দিনের বাণিজ্য মেলার কিছু স্মৃতিচারণ || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারও ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে দিনের বাণিজ্য মেলার কিছু স্মৃতিচারণ উপস্থাপন করব। দিনের বাণিজ্য মেলার কিছু স্মৃতিচারণ করার আগে আমি আপনাদের মাঝে রাতের বাণিজ্য মেলার কিছু স্মৃতিচারণ করে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। আমার কাছে দিনের বাণিজ্য মেলার চাইতে রাতের বাণিজ্য মেলায় ঘোরাফেরা করতে বেশি ভালো লেগেছিল। তবে সেদিন আমি আমার মেয়ের বায়নার কারণে স্কুল থেকে তাকে নিয়ে দিনের বেলায় মেলায় ঘোরাফেরা করতে যাই। আর এই মেলাটি আমার মেয়ের স্কুলের একদম সামনেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তাই তাকে আর আমি কোনোভাবেই বাধা দিতে পারিনি। আমার মেয়েকে নিয়ে বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের জন্য রওনা হলাম।
এই বাণিজ্য মেলায় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই টিকেট কাটতে হবে। প্রতিটি টিকিটের মূল্য (১০) দশ টাকা করে। আমি আমার জন্য একটি টিকেট কেটে নিলাম কিন্তু আমার মেয়ের জন্য কোন টিকিটের প্রয়োজন হয়নি। কারণ মেলাটি স্কুল ছাত্রছাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল কোন টিকিট কাটার প্রয়োজন হতো না।
বাণিজ্য মেলার ভিতরে প্রবেশ করার পর ডান ও বাম পাশের দুটি ছবি তুলে নিলাম। দিনের বেলায় মেলার ভেতরে ভিড়ের পরিমাণ খুবই কম ছিল। কেননা এই প্রচন্ড গরমে দিনের বেলায় মেলায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই কষ্টকর হয় বিধায় অনেকেই সন্ধ্যে থেকে রাত অব্দি পর্যন্ত মেলায় ঘোরাফেরা করে।
এই দোকানটিতে পাপস, কার্পেট, রেকসিন ও মাস্ক সহ অনেক অনেক কিছুই পসরা সাজিয়ে বসেছে। আমার মেয়েকে এই দোকান থেকে একটি মাস্ক কিনে দিলাম। দোকানটিতে পাপস ও কার্পেট গুলো আমার কাছে খুবই পছন্দ হয়েছিল। আমার অর্ধাঙ্গিনী সাথে ছিল না বলেই আমি আর সেগুলো কিনতে চাইলাম না। মেলার মাঝখানে খুবই সুন্দর করে পানির ফোয়ারা তৈরি করেছিল। আর সেখানে দাঁড়িয়ে আমার মেয়ের একটি ছবি তুলে নিলাম আমার মোবাইল ফোনে।
এই বাণিজ্য মেলায় মহিলাদের ভ্যারাইটিজ রকমের পার্টস ব্যাগ ও হরেক রকমের কসমেটিকস উঠেছিল। ছোট ছোট পার্টস ব্যাগগুলো মাত্র ১৫০ টাকায় এবং হরেক রকমের কসমেটিক্স গুলো মাত্র ৩০ টাকা করে বিক্রি করছিল। এই কসমেটিকসের দোকান থেকে আমার মেয়েকে মাথার দুটো ফিতা কিনে দিলাম ৬০ টাকা দিয়ে।
অনেক রংবেরঙের চুরি ও অনেক ধরনের কানের দুল এই মেলার দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছিল। কাচের চুড়ি গুলো দেখতে আমার কাছে দারুন লাগছিল। আর তাই আমি দুই একটি ফটোগ্রাফি করে নেই। সেই সাথে বিভিন্ন রকমের কানের দুল গুলোরও ফটোগ্রাফি করে নেই।
ছোট ছোট সোনামণিদের আনন্দের জন্য অনেক রকমের রাইডার এসেছিল এই বাণিজ্য মেলাতে। এই রাইডার গুলো ছোট ছোট সোনামণিদের সাথে ও অনেক বড় মানুষও আনন্দ উপভোগের জন্য চড়ে থাকে। বিশেষ করে নৌকায় বড়দেরই ভিড় বেশি হয়ে থাকে। এই রাইডার গুলো না আসলে হয়তো মেলার আনন্দ সেরকম জাঁকজমকপূর্ণ হয়ে উঠতো না। অনেক অনেক স্কুল ছাত্র ছাত্রী এই রাইডার গুলোতে চড়ে খুবই আনন্দ উপভোগ করেছিল।
আমার মেয়ে নৌকায় ও ট্রেনে চড়ার জন্য ভীষণ ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ল। মেয়ের বায়না বলে কথা, তাই আর দেরি না করে তাকে আনন্দ দেয়ার জন্য নৌকার ও ট্রেনে চরার জন্য টিকিট কেটেছিলাম। আর আমার মেয়ে এই রায়ডার দুটোতেচরে সেদিন ভীষণ খুশি হয়েছিল। বাবা ও মেয়ে মিলে অনেক ঘোরাঘুরি করে হালকা কিছু খেয়ে এবার বিদায় নেবার পালা। আর বিদায় নেবার সময় মেলার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের একটি সেলফি তুলে নিলাম। দিনের বাণিজ্য মেলার স্মৃতিচারণ হিসেবে সেলফিটি রয়ে যাবে।
আশা করি আমার দিনের বাণিজ্য মেলার কিছু স্মৃতিচারণ পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাণিজ্য মেলায় দিনের বেলায় খুব কোয়ালিটি ফুল সময় ব্যয় করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে, এবং আপনার মেয়ে সহ অনেক মজা করেছেন দেখতে পাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন সর্বদা।
মেয়ের স্কুলের সামনেই বাণিজ্য মেলাটি উদযাপিত হয়েছিল আর তাই তার জেদ ধরেই বাণিজ্য মেলায় নিয়ে গিয়েছিলাম। আর এই মেলায় গিয়ে আমার মেয়ে সহ আমি অনেক সুন্দর সময় পার করেছি। ধন্যবাদ
বাণিজ্য মেলায় ঘুরে সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনার সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমিও আপনার একসঙ্গে একমত রাতের বানিজ্য মেলাটায় বেশি সুন্দর লাগে। দিনে খুব একটা জমে না। তবে ১৫০ টাকার ব্যাগ এবং ৩০ টাকার ঐ সামগ্রী গুলো আমার পছন্দ হয়েছে। বেশ সুন্দর দেখছি মেলা প্রাঙ্গন টা।।
আমার কাছে ও রাতের বাণিজ্য মেলা বেশি ভালো লাগে। আমার সাথে একমত হওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বাণিজ্য মেলায় ঘুরতে ভীষণ ভালো লাগে কারণ বাণিজ্য মেলায় অনেক ধরনের জিনিসপত্র পাওয়া যায়। আমিও দেখেছি এরকম বাণিজ্য মেলায় ছোট ছোট ব্যাগগুলো দেড়শ টাকা করে বিক্রি হয়। আপনার মেয়ের জন্য দুইটা ফিতা কিনেছেন শুনে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত কাটিয়েছেন।
আপু খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এভাবেই সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন এই প্রত্যাশা করছি ধন্যবাদ।
বাণিজ্য মেলায় অতিবাহিত করার খুবই চমৎকার কিছু মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আসলে যে এলাকাতে বাণিজ্য মেলা হয় সে এলাকার মধ্যে অন্য রকমের একটা উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করে।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই যে এলাকাতে বাণিজ্য মেলা হয় সে এলাকার মধ্যে অন্যরকম একটা উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
মেলা জিনিসটা রাত ছাড়া ঠিক জমে না মনে হয় ভাই। অনেক দিন এমন মেলাতে ঘোরা হয়না। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে বাণিজ্য মেলা থেকে আমারও ঘোরাঘুরি হয়ে গেল একটু। ছোট বাচ্চাদের রাইটগুলো খুব মজার লাগে আমার কাছে। ভাতিজি যে উঠে অনেক মজা পেয়েছে সেটা দেখে আমারও বেশ ভালো লাগলো। আর অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম গুলোও বেশ সাধ্যের মধ্যেই ছিল দেখলাম।
ভাই সব সময় আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে আমি আরো নিত্যনতুন পোস্ট তৈরি করতে অনুপ্রাণিত হই। আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়। খুব সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই যথার্থ বলেছেন দিনের থেকে রাতের বেলার বাণিজ্য মেলা বেশ জমে ওঠে। তবে আপনি আপনার মেয়ের অতিরিক্ত বাইনার কারণে সেদিন দিনের বেলাতে বাণিজ্য মেলায় গিয়েছেন সেখানে যে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন সেগুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ।
মেয়েকে বলেছিলাম রাতের বেলায় মেলায় নিয়ে যাব কিন্তু সে কোন ভাবে কথা শুনলো না তাই তাকে নিয়ে দিনের বেলায় মেলায় একটু ঘোরাফেরা করেছিলাম। বেশ ভালই লেগেছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।