ আপু, সেদিন আমরা ধরলা সেতুতে গিয়ে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।