সুস্বাদু চপের দোকানে আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত//১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox 🦊 এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে চপের দোকানে কাটানো কিছু আনন্দমুখর সময়ের কথা তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমার মেয়ে ক্লাস ফাইভে পড়ে, তাই প্রতিদিন তাকে কোচিং করার জন্য কোচিংয়ে নিয়ে যাওয়া আসা করতে হয়। আর যখনই আমি সন্ধ্যেবেলা তাকে কোচিং থেকে নিয়ে আসতে যাই তখন সে বিভিন্ন ভাবে আমার কাছে বায়না ধরে থাকে। যাদের ঘরে ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রয়েছে তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন ছেলে-মেয়ের বায়না পূরণ করতে না পারলে তাদের মন কতখানি ছোট হয়ে যায়। আর যখন তাদের ছোট ছোট বায়না গুলো বাবা হিসেবে পূরণ করতে পারি তখন তার মুখে কি অনাবিল হাসি খুশি দেখতে পাওয়া যায় তা ভোলার মত নয়। আর সেদিনও আমি আমার মেয়েকে যথাসময়ে কোচিংয়ে আনতে গেলে মেয়ে বায়না ধরে বসে চিকেন চপ খেতে,চপের দোকানে যাবে। আমি তাকে কোন ধরনের বাধা না দিয়ে চপের দোকানের চপ খেতে নিয়ে যাই। কারণ আমিও ভাজাপোড়া খেতে অনেক বেশি ভালোবাসি। মেয়ের সাথে সাথে নিজেরও পেট ভজন বেশ সুন্দর হয়ে যাবে বুঝতে পেরে আর কোন কথা না বাড়িয়ে তাকে নিয়ে চললাম চপের দোকানে।
আমরা যেখানে চপ খাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম,সেখানে মোটরসাইকেলে গিয়ে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় ১০ মিনিট সময় লেগে গেল। জায়গাটির নাম ছিল দাদা মোড় । চারটি রাস্তার মোড়, এই দাদা মোড়ে চপের দোকান টি অবস্থিত। যেহেতু চার রাস্তার মোড়ে এই দোকানটি অবস্থিত সেহেতু সকল লোকের সমাগম রয়েছে এই মোড়ে । এই মোড় কুড়িগ্রামের ব্যস্ততম মোড়ের মধ্যে অন্যতম একটি মোড়। আমি সেখানে পৌঁছাতে দুই , তিনটি ছবি তুলে ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম।
আমরা দোকানে পৌঁছামাত্রই হজরত ভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেল। আর দেখা হওয়া মাত্রই সে আমাদেরকে দেখে ভীষণ খুশি হলো। তার সাথে কুশল বিনিময়ের পরে সে আমাদেরকে দেখেই নতুন করে চপ তৈরি করতে শুরু করলো। যাতে করে আমরা টাটকা গরম গরম চপ খেতে পারি। হজরত ভাইয়ের দোকানটি তুলনামূলক অনেক ছোট। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি এই মোড়ের মধ্যে জুলুম ব্যবসা করে থাকে।
আমরা হযরত ভাইয়ের দোকানে গিয়ে বসে পড়লাম এবং অপেক্ষা করলাম গরম গরম টাটকা চপ খাওয়ার জন্য। কিছুক্ষণের মধ্যে এসে আমাদেরকে গরম গরম চপ পরিবেশন করলো। আমরা গরম গরম চিকেন চপ এর সাথে বেগুনী ও গরম ডিম অর্ডার করেছিলাম। চপ পরিবেশনের পর ঠিক সেই সময়ে আমি দুই তিনটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করে নেই।
আমরা সেখানে চপগুলো খুব তৃপ্তির সাথে খেয়েছিলাম। কেননা হজরত ভাইয়ের দোকানের চপ কুড়িগ্রামের মধ্যে সুস্বাদু চপের দোকান হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে। আর তাই আমরা মাঝে মাঝেই সেখানে গিয়ে সুস্বাদু চপ খেয়ে থাকি। আমি দোকানের বিল পরিশোধ করার পরে হজরত ভাইয়ের দোকান সহ নিজের একটি সেলফি তুলে নেই এবং এরপর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হই।
Device | oppo A16 |
---|---|
Photographer | MD Mahbubul Islam |
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
ভাজাপোড়া খেতে আসলে আমার অনেক ভালো লাগে ভাই। আপনি আজকে চপের দোকানে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন সেটাই বোঝা যাচ্ছে আর এই চপ গুলো অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। সেটাই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাইয়া চপ গুলো দেখতে যেমন লোভনীয় খেতে অনেক অনেকটা সুস্বাদু ছিল। আমার পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। চপের দোকানে সত্যিই অনেক সুন্দর সময় কাটিয়ে ছিলাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চপের দোকানে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়া আর গল্প গুজব সবাইকে নিয়ে খুব অসাধারণ মুহূর্ত পার করছেন এবং আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে খুব চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার পোস্টে এসে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য। এভাবেই পাশে থাকবেন সব সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে।
হজরত ভাইয়ের চপের দোকানে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন। রমজান মাসে প্রায় সবখানেই ভাজাপোড়া বিক্রির দোকানে বসে। আর সেই লক্ষ্যে আপনি পরিবারের সদস্য গুলোকে নিয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করেছেন আর সেগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই তাই, হজরত ভাইয়ের দোকানে সেদিন আমরা খুবই সুন্দর সময় কাটিয়ে ছিলাম। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও স্বাগতম ভাইজান 💚
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। চাপের দোকানে কাটানো মুহুর্ত নিয়ে খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা দিয়েছেন। আপনার লেখার কোয়ালিটি অনেক ভালো। এভাবেই চালিয়ে যান। শুভকামনা আপনার জন্য।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আপনার সুন্দর মন্তব্য আমাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করবে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হযরত ভাইয়ের দোকানে গরম গরম চপ খাওয়ার মহত্ত্বের কিছু ছবি তুলেছেন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এরকম গরম চপ খেতে অনেক মজা লাগে আমার খুব পছন্দ। কিন্তু দোকান ছোট হলেও অনেক বেচা-কেনা হয়। মেয়ের সাথে আপনার ও পেট পুজা করলেন হাহা।সুন্দর সময়ে ছবি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু মেয়ের সাথে সাথে আমরা নিজেরাও আমাদের পেট পূজা করেছিলাম। আপনার সুন্দর মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন ছোট বাচ্চাদের কোন বায়না পূরণ করতে পারলে বেশ ভালই লাগে। চপ খেতে গিয়ে অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমি কাটিয়েছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে চপ গুলো অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। এরকম একটা মুহূর্ত আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে মুহূর্তে তা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু, ছোট বাচ্চাদের বায়না পূরণ করতে পারলে আমার কাছে আসলে অনেক ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে আপনাদের ওখানে যেতে হবে। গিয়ে হজরত ভাইয়ের দোকান থেকে চপ খেতে হবে। আপনি খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া হজরত ভাইয়ের দোকানের চপ খেতে খেতে।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো m
আমাদের এখানে এসে চপের দোকানে চপ খাওয়ার জন্য আপনাকে নিমন্ত্রণ জানালাম। সময়-সুযোগ করে আসবেন এবং চপের দোকানের চপ খেয়ে স্বাদ গ্রহণ করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
প্রথমেই আপনাকে জরিমানা করা উচিত ভাই এভাবে একা একা চপের দোকানে সময় কাটানো ঠিক না লোভ লাগে আমাদের হাহাহা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাই শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একা একা চপের দোকানে যাব না ভাইয়া আপনাকে দাওয়াত দিলাম, সময়-সুযোগ করে আসবেন দুই ভাই মিলে একসাথে চপের দোকানে যাব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চপের দোকানে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ভাইয়া। দোকানে বসে চা খেতে খেতে গল্প করার মজাই আলাদা। এই ধরনের চপ খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমিও সবসময় চেষ্টা করি দোকান থেকেই সব কিনে খেতে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া চপের দোকানে সেদিন খুবই আনন্দময় সময় কাটিয়ে ছিলাম। ধন্যবাদ।