খাবারের ফটোগ্রাফি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি খাবারের ফটোগ্রাফি পোষ্ট নিয়ে। এই ভিন্ন ভিন্ন খাবারগুলো আমি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ফটোগ্রাফি করে রেখেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। কেননা ইদানিং ফটোগ্রাফি করাটা যেনো একপ্রকার নেশা হয়ে গিয়েছে। তাই মজার মজার খাবার গুলো দেখলে খুব ইচ্ছে করে ফটোগ্রাফি করে রাখতে। আর তাই বাড়িতে তৈরি যে কোন মজার খাবার হলে ফটোগ্রাফি করতে কখনো ভুলে যাই না।
আজ আমি যে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি, সেই প্রতিটি খাবারই খুবই সুস্বাদু ও মজার হয়েছিল। তাই যখন আমি ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপলোড করছিলাম, তখন নতুন করে আবার এই রেসিপিগুলো দেখে আমার নিজেরই লোভ লেগে গিয়েছিল। মনে হচ্ছিল মজার এই খাবারগুলো আবারো তৈরি করে খাই। আমার এই রেসিপিগুলো দেখে আপনাদের যদি লোভ লেগে যায় তাহলে কিন্তু আমার কোন দোষ নেই হাহাহা।
যাইহোক আজ আমি ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন রকমের খাবার নিয়ে হাজির হয়েছি। আর এ খাবারগুলো হচ্ছে, সুস্বাদু ও মজাদার ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি, বেগুন দিয়ে লইট্টা শুটকির মজার রেসিপি, আলু ও গাজর দিয়ে মলা মাছের চচ্চড়ি, কালারফুল তারা পিঠা, মচমচে মাছ ভাজা ও সেই সাথে রয়েছে ডালপুরি। সবগুলোই খুবই মুখরোচক ও মজার খাবার। আর তাই এই মজার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। তাহলে বন্ধুরা আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন, আমার ফটোগ্রাফি করা মজার মজার খাবার গুলো দেখে নেয়া যাক।
" ধাপ : ১"
" ধাপ : ১"
১। এই মজাদার খাবারটির নাম, সুস্বাদু ও মজাদার ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি। আমার মেয়ে ইলিশ মাছ খেতে যতটা পছন্দ করে ঠিক ততটাই পছন্দ করে ইলিশ মাছের ঝোল খেতে। তাই আমার মেয়ের পছন্দকে প্রাধান্য দিয়ে, মাঝে মাঝে ইলিশ মাছের ভিন্ন রেসিপি তৈরি না করে, বরং ইলিশ মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করা হয়। আর সেই ইলিশ মাছের মজার ঝোল রেসিপির ফটোগ্রাফি করেছি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
" ধাপ : ২"
" ধাপ : ২"
২। এই মজাদার খাবারটির নাম, লইট্টা শুটকির মজাদার রেসিপি। শুটকি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর শুটকি যদি বেগুন দিয়ে মাজার রেসিপি তৈরি করা যায়, তাহলে তা খেতে দুর্দান্ত স্বাদ লাগে। তাই আমি শুটকি ভুনা তো খাই, তবে মাঝে মাঝে বেগুন দিয়ে শুটকির মজার রেসিপি তৈরি করে খাই।
" ধাপ : ৩"
" ধাপ : ৩"
৩। এই মজাদার খাবারটির নাম, আলু ও গাজর দিয়ে ছোট মাছের মজাদার চচ্চড়ি। আর এই ছোট মাছ ছিল মলা মাছ, যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। সেদিন আমার বাসায় আলু ও গাজর মিক্সড করে মলা মাছ দিয়ে মজার এই রেসিপি তৈরি করা হয়েছিল। তবে আমি এই মজার খাবারটির রেসিপি শেয়ার করিনি বরং আজ শুধুমাত্র ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি।
" ধাপ : ৪"
" ধাপ : ৪"
৪। এই মজাদার খাবারটির নাম, কালারফুল তারা পিঠা। আমার ছেলে ইউটিউবে কালারফুল পিঠা দেখে খুব বায়না করেছিল তার মায়ের কাছে, আর তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে এই কালারফুল পিঠে তৈরি করে দিতে হয়েছিল। আটার সাথে সামান্য পরিমাণ ফুড কালার মিক্স করে একটি ছাচের সাহায্যে মজার এই পিঠাটি তৈরি করা হয়েছিল। আর হ্যাঁ ভিতরে দেয়া হয়েছিল নারিকেলের পুর। তাই খেতে খুবই মজার হয়েছিল।
" ধাপ : ৫"
" ধাপ : ৫"
৫। এই মজাদার খাবারটির নাম, মচমচে মাছ ভাজা রেসিপি। গরম গরম ভাত সেই সাথে পাতলা মসুরের ডাল, আর সঙ্গে যদি থাকে এরকম মচমচে মাছ ভাজা রেসিপি, তাহলে তা খেতে অমৃত মনে হয়। আমার কাছে তো মাঝে মাঝে মাছ ভাজা রেসিপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমার বিশ্বাস আপনাদের কাছেও এর ব্যতিক্রম নয়। যাই হোক মচমচে মজার এই মাছ ভাজা রেসিপি ফটোগ্রাফি করে রেখেছি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
" ধাপ : ৬"
" ধাপ : ৬"
৬। এই মজাদার খাবারটির নাম, ডালপুরি। আর এই ডাল পুরি বুটের ডাল কিংবা রসমালাই দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে। তবে এই রেসিপিটি কিন্তু আমার বাসায় তৈরি নয়। সেদিন আমি বাজারে গিয়ে গরম গরম ডালপুরির সাথে রসমালাই খেয়েছিলাম, আর খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেয়েছিলাম। আর খাবারের আগে মজার এই ডালপুরি ও রসমালাইয়ের ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম যা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।
Photographer | @mahbubul.lemon |
---|---|
Device | realme 9i |
Location | Kurigram |
আশা করি আমার ফটোগ্রাফি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
" ধন্যবাদ সবাইকে "
" ধন্যবাদ সবাইকে "
আপনি তো দেখছি আজকে ইয়াম্মি সব রেসিপি শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। সবগুলো খাবার অনেক লোভনীয় লাগতেছে এমন কি মনে হচ্ছে এসব কিছুই খুবই সুস্বাদু ছিল। আসলে খাবার খেতে পছন্দ করেনা এরকম মানুষ তো একেবারেই পাওয়া যাবে না বললে চলে। আমরা সবাই খাবার খেতে খুবই পছন্দ করি। আর তাই তো এরকম লোভনীয় খাবার গুলো দেখলে বেশি লোভ লেগে যায়। তারা পিঠা আজকে প্রথমবারের মতো দেখলাম, যেটা মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হবে।
ভাই, আমার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি পিঠার ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছেন জেনে খুব খুশি হলাম। খুব সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে সবাই পছন্দ করেন। কালারফুল তারা খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এধরনের খাবার গুলো খেতে আমিও পছন্দ করি। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাছে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে মিতা।
ঠিক বলেছেন মিতা, এ ধরনের রেসিপিগুলো খেতে খুবই মজার হয়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন।
আসলে বাঙালি মানেই ভোজন রসিক বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকে বিভিন্নভাবে।
আপনার খাবারের ফটোগ্রাফির মধ্যে রসমালাই ছোট মাছের রেসিপি সব থেকে বেশি ভালো ছিল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আমার তৈরি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
রমজান মাসে মজাদার সব খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করে লোভ লাগিয়ে দিলেন ভাইয়া। প্রত্যেকটি খাবার খুবই লোভনীয় লাগছে। ইলিশের ঝোল,লইট্টা শুটকি, আলু ও গাজর দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি আমার খুবই প্রিয় রেসিপি। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আপু আমার তৈরি লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। যেগুলোর মধ্যে কালারফুল তারা পিঠার রেসিপি টা আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। ইলিশ মাছের রেসিপি টা দেখে তো আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। সবগুলো খাবার খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে দেখতে। খাবারের মেনুতে যদি এগুলো থাকে তাহলে অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যাবে। ছোট মাছ খেতে তো কম বেশি সবাই পছন্দ করে। আর যদি এরকম ভাবে ছোট মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করা হয়, তাহলে তো আরো বেশি ভালো লাগবে।
ঠিক বলেছেন আপু, প্রতিটি খাবার খুবই মজাদার ও সুস্বাদু ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ঠিক বলছেন ভাইয়া ফটোগ্রাফির নেশা এতই বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন। যেকোন কিছু ভালো দেখলে ফটোগ্রাফি নিতে ইচ্ছে করে। আর আপনি তো এত সুস্বাদু সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হলেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি এতই ভালো লেগেছে। দেখে তো জিভে জল চলে আসলো। তারা পিঠা খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য খাবার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল।
আপু, আমার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি রাতের বিভিন্ন ধরনের খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা খাবারই দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। বিশেষ করে ইলিশ মাছ রান্নার রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুস্বাদু সুস্বাদু খাবারের রেসিপির ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই, আমার তৈরি খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য।
খুবই লোভনীয় কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে এলো। আপনার সবগুলো খাবার এর ফটোগ্রাফি আমার খুবই পছন্দের। আমার কাছে আলু ও গাজর দিয়ে ছোট মাছের চচ্চড়ি ও তারা পিঠার ফটোগ্রাফি টি খুবই ভালো লেগেছে। সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু, আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনার কাছে ভাল লেগেছে এজন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনার খাবার গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া নিজের হাতে তৈরি খাবারের তুলনা হয়। অনেক বাচ্চারা ইলিশ মাছ পছন্দ করে কিন্তু আমার মেয়ে চিংড়ি ছাড়া কোন মাছ খেতে চায় না। আর ছোট মাছের চচ্চড়ি দেখে লোভ সামলানো
মুশকিল। ধন্যবাদ ভাইয়া সুস্বাদু কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মজার মজার কিছু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তবে ৪ নং ফটোগ্রাফিতে শেয়ার করা তারা পিঠার রেসিপিটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে কেননা সম্পূর্ণ ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম। তাছাড়া কালারফুল হওয়ায় দেখতে আরো বেশি লোভনীয় লাগছে।