আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজ আমি খুবই মুখরোচক ও সুস্বাদু বাদাম ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। নিঃসন্দেহে বাদাম একটি পুষ্টিগুণ খাবার। আর বাদামে রয়েছে প্রচুর প্রোটিন যা মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। শুধু পুষ্টিগুণ নয় বরং বাদাম প্রচুর স্বাদের খাবার। যা খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আমিতো বাইরে গেলে বেশিরভাগ সময় বাদাম কিনে খেয়ে থাকি। কেননা বিস্কিট কিংবা চিপসের থেকে বাদামে প্রচুর দম রয়েছে।

যা খেলে আমার আর খুব সহজে খিদে লাগে না। আমার ক্ষেত্রে হয়তো এরকম হয় হয়তো আপনাদের ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। তবে বাদামের পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমি যেমন বাইরে গেলে বাদাম কিনে খাই ঠিক তেমনি মাঝে মাঝে বাড়িতে আবার বাদাম কিনে নিয়ে এসে মুখরোচোক বাদাম ভর্তা তৈরি করে খাই। বাদাম ভর্তা খেতে আমার কাছে প্রচন্ড রকম ভালো লাগে। শুধু আমি নই বরং আমার পরিবারের সকলেই বাদাম ভর্তা খুব মজা করে খায়। তাই মাঝে মাঝে এই বাদাম ভর্তা রেসিপি আমার বাসায় তৈরি করা হয়। মন চাইলেই বাদাম ভর্তা তৈরি করে খাওয়া হয়।

তবে আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না বাদাম ভর্তা তৈরি করে খাওয়া যায়। তাই বলব যারা বাদাম ভর্তা এখনো খেয়ে দেখেননি তারা অবশ্যই আমার এই রেসিপি অনুসরণ করে তৈরি করে খাবেন। আমার বিশ্বাস কেউ একবার বাদাম ভর্তা রেসিপি তৈরি করে খেলে, তার স্বাদ আর কখনোই ভুলতে পারবে না। এক কথায় আমার মত আপনারাও বাদাম ভর্তার প্রেমে পড়ে যাবেন হাহাহা। তাহলে বন্ধুরা, আর কথা না বাড়িয়ে আমার তৈরি বাদাম ভর্তা রেসিপির ধাপগুলো দেখে নেয়া যাক।

ক্রমিক নং	উপকরণ	পরিমাণ
১	বাদাম	২০০ গ্রাম
২	পেঁয়াজ	২ টি
৩	কাঁচা মরিচ	১০-১২ টি
৪	সয়াবিন তেল	পরিমাণ মতো
৫	সরিষার তেল	পরিমাণ মতো
৬	লবণ	স্বাদমতো

" ১ম : ধাপ "

১। প্রথমে বাদাম গুলো ঝেরে ঝুরে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর কাঁচামরিচ গুলোর বোটা ছাড়িয়ে, পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ২য় : ধাপ "

২। এবার পেঁয়াজ গুলোর ছাল ছাড়িয়ে, কুচি করে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ৩য় : ধাপ "

৩। এবার চুলায় কড়াই বসিয়ে দিতে হবে। কড়াই গরম হয়ে আসলে, বাদাম গুলো কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে।

" ৪র্থ : ধাপ "

৪। এবার বাদাম গুলো কড়াইতে ঢেলে দেয়ার পর, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিতে হবে। তারপর হাল্কা আঁচে বাদাম গুলো ভেজে, পরিষ্কার একটি পাত্রে তুলে নিতে হবে।

" ৫ম : ধাপ "

৫। এবার বাদাম গুলো আলাদা পাত্রে তুলে নেয়ার পর, কাঁচামরিচ গুলো কড়াইতে ছেড়ে দিয়ে ভেজে নিতে হবে।

" ৬ষ্ঠ : ধাপ "

৬। এবার ব্লেন্ডার মেশিনটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। তারপর ভেজে নেয়া বাদাম গুলো ব্লেন্ডারে ঢেলে দিতে হবে। এবং বাদাম গুলোকে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

" ৭ম : ধাপ "

৭। এবার বাদাম গুলো ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নেয়ার পর, কেটে নেয়া পেঁয়াজকুচি, ভেজে নেয়া কাঁচামরিচ ও স্বাদমতো লবণ ব্লেন্ডারে ঢেলে দিতে হবে। তারপর বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ সবগুলো একত্রে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

" ৮ম : ধাপ "

৮। এবার বাদাম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ ও লবণ সবগুলো একত্রে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নেয়ার পর, একটি পরিষ্কার পাত্রে ব্লেন্ড করে নেয়া বাদাম গুলো ঢেলে নিতে হবে। তারপর সরিষার তেল ঢেলে দিয়ে হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে আমাদের কাঙ্ক্ষিত সুস্বাদু ও মজাদার বাদাম ভর্তা।

" শেষ : ধাপ "

শেষ-ধাপ : এবার বাদাম ভর্তা সম্পূর্ণভাবে তৈরি হয়ে যাওয়ার পর, পরিবেশনের জন্য মনের মত সাজিয়ে পরিবেশন করুন।

---

---

আশা করি আমার রেসিপি পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।