সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের মাঝে পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। এই পাবদা মাছ খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। মাছটিতে কাটার পরিমাণ অনেকাংশে কম থাকে এবং মাছটি খুব নরম ও মজাদার হওয়ার কারণে ছোট ছোট সোনামনিরা এই মাছ খেতে অনেক ভালোবাসে। আমিও এই পাবদা মাছ খেতে খুবই পছন্দ করি। পাবদা মাছ খায় না এমন লোক খুঁজে পাওয়া খুবই দুষ্কর।
আমি যে পাবদা মাছের রেসিপি উপস্থাপন করছি এই মাছগুলো নদীর মাছ। আমাদের এখানে ধরলা নদী নামের একটি নদী রয়েছে আর সেই নদীর কাছ থেকেই আমি দাঁড়িয়ে থেকে টাটকা মাছ গুলো কিনেছিলাম। চাষের পাবদা মাছের চাইতে নদীর পাবদা মাছ খেতে অনেক অনেক ভালো লাগে। তবে ইদানিং বাজারে গেলে নদীর পাবদা মাছের চাইতে চাষের পাবদা মাছ বেশি কিনতে পাওয়া যায়। তবে আমি পারতপক্ষে চেষ্টা করি চাষের পাবদা মাছ না কিনে নদীর মাছ কেনার জন্য। কখনো যদি নদীর পাবদা মাছ না পাই, সে ক্ষেত্রে আমি চাষের পাবদা মাছ কিনে নিয়ে আসি। নদীর পাবদা মাছের তুলনায় চাষের পাবদা মাছের স্বাদ অনেকাংশে কম হয়। তবুও যদি আমি কখনো এই চাষের পাবদা মাছ কিনে ফেলি তখন তা বাড়িতে নিয়ে এসে পাবদা মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করে খেয়ে ফেলি।
যেহেতু আমি এই মাছগুলো ধরলা নদী থেকে কিনে এনেছিলাম তাই এর স্বাদের পরিমাণটা অনেক অনেক বেশি পেয়েছিলাম। যখন এই পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি টি তৈরি হয়েছিল তখন পর্যন্ত বুঝতে পারিনি ঠিক কতটুকু স্বাদ হয়েছে। রেসিপিটি তৈরি হওয়ার পরে যখন আমি গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপিটি খেয়েছিলাম, তখন এই রেসিপিটি খেতে অনেক অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। তাই আপনারা যারা পাবদা মাছ খেতে চান না, তারা যদি আমার এই রেসিপি দেখে পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে খান, তাহলে ইনশাআল্লাহ অবশ্যই অবশ্যই ভালো লাগবে। আর এই ভালোলাগার রেসিপিটি আমি খুব যত্নের সাথে তৈরি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করছি।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|---|
১ | পাবদা মাছ | ৫০০ গ্রাম |
২ | পেঁয়াজ | মাজারি ৫টি |
৩ | কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
৪ | শুকনা মরিচ গুড়া | ২ চা চামচ |
৫ | হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
৬ | জিরা বাটা | ২ চা চামচ |
৭ | সয়াবিন তেল | পরিমাণমতো |
৮ | লবণ | পরিমান মত |
" ধাপ : ১ "
প্রথমে চুলায় কড়াই বসিয়ে দিয়ে গরম করে নিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলেই পরিমান মত সয়াবিন তেল ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ২ "
এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে তাতে পেঁয়াজ কুচি গুলো ছেড়ে দিতে হবে।
" ধাপ : ৩ "
এবার পেঁয়াজগুলো যখন বাদামী রঙের ভাজা হয়ে আসবে, তখন কিছুটা পরিমাণ পেঁয়াজ ভাজা বেরেস্তার জন্য একটি পাত্রে তুলে রাখতে হবে। আর বাকি বাদামী রঙের পেঁয়াজ ভাজার উপর এক কাপ পরিমান পানি ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৪ "
এবার ঢেলে দেয়া পানি গুলো যখন ফুঁটিয়ে আসবে তখন উপকরণে নেয়া সকল মসলাগুলো কড়াইতে ঢেলে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে মসলাগুলো কষিয়ে নিতে হবে।
" ধাপ : ৫ "
এবার মসলাগুলো কষিয়ে নেবার পরে মাছগুলোকে কষানো মসলার উপরে ঢেলে দিতে হবে। এবার মসলা গুলোকে মাছের সাথে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
" ধাপ : ৬ "
ঢাকনা দিয়ে কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পরে মাছের পানি গুলো যখন কমিয়ে আসবে, তখন ভালোভাবে কষানোর জন্য পরিমাণমতো পানি ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৭ "
এবার পানিগুলো ঢেলে দেবার পর আবারো ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। এভাবে কিছুক্ষণ জ্বাল হওয়ার পরে ঝোলের পরিমাণটা যখন কমে আসবে ঠিক তখন কেটে রাখা কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের অর্ধেক পরিমাণ বেরেস্তা টুকু কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।
" ধাপ : ৮ "
এবার যখন কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজ বেরেস্তা দেবার পর আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়া হলে, কষানো পানি গুলো যখন ঝোলে রূপান্তরিত হবে তখন বুঝতে হবে তৈরি হয়ে গেছে আমাদের সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি। এবার পরিষ্কার একটি পাত্রে পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি ঢেলে নিয়ে তার ওপরে পেঁয়াজের অর্ধেক বেরেস্তা টুকু ছড়িয়ে দিতে হবে।
এবার আপনার মনের মত করে সাজিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন। সুস্বাদু পাবদা মাছের ঝোল রেসিপি।
আশা করি আমার সুস্বাদ পাবদা মাছের ঝোল রেসিপির পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
ধাপ ১ এ দেওয়া কিছু ছবি বুঝতে পারলাম না। তেল গরম লিখেছেন দেখলাম। কিন্তু ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে না একটু ঠিক করে নেবে। এ ছাড়া বাকি সব ঠিক ছিল আমার মনে হয় গোল করে দিয়েছেন তাই ছবিগুলো দেখা যাচ্ছে না বা বুঝা যাচ্ছে না। তবে রেসিপিটি কিন্তু অস্থির হয়েছে আমার এখনই খাইতে মন চাচ্ছে পাবদা মাছের ঝোল খেয়েছি। খুবই সুস্বাদু হয়।
ভাইয়া আমি এই রেসিপিটি তৈরি করতে ফ্রাইপ্যান ব্যবহার করেছিলাম, যার কারণে তেলগুলো ছড়িয়ে গিয়েছিল। তাই হয়তো আপনার বুঝতে অসুবিধা হয়েছে। তবে প্রথম ছবিদুটি লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে উপরের ছবিটিতে তেল ছিল না, নীচের ছবিটিতে তেল দেয়া ছিল। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাবদা মাছ আমার খুব প্রিয় । আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে পাবদা মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই অসাধারণ হয়েছে। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে । এত অসাধারন রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া চাষের মাছ থেকে নদীর মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। ভাইয়া আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। আপনার রেসিপির কালার দেখতে অসাধারণ হয়েছে। প্রতিটা ধাপ খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার রেসিপির কালার দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। মনে হয় খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।এত মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু, আমার রেসিপিটা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
তার মানে বুঝা গেল ধরলা নদীর মাছ খেতে খুবই সু-স্বাদু হয়।আর পাবদা অনেক ভালো লাগে আমি অনেক খেতে পারি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই স্বাদের ছিল। খুবই সুন্দর করে প্রেজেন্ট করছেন ভালো লাগল।ধন্যবাদ
ভাই, শুধু ধরলা নদী নয় যে কোন নদীর মাছ খেতেই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি একেবারে ঠিক বলেছেন ভাই। চাষ করা মাছের চাইতে নদীর মাছের স্বাদ বহুগুণ বেশি থাকে। আমাদের এলাকায় অবশ্য নদীর পাবদা পাওয়া যায় না বললেই চলে। যা পাওয়া যায় সেটা হচ্ছে চাষের পাবদা। নদীর পাবদার এতো সুস্বাদু রেসিপি ভালো না লাগার কোন কারণ নেই। ধন্যবাদ
আমাদের এখানে ধরলা নামের যে নদী আছে সেই নদীতে মাঝে মাঝে বিভিন্ন রকমের টাটকা মাছ গুলো কিনতে পাওয়া যায়। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাবদা মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আসলে পাবদা মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি খুবই সুন্দরভাবে পাবদা মাছের রেসিপি তৈরি করেন এবং ধাপে ধাপে উপস্থাপন করলেন।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
পাবদা মাছ অনেক সুস্বাদু মাছ। আসলে নদীর পাবদা মাছ অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপি তৈরির প্রতিটি স্টেপ খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আশা করি আমিও এই রেসিপিটি তৈরি করে খাবো। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমার রেসিপিটি আপনার কাছে পছন্দ হয়েছে জেনে খুবই খুশি হলাম। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
পাবদা মাছ আমার বরাবরের মতই অনেক পছন্দের আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে মন চাইছে ওড়ে গিয়ে কিছু খেয়ে আসি।
আমি যতগুলো মাছ পছন্দ করি তার মধ্যে পাবদা মাছ অন্যতম পাবদা মাছ আমার কাছে দারুন লাগে এটি স্বাদ অতুলনীয়। আপনি আমার প্রিয় একটি মাছের রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছা করছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপু পাবদা মাছ আপনার কাছে যেমন প্রিয় মাছ আমার কাছেও ঠিক একই রকম। যাইহোক আপু আপনার প্রিয় মাছটি রান্না করতে পেরেছি আর তা আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ খুশি হলাম। ধন্যবাদ