রংপুরের সুনাম খ্যাতি ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজীতে কিছুক্ষণ
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে রংপুরের খ্যাতিসুনাম ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজি নিয়ে কিছু কথা উপস্থাপন করব। এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলোজির প্রতিটি খাদ্য সামগ্রী এতটাই সুস্বাদু যা বলার বাইরে। বিশেষ করে ক্যাপ্টেনের লাচ্চা এবং ক্যাপ্টেনের কেক আমার কাছে খুবই পছন্দনীয়। আমি আমার ছেলের প্রথম জন্মদিনের কেকটি এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজি থেকে অর্ডার করে নিয়েছিলাম। তখন পর্যন্ত আমি জানতাম না এই ক্যাপ্টেনের কেকের স্বাদ ঠিক কতটুকু। আমার ছেলের জন্মদিনে যে সকল অতিথি এসেছিল সকলেই এই কেক খেয়ে খুবই প্রশংসা করেছিল। সেই থেকে আমি এই ক্যাপ্টেন কেকের প্রেমে পড়ে যাই। আর তাই কোন কাজে রংপুরে আসলে আমি এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলোজিতে উঠে তাদের খাদ্য সামগ্রী গুলো খাওয়ার চেষ্টা করি।
আমি আর আমার অর্ধাঙ্গিনী দুজনেই গিয়েছিলাম রংপুরে বিশেষ একটি কাজ নিয়ে। এই কাজের ফাঁকে আমি আমার দুই ভাগ্নেকে ডেকে নিলাম ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজিতে। তারাসহ আমরা দুজনে মিলে খুব সুন্দর একটি সময় পার করবো বলে এবং সেই সাথে ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজির ফাস্টফুড খাবার খাওয়ার জন্য সমবেত হব ক্যাপ্টেন বাকলজিতে। তাই আমরা রাস্তায় থাকা অবস্থায় ভাগ্নে দুজনকে ফোন দিয়ে ক্যাপ্টেন বেকোলজিতে যেতে বললাম।
রংপুর সরকারি মেডিকেল এন্ড কলেজ থেকে ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজি যেতে অবশ্যই এই রংপুর ডিসি মোড়ের চত্বর দিয়ে আমাদের যেতে হবে। আর যাওয়ার সময় আলোকময় ডিসির মোড়ের পানির ফোয়ারাটি দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগলো। এই পানির ফোয়ারাটি তিনটি আলোক সজ্জায় সজ্জিত হয়। তাই ভালো লাগার মুহূর্তটিকে ধরে রাখার জন্য ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
রংপুরের ডিসি মোড় থেকে ৪-৫ মিনিট এরমধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজিতে। এটি রংপুর চিড়িয়াখানা মোড়ে অবস্থিত । বাইরে থেকে সুসজ্জিত ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজি দেখতে দারুন লাগছিল। বাইরে যতটা ঝকঝকে চকচকে এর ভেতরেও তার চেয়ে বেশি ঝকঝকে চকচকে নজর কারার মত। আমি বাইরে দাঁড়িয়েই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজির ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
ভিতরে ঢুকেই দেখলাম লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট এর মত দোকানটি। বিভিন্ন খাবারের সমারোহ রয়েছে এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজিতে। বিভিন্ন ধরনের বিস্কিট, বিভিন্ন রকমের কেক, বিভিন্ন রকমের ফাস্টফুড খাবার, বিভিন্ন স্বাদের রুটি, বিভিন্ন ধরনের লাচ্ছা সেমাই, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি ইত্যাদি ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্যের সমাহার রয়েছে এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজিতে। রংপুরে প্রায় চার থেকে পাঁচটি ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজির শাখা রয়েছে।
সবগুলো খাবার উনাদের নিজস্ব বেকারিতে তৈরি হয়ে থাকে। আর তাই খাবারের মান সর্বদাই উৎকৃষ্ট মানের হয়ে থাকে। যা খেলে কেউ কখনো খারাপ রিভিউ দিতে পারবেনা। এটা অবশ্য আমার ব্যক্তিগত মতামত অন্য কারো কাছে তা নাও হতে পারে। তবে যেহেতু আমি এই ক্যাপ্টেন ব্যাকলজির প্রেমে পড়ে গেছি তাই সব খাবারই আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খাবারের সাথে সাথে এই ক্যাপ্টেন ব্যকোলজির মনোরম পরিবেশ সত্যিই উপলব্ধি করার মত। চকচকে এবং বিভিন্ন রঙের আলোকময় রঙে সুসজ্জিত এই ক্যাপ্টেন ব্যকলজি।
তাদের নিয়মাবলী ছিল (pay first) পে ফার্স্ট। তাই আমি মেনু কার্ড দেখে অর্ডার দিয়ে খাবারের আগেই বিল পরিশোধ করে দিলাম। আমরা খাবারের জন্য অর্ডার করলাম রেইনবো কেক, মিষ্টি, চিকেন স্যান্ডউইচ এবং মিনারেল ওয়াটার। অর্ডার করার পরে আমি আমার অর্ধাঙ্গিনের সাথে একটি সেলফি তুলে নিলাম।
আমরা খাবার অর্ডার করার ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যেই খাবারগুলো টেবিলে পরিবেশন করে দেয়া হলো। রেইনবো কেকটি খেতে খুবই সুস্বাদু এবং মুখে লেগে থাকার মতো স্বাদ পেয়েছিলাম। যা মনে পড়লে এখনো খাবার ইচ্ছে হয়। সেই সাথে চিকেন স্যান্ডউইচ ও মিষ্টিগুলোর ও স্বাদ কম নয়। আমরা সকলে মিলে খাবারগুলো খেয়ে খুবই তৃপ্তি পেলাম। আপনারা কেউ কখনো রংপুরে আসলে এই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজিতে একবার ঘুরে যাবেন আমার বিশ্বাস ইনশাআল্লাহ অবশ্যই ভালো লাগবে।
আশা করি আমার রংপুরের সুনাম খ্যাতি ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজীতে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
খাবারের কথাটা বলতে পারব না তবে ক্যাপ্টেন ব্যাকলজিটা দেখতেও তো বেশ দারুণ। অনেক সুন্দর। এবং আপনি যেহেতু আপনার ছেলের প্রথম জন্মদিনের কেকটা এখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন আবারও গেছেন তার মানে সত্যি এদের খাবারের মান এবং স্বাদ ভালো। অনেক সুন্দর ছিল পোস্ট টা।
ভাই অনেকটা সময় নিয়ে মনোযোগের সাথে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সত্যিকার অর্থেই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজির খাবারের মান অনেক অনেক ভালো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
রংপুর ডিসি মোড় থেকে চার থেকে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ক্যাপ্টেন ব্যাকোলজীতে পৌঁছে গেছেন। এবং সেখানে খাবারের মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। বিশেষ করে আপনি যখন বলেছেন যে আপনার ছেলের জন্মদিনের কেক এইখান থেকে অর্ডার করা হয়েছিল এবং সেটি অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।আসলে এরকম স্বনামধন্য রেস্টুরেন্ট থেকে মাঝেমধ্যেই খাবারের স্বাদ গ্রহণ করা আমাদের উচিত।ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্য পরবর্তী সময়ে আরো নতুন নতুন পোস্ট তৈরি করতে অনুপ্রাণিত করবে । আমার পোস্টে এসে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।