বিকেলের শুরুতেই ধরলা নদীতে কিছুক্ষণ || ১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে বিকেলের শুরুতেই ধরলা নদীতে কিছুক্ষণ কাটানো সময় উপস্থাপন করবো। এইতো সেদিন আমি ধরলা নদীতে গিয়েছিলাম ধরলা নদীর পানি কতটুকু বেড়েছে তা দেখার জন্য। এই ধরলা নদীর উপর দিয়েই আমাকে প্রায় প্রতিদিন আমার অর্ধাঙ্গিনীকে তার স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসতে হয়। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন ছুটি ও ঈদের ছুটি একসঙ্গে হওয়ার কারণে অনেকদিন থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ, আর তাই ধরলা নদীর দিকে ঐভাবে যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম ধরলা নদীর পানি কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে, একটু দেখে আসা যাক।
যেই ভাবা সেই কাজ, ছুটে গেলাম ধরলা নদীতে। সেখানে গিয়ে দেখি পানি অনেকটাই কমে গিয়েছে। তবুও ধরলা নদী অথৈ পানিতে যৌবন ফিরে পেয়েছে। আর এই যৌবনময় নদীকে দেখতে আমার কাছে ভীষণ রকম ভালো লেগেছে। নদীর স্রোত দূর থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। সত্যিই এই মুহূর্তটুকু এতটাই ভালো লেগেছিল যা হয়তো ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।
আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে সেতুর উপরে গিয়ে দাঁড়ালাম। ভরাট নদী দেখতে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিলো। আমি ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে নদী দেখছিলাম আর গুনগুন করে একটি গান গাইছিলাম।ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে, বলো কোথায় তোমার দেশ, তোমার নেই কি চলার শেষ। সত্যিই তাই, নদীর চলার কোন শেষ নেই।
এই দৃশ্যে অদূরে একটি বাঁধ দেখা যাচ্ছে। আর এই বাথটি আমাদের কুড়িগ্রাম শহরটিকে সুরক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। নদীতে নতুন পানি আসার কারণে পানিগুলো অনেক ঘোলা। আর সেই পানিগুলো বারবার যেন গোল গোল আকারে পাক খেয়ে যাচ্ছিল। এরকম দৃশ্য দেখতে সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগে। আর এই ভালো লাগার মুহূর্তটিকে ধরে রাখার জন্য আমার মুঠোফোনে ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
নদীটির দুই ধারে সুরক্ষার বাঁধগুলো মানুষের চলাচলের জন্য এবং কিছুটা সময় বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য, খুবই কাজে লাগে। এই সুন্দর বাঁধে বসে পড়ন্ত বিকেল বেলায় নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে এবং খুবই আনন্দময় সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝেই ছুটে যাই এই জায়গায়। বন্যার সময় এই বাধগুলো ছুই ছুই পানি ওঠে। যার কারণে অনেকেই বিকেলবেলা হলেই এই বাধ গুলোতে এসে ভিড় জমায়। আর তাই আমিও সেখানে হেঁটে হেঁটে নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার চেষ্টা করেছিলাম।
এই ধরলা সেতু হওয়ার আগে কুড়িগ্রাম জেলার সাথে নদীর ওপারের তিনটি থানার মানুষের জনজীবন প্রায় বিচ্ছিন্ন ছিল বললেই চলে। ফেরি এবং ছোট ছোট ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে মানুষ এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করত। আর তাই এই তিনটি থানার মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছিল না। বর্তমানে হাফ কিলোর বেশি ৬৪৮ মিটার এই ধরলা সেতুটি হওয়ার কারণে এই তিনটি থানার মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। কুড়িগ্রাম জেলায ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ধরলা সেতু নির্মিত হয়েছে। আর এই দ্বিতীয় ধরলা সেতু নিয়েও আমি পরবর্তী সময়ে আরেকটি পোস্ট উপস্থাপন করব।
Photographer | mahbubul Islam |
---|---|
Device | Oppo A16 |
Ram | 4 GB |
Rom | 64 GB |
আশা করি আমার বিকেলের শুরুতেই ধরলা নদীতে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ধরলা নদীতে অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন আর বিশেষ করে সূর্য অস্ত যাওয়ার আগ মুহূর্তে যে কোন নদীর তীরেই অন্যরকম একটা সৌন্দর্য লক্ষ্য করা যায়। ছবিগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন আর আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাই কেন জানি আমার কাছে নদীর পারে ঘুরতে গেলে খুবই ভালো লাগে। সত্যিকার অর্থেই সেই সময়টাতে আমি খুবই সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছি। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী আমাদের বাংলাদেশ। এখানে রয়েছে অসংখ্য নদী। আপনি সেই অসংখ্য নদীর মধ্য থেকে একটি নদীর সুন্দর দৃশ্য কিছুটা ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে তুলে ধরেছেন। যা দেখলে আমার খুব ভালো লেগেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাই ছবিতে দেখে বোঝা যাচ্ছে মনটা খুবই বিষন্ন বিষন্ন লাগছে। যাইহোক যেহেতু ধরলা নদীর পাড়ে ব্রিজের উপরে গিয়ে নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন নিশ্চয়ই মনটা ভালো হয়ে গিয়েছে, সে সাথে খুবই চমৎকার একটি গান গেয়েছেন বললেন। ভাই সত্যি বলতে আপনার গানের গলার অসাধারণ অনেকদিন আপনাদের সাথে ছিলাম না আবার ফিরে এলাম এখন নিয়মিত আপনার গান শুনবো। মাঝেমধ্যে গানের পোস্টগুলো করবেন এই আশা করি। শুভকামনা অবিরাম আপনার জন্য।
ভাই অনেকদিন আপনাকে আমাদের মাঝে দেখতে না পেয়ে সত্যিকার অর্থেই আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছিল। এখন আমাদের মাঝে আবারও যখন আপনাকে দেখতে পারছি তাই ভালোলাগা শুরু হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ধরলা নদীতে বেশ সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে মনে হচ্ছে। ঘুরাঘুরি করতে করতে দারুন দারুন ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। আমার কাছে তো ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে এবং আপনার এই পোস্ট পড়ে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমার পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম ভাইয়া। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন নদীর পাড়ে ঘোরাঘুরি করতে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে যদিও এ বছর তেমন একটা ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আপনার সুন্দর এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর তাই মাঝে মাঝে চেষ্টা করি বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে। অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
বর্ষাকালে নদীগুলো যেন যৌবন ফিরে পাই। এইসময়ে নদীগুলো দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ভয়ও করে। যাইহোক দারুণ সময় কাটিয়েছেন ধরলা নদীর পাড়ে। নদীটি দেখছি অনেক সুন্দর। ধন্যবাদ আমাদের সাথে নদীটির পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য।।।
ঠিক বলেছেন ভাই এ সময়ে নদীতে গেলে ভয়ও লাগে। তবে আমি নদীতে যাইনি নদীর ব্রিজের উপরে উঠেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ
আজকে বিকেলের মুহূর্তগুলো আপনি অনেক সুন্দর ভাবে কাটিয়েছেন। বিশেষ করে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে গুনগুন করে যে গানটি গেয়েছেন সত্যিই অসাধারণ ছিল ।কারণ নদীর শেষ কোথায় হয়তোবা আমরা কেউ জানি না ।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই গানটি আমার কাছে খুবই প্রিয়। আর তার জন্য এই গানটি গেয়েছিলাম। আমার পোস্টে এসে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।