এক যুবকের নির্মম হত্যা
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আর আজকের পোস্ট হচ্ছে ২৬ বছর বয়সের এক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এর নির্মম মৃত্যুকে কেন্দ্র করে। এইতো কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে পৌরবাজার সংলগ্ন আরডিআরএস অফিসের ভেতরে, এক যুবকের অর্ধ গলিত লাশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল। আর এই যুবককে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল, তার পরিচিত তিন বন্ধু। হয়তোবা বন্ধু বললে ভুল হবে, কেননা এই যুবক নাকি নেশাগ্রস্ত ছিল, আর সেই নেশা করতে গিয়ে ছেলে তিনটির সাথে পরিচিত হয়েছিল।
যদিও বা ঘটনার সত্যতা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে লোকমুখে শুনেছি,এই যুবকের কাছে নাকি ওই তিন ছেলে ৫০০০ টাকা পাওনা ছিল। আর যখন এই যুবকটি ওই পাঁচ হাজার টাকা দিতে অপারগতা জানিয়েছিল তখন তার উপরে ক্ষুব্ধ হয়ে, নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আর হত্যা করার পর ওই তিন ছেলে কিভাবে যেন আইডিআরএস অফিসের ভেতরে পুকুর পাড়ে ময়লা স্তুপে ফেলে দিয়েছিল। আর যখন ওই যুবকের লাশটি খুঁজে পেয়েছিল, তখন তার গা একদম অর্ধগলিত হয়ে গিয়েছিল, সেই সাথে গায় প্রচুর পোকা ধরেছিল। আর মুখের কথা কি বলবো, তার মুখমন্ডল একদম পোকায় খেয়ে ফেলেছিল।
যার কারণে ওই যুবকের চেহারাটি ভালোমতো বোঝা যাচ্ছিল না। আমি অবশ্য এই ভয়ংকর লাসের ছবি দেখেছিলাম, ফেসবুকের মাধ্যমে। যুবকটি দেখতে খুবই সুদর্শন ও সুন্দর ছিল। কিন্তু মারা যাওয়ার পর তার যে লাসের ছবিটি আমি দেখেছি, তা দেখে যে কারোরই বুক কেঁপে উঠবে। আমি চিন্তাও করতে পারিনা, কখনো মাত্র পাঁচ হাজার টাকার জন্য, এত নির্মম ও নিষ্ঠুর মৃত্যুর ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে। আর যে তিনজন এমন জঘন্য হত্যা ঘটিয়েছিল, তাদের তিন জনের ছবিও আমি দেখেছিলাম।
সেই তিনজন ছেলের ছবিও দেখে বোঝার উপায় নেই তারা এত নিষ্ঠুর কাজ করতে পারে। আর হ্যাঁ বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম, এই তিনজনের মধ্যে একজন ছেলের বাড়ি ছিল আমার মেয়ের বান্ধবীর পেছনের বাড়িটি। যার কারনে আমার মেয়ের বান্ধবীর মা খুবই ভয় পেয়েছিল। আর যখন ছেলেটিকে ধরেছিল, তখন আমার মেয়ের বান্ধবীর মা, আমার অর্ধাঙ্গিনীকে ফোন দিয়ে তার ভয় ভীতির কথা জানিয়ে বলেছিল, যে ছেলে এত কুখ্যাত হত্যাকারী, সেই ছেলের বাড়ির পাশে আমরা কিভাবে এতদিন ছিলাম।
আর এখন কিভাবেই বা সেই বাড়িতে থাকবো। পরে আমার অর্ধাঙ্গিনী তাকে বুঝিয়েছিল, যেহেতু খুনি ধরা পড়েছে সেহেতু সে যেন একটু দুশ্চিন্তা কম করেই করে। কেননা আমার মেয়ের বান্ধবীর মা হাই প্রেসারের রোগী, সেই সাথে ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেক রয়েছে। যাইহোক তাকে সান্ত্বনা দেয়ার যতটুকু ছিল, আমরা সেভাবেই চেষ্টা করেছি তাকে সান্ত্বনা দেবার। তবে আমি এই যুবকের নির্মম হত্যাকে কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছিলাম না। এই যুবকের মৃত্যুতে না জানি তার বাবা-মা ভাই ও বোনেরা কত কষ্ট পেয়েছে। তবে একটা কথা না বললেই নয়, মানুষ যেমন কর্ম করে, ঠিক তেমন ফল পায়।
একে তো ছেলেটি নেশাগ্রস্ত ছিল, তার উপরে নেশাগ্রস্ত বন্ধুদের সাথে মিলেমিশে তার জীবনটাকেই শেষ করে ফেলেছে। এজন্য অবশ্য ওই যুবকটিই তার মৃত্যুর জন্য দায়ী। কেননা এমন বন্ধু থেকে অবশ্যই তার সাবধান থাকা উচিত ছিল। তারপরেও বলবো, এমন করুন মৃত্যু, এমন নির্মম মৃত্যু, কারো জীবনে যেন না আসে। আজ ফেসবুক ঘাটতে ঘাটতে হঠাৎ করে, ছেলেটির ছবি চোখের সামনে চলে আসলো তাই আপনাদের মাঝে কথাগুলো শেয়ার করে নিলাম।
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
মিয়া ভাই আপনার লেখা গল্পটি পড়ে আমার এমন কিছু গল্পের কথা মনে পড়ে গেল। আসলে আমার মনে হয় নেশা এখন সমাজের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে গেছে। যার জন্য চারদিকে খুন আর খারাপি বেড়ে গেছে। আপনি কিন্তু সত্যি লিখেছেন যে ছেলেটির মৃত্যুর জন্য সে নিজেই দায়ী।
আপু, আপনার মিয়া ভাই ডাক আমার মনটা একদম শীতল হয়ে যায়। যাইহোক আপু,আমার পোস্ট পড়ে খুব সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এমন নির্মমভাবে হত্যা করল জেনে অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। আসলে এমন মানুষ আছেন যারা মানুষকে এত নির্মমভাবে হত্যা করতে একদম দ্বিধাবোধ করে না। যদিও মানুষটিকে পাওয়া গেছে খুব খারাপ অবস্থায় পেলেন। অসাধারণ একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করলেন।খুবই খারাপ লাগলো পড়ে।
আপু, যারা নরপিচাশ তারাই শুধু এমন নির্মম হত্যার ঘটনা ঘটাতে পারে। যাইহোক আপু, আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ওই ছেলেটির এরকম মৃত্যুর কথা শুনে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। এরকম ভাবে কিংবা একটা মানুষকে খুন করতে পারে। শুধুমাত্র ৫০০০ টাকার জন্য এরকম নিষ্ঠুর ভাবে ওই ছেলেটাকে মেরে ফেলেছিল। এরকম কথাগুলো শুনলেই সত্যি অনেক খারাপ লাগে। আমার কাছে তেমনি এই ঘটনার কথা শুনেও খুব খারাপ লেগেছে।
ঠিক বলেছেন আপু, ঐ যুবকের মৃত্যুর কথা শুনে আমাদের কাছেও ভীষণ খারাপ লেগেছিল। আমার পোস্টটি পড়ে আপনার মতামত প্রকাশ করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এরকম নিশংসভাবে ওই তিনজন লোক এই ছেলেটাকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মেরেছিল এটা জেনে সত্যি অনেক খারাপ। মাত্র 5000 টাকার জন্য কি একটা মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। আসলে টাকা এমন একটা জিনিস যার কারণে ই মানুষের মৃত্যুরও হচ্ছে এখন অনেক বেশি। বুঝলাম না লোকটাকে মেরে কি ওই তিনজন লোক টাকা পেয়েছিল। তাহলে কেনই বা ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে। সত্যিই অনেক খারাপ লেগেছে বিষয়টা।
ভাই টাকা পায়নি ঠিক আছে, তবে ওদের ক্ষোভতো মেটাতে পেরেছে। আর যারা নরপিচাস তারাই শুধু এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাতে পারে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কেমন দিন আসলো মানুষের দাম মাত্র ৫০০০ টাকা। ভাবতেই অবাক লাগে সবকিছুর দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে এবং মানুষের দাম কমে যাচ্ছে। যাইহোক যারা নেশাগ্রস্ত তাদের মাথা সবসময় কাজ করে না। হয়তোবা সেই তিনজন ছেলে নেশাগ্রস্ত অবস্থায়, এই ছেলেটিকে রাগের মাথায় মেরে ফেলেছে। তবুও এমন নিকৃষ্ট কাজের চরম শাস্তি হওয়া দরকার। ছেলেটা এতো পড়াশোনা করে নেশাগ্রস্ত হয়েছিল নিজেও এবং খারাপ ছেলেদের সাথে মিশেছিল। তার খেসারত দিলো নিজের জীবন দিয়ে। পোস্টটি পড়ে আসলেই মর্মাহত হলাম ভাই।
সত্যিই ভাই, যুবকের মৃত্যুটি সকলকেই মর্মাহত করেছিল। যাইহোক ভাই, আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।