প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে আমার কাটানো কিছু মুহুর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো। সেদিন আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাব ক্লাস্টার মিটিং ছিলো। এবং নিয়মানুসারে মিটিং টি পড়ে ছিলো ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে। তাই প্রতিদিনের রুটিন মতো আমি আমার অর্ধাঙ্গিনী কে নিয়ে সকাল ৮:৩০ ঘটিকায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম কিন্তু প্রতিদিনের স্কুলে নয়। কারণ আমার অর্ধাঙ্গিনীর স্কুলের নাম নন্দ দুলালের ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এইস্কুলেটিতে আমাদের প্রতিদিনই যেতে হয়।
কিন্তু আজ আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা চলে গেলাম ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কারণ এই বিদ্যালয়ে আমার অর্ধাঙ্গিনীর সাব ক্লাস্টার মিটিং ছিলো। তাদের মিটিংয়ে কি ধরনের কথাবার্তা বা আলাপ-আলোচনা হয়েছিল তা আমার জানার কথা নয়। কেননা আমি মিটিং এর মধ্যে উপস্থিত ছিলাম না। আমি শুধুমাত্র আমার অর্ধাঙ্গিনী কে ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়েছিলাম।
এখন প্রায় সময়ই অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে। আর তাই বৃষ্টির কারণে আমার অর্ধাঙ্গিনী সেই স্কুলে পৌঁছাতে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বলে আমি তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে সেই স্কুলটির দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। আর মিটিং বলে কথা সময়মতো অবশ্যই পৌঁছাতে হবে। তাই আমি তাকে পৌঁছে দেয়ার জন্য সেই স্কুলটিতে গিয়ে উপস্থিত হই।
আমরা যথা সময়ে স্কুলটিতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তখন পর্যন্ত আমার অর্ধাঙ্গিনীর মিটিং শুরু হয়নি। স্কুলটিতে পৌঁছে দেখি ছোট ছোট সোনামনিরা ছোটাছুটি করে খেলাধুলা করছে। তারা সকলেই আমাদের দেখে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে গেল। কেননা এই ছোট ছোট সোনা মনিরা জানতো আমরা তাদের শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা নই। তাই আমাদের নতুন মুখ দেখে তারা একটু দূরে সরে যেতে লাগল। কিন্তু আমি তাদের ডেকে নিয়ে আলাপচারিতা শুরু করে দেই। যাতে করে তারা আমাদের দেখে অস্বস্তি বোধটা কাটিয়ে উঠতে পারে।
আমি ছোট ছোট সোনামণিদের সাথে কিছুটা সময় আলাপ আলোচনা করে তাদের ভেতরে থাকা ভয় টাকে ভাঙিয়ে দিয়ে তাদের কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করলাম। আর তখনই তারাও আমাকে ভয় না পেয়ে আমার সাথে বিভিন্ন ধরনের আলাপ আলোচনায় মেতে উঠলো। তারা সবাই একই ধরনের স্কুল ড্রেস পড়েছিল বলে তাদের দেখতে আমার কাছে ভীষণ রকম সুন্দর লাগছিলো। তাই তাদের একত্র করে একসাথে দাঁড়িয়ে দুই একটি ছবি তুলে নিলাম স্মৃতি হিসেবে মুঠোফোনে রেখে দেবো বলে।
আমরা যে সরকারি প্রাইমারি স্কুলে গিয়েছিলাম তার পাশেই একটি হাই স্কুল রয়েছে। দুটো স্কুল পাশাপাশি থাকার কারণে তাদের খেলার মাঠ অনেক অনেক বড় লক্ষ্য করলাম। আর এই মাঠে ছোট ছোট সোনামনিরা ছোটাছুটি করে খেলাধুলা করছে। তাদের এই খেলাধুলা দেখে আমি নিজেও যেন শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। খুবই আনন্দময় মুহূর্ত মনে হচ্ছিল আমার কাছে সেই সময়টাতে।
আমরা স্কুলটির ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পেলাম স্কুলটির বাম পাশে একটি ওয়াস ব্লক রয়েছে। যা শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করে থাকে। এছাড়াও মোটামুটি ঝকঝকে চকচকে স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রী দিয়ে মুখরিত হয়ে আছে।সব মিলিয়ে স্কুলটি আমার কাছে দেখতে ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। আর তাই ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিলাম যাতে করে আপনাদের মাঝে আমার এই ভালোলাগা মুহূর্তটুকু শেয়ার করতে পারি।
বাইরে ওয়াশব্লক ব্যতীত স্কুলটির ভেতরেও দেখতে পেলাম শিক্ষার্থীদের হাত ধোয়ার জন্য পানী ও টেপ এর ব্যবস্থা রয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জানতে পারলাম করোনাকালীন সময়ে তাদের বারংবার হাত ধোয়ার জন্য এই পানি ও টেপের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। এখনো তারা হাত ধোয়ার জন্য এই পানি ও টেপ ব্যবহার করে থাকে। স্কুলটিতে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পরে আমার এবার চলে আসার পালা। আর তাই আবারো ছোট ছোট সোনামণিদের সাথে নিজের একটি সেলফি তুলে নিলাম স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখবো আমার মুঠোফোনে।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আপনার কাটানো কিছু মুহূর্ত দেখে ছোট বেলায় কথা মনে পড়ে গেল। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মিতা।
মিতা, আমারও সেদিন ছোট বেলার কথা খুবই মনে পড়ে গিয়েছিল। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন, এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়গুলো সম্পদে পরিপূর্ণ আমাদের অধিকাংশের ছেলে বেলার শিক্ষা এখান থেকেই শুরু। কতশত স্মৃতি স্কুল নিয়ে। তবে আফসোস এর বিষয় হলেও সত্য এখন সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশের নামেই কেমন জানি একটা দুর্ণাম ছড়িয়ে পড়ছে লেখাপড়ার প্রতিযোগিতাও তেমন লক্ষণীয় নয়।
তারপরেও আশা রাখি এ অবস্থা থেকে দ্রুত উন্নতি করবে।
আপনার পোস্টটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। ভাবীকে আমার পক্ষ থেকে সালাম জানিয়েন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গন্ডি অনেক আগেই পেরিয়ে এসেছি আর তাই যখনই এরকম পরিবেশে যাই তখনই মনের ভিতর অনেক অনেক স্মৃতি জেগে বসে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
![default.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNwBDPMPvL1yaKWTYF4wxyUmxWiEJgAy1WZWTJyCha5wE/jswit_comment_initial.w320.jpg)
আসলে ভাইয়া ছোট ছোট সোনা মনি গুলো এমনই হয়ে থাকে তারা অপরিচিত মানুষদের কে দেখলেই দূরে সরে যায়। আর সেই অপরিচিত মানুষ যখন তাদের কাছে পরিচিত হয়ে যায় তখন তাদের সাথে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় কাটানো মুহূর্তগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। এই বিদ্যালয়ের স্কুল ড্রেসটা আমার কাছে সবথেকে পছন্দ হয়েছে লাল সবুজের পতাকা বানিয়ে ফেলেছে তারা।
প্রথমেই এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা আমাদের দেখে একটু দূরে সরে চলে গিয়েছিল কিন্তু পরক্ষনে আমাদের কথাবার্তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা আমাদের খুব কাছের হয়ে গিয়েছিল। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনি প্রাইমারি স্কুলে বাচ্চাদের সঙ্গে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছেন। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাইয়া যেহেতু আপনার অর্ধাঙ্গিনীর মিটিং ছিল সে তো আপনার না জানারই কথা মিটিংয়ে কি কথাবার্তা হয়েছে। আপনি বাচ্চাদের খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে বাচ্চা গুলো কিভাবে আপনার কাছে চলে এসেছে এবং আড্ডায় মগ্ন হয়েছে। আপনাকে ধন্যবাদ এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যি আপু, আমি সেদিন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে খুবই আনন্দময় সময় কাটিয়েছিলাম যা আমার কাছে ভীষণ ভাল লেগেছিল। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল দেখতে বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন মনে হচ্ছে। এ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখি স্টুডেন্ট ভালো কিছু শিখতে পারে। আর ভাবির জন্য আজ আপনি বাচ্চাদের সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত অতিক্রম করতে পেরেছেন। ছোট্ট সোনামণিদের কেউ খুব মিষ্টি লাগছে দেখতে। আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
ভোগডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুল ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মধ্যে একটি মডেল স্কুল। এবং বরাবরই এই স্কুলটি প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
খুবই ভাল লেগেছে আপনার এই পোস্ট। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কিছুটা সময় আপনি কাটিয়েছেন এবং নতুন এই স্কুলের বাচ্চাদের সাথে পরিচিত হতে পেরেছেন। হয়তো এরই মধ্য দিয়ে স্মরণ করতে পেরেছেন আপনার জীবনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া শেষ স্মৃতি গুলো এবং আপনার বন্ধু বান্ধব দের কথা গুলো। তাই আমি এসব সত্ত্বেও পোস্টগুলোকে বেশি ভালোবাসি। কারণ এই সমস্ত পোস্ট গুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকে অন্যরকম ফিলিংস ভালোলাগা ভালোবাসা এবং শিক্ষনীয় অনেক বিষয়।
ভাই আমার পোস্টে এসে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন যা পড়ে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। এভাবে সব সময় সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকবেন বলে প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ
আসলে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আমার কাছে আজকের পোস্ট এর মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে, যখন আপনাকে দেখে সকল বাচ্চারা ভয় পেয়ে সরে যাচ্ছিল কিন্তু আপনি তাদেরকে ডেকে তাদের সাথে কথা বললেন, ছবি তুললেন বিষয়টা বেশ ভালো লেগেছে। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কথা খুব মনে পড়ছে। যখন আমরা স্কুলে পড়তাম।
প্রথমে তারা আমাদের চিনতে পারেনি পরে যখন আমার অর্ধাঙ্গিনী পরিচয় দিলেন পার্শ্ববর্তী স্কুলের শিক্ষিকা তিনি তখন শিক্ষার্থী গুলো খুব সহজেই আমাদের কাছে এসে আলাপচারিতা শুরু করে দিল। তাদের ভয় ভাঙ্গিয়ে দিয়ে তাদের সাথে কুশল বিনিময় করে ফটোগ্রাফি করেছি। ধন্যবাদ
আপনার এই পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফি ও আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই ফটোগ্রাফিক গুলো দেখে অতীতের সেই দিনগুলো মনে পড়ে যাচ্ছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
জি ভাই, প্রাথমিক বিদ্যালয় অনেক অনেক সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছি। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।