ঢাকা ভ্রমণের স্মৃতি - পর্ব ৪||১০% বেনেফিশিয়ারি shy-fox 🦊 এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার ঢাকা ভ্রমণের ৪র্থ পর্ব আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আমরা যমুনা ফিউচার পার্কে ঘুরতে ঘুরতে কিছুটা ক্লান্ত হয়ে গেছি আর তাই একটু বসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য একটা রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। রেস্টুরেন্টে বসে আমাদের খাওয়ার চেয়ে বিশ্রাম নেওয়া টা জরুরী ছিল। আমরা ঢাকায় যেহেতু আত্মীয়ের বাসায় উঠেছিলাম সেহেতু আমরা দুপুরের খাবার পেট পুরে খেয়ে বাইরে বেরিয়ে ছিলাম। আর তাই সন্ধ্যার দিকে ভারি কোন খাবার খাওয়ার অবস্থায় ছিলাম না। কিন্তু আমার এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম যমুনা ফিউচার পার্কের ইন্ডিয়ান রেস্তোরাঁ যার নাম ইন্ডিয়ান স্পাইসি সেখানকার একটি খাবার চিকেন কারি উইথ আলু পরোটা খেতে খুবই সুস্বাদু হয়। আর তাই আমি সেই সুস্বাদু খাবার টি খাওয়ার জন্য ইন্ডিয়ান স্পাইসি রেস্তোরায় গিয়ে বসে পড়লাম।
আমরা রেস্তোরাঁয় বসে খুবই আরাম উপলব্ধি করতে পারলাম। কারণ অনেকখানি জায়গা ঘোরাঘুরি করতে করতে পায়ের বারোটা বেজে গিয়েছিলো। রেস্তোরাঁয় বসে বসে আমরা রেস্তোরাঁটির সৌন্দর্য অবলোকন করছিলাম। খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে রেখেছে রেস্তোরাঁটি। বিভিন্ন ধরনের খাবারের চিত্র রেস্তোরাঁটিকে বর্ণিল রঙে রাঙিয়ে তুলেছে। এবং বসার জন্য খুবই আরামদায়ক সোফা সেট ব্যবহার করা হয়েছে। ঝকঝকে চকচকে রেস্তোরাঁয় বসে আমরা অনেকটা স্বস্তি পেলাম।
রেস্তোরাঁয় বসে আমরা চিকেন কারি উইথ আলু পরোটা অর্ডার করলাম। তারা আমাদের কাছ থেকে ১৫মিনিট সময় চেয়ে নিল।১৫ মিনিটের মধ্যেই তারা খাবার সার্ভ করে দিবে। আর তাই পনেরো মিনিট ধরে অপেক্ষা করার সময় রেস্তোরাঁয় বসে দু একটি ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
১৫ মিনিটের মধ্যেই তারা খাবারটি নিয়ে আসলো। যদিওবা আমার পেট একদম ভরা খাবার মত কোন অবস্থাতেই ছিলাম না। তবুও বন্ধুর কাছ থেকে শোনা সুস্বাদু খাবারের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য খাওয়ার চেষ্টা করলাম চিকেন কারি উইথ আলু পরোটা। খাবার টি খাওয়ার সময় আমার মনে হচ্ছিল আমার বন্ধু ভুল কিছু বলেনি সত্যি সত্যি খাবারটি অনেক স্বাদের খাবার ছিল। ভালোই লেগেছে সুন্দর মনোরম পরিবেশে ইন্ডিয়ান স্পাইসি রেস্তোরাঁয় বসে ইন্ডিয়ান খাবার চিকেন কারি উইথ আলু পরোটা খেতে।
রেস্তোরাঁয় থেকে বেরিয়ে আসার সময় ইন্ডিয়ান স্পাইসি রেস্তোরাঁর সামনে আর একটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ দেখতে পেলাম যার নাম আর্সালান। আর আমার ছেলের নাম হচ্ছে আর্সালান ইসলাম আয়ান। তাই রেস্তোরাঁটি দেখে ছেলের কথা মনে পড়ে গেল। আর ঠিক তখনই চোখে পড়ল রেস্তোরাঁটিতে একটি কৃত্রিম নারিকেল গাছ তৈরি করে রেখেছে যেখানে বেশ কয়েকটি নারিকেল ধরে রয়েছে তাও আবার সবুজ লাইটিং এর মাধ্যমে আলোকিত করে তুলেছে। যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল। এরই মধ্যে একটি ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
"আজ আজ আর লিখছি না তাহলে পোস্টটি অনেক বড় হয়ে যাবে। আর তাই আজ এখানেই সমাপ্ত ঘোষণা করছি দেখা হবে আগামী পর্বে।"
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নি১য়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
আপনার ঢাকা ভ্রমণের পিছনে অনেক গুলো ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন সবগুলি ফটোগ্রাফি বেশ ভালো ছিল। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই ঢাকায় গিয়ে অনেক আনন্দ উপভোগ করেছিলাম। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
আপনি আপনার ঢাকা ভ্রমণ করার কিছু স্মৃতি আমাদের সাথে তুলে ধরেছে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর আপনি এই রেস্তারা সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল। এর মাঝে ছিল লোভনীয় খাবার। সব মিলিয়ে দারুণ ছিল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। রেস্তোরাঁটি সত্যিই অনেক সুন্দর ছিল সাথে খাবারের মান ও। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুবই ভালো লেগেছে আপনাদের সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন দেখে। আমি নিজেও মাঝে মাঝে আমার পরিবার সহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সময় কাটাইও। এভাবে সুন্দর কাটুক আপনার জীবন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এসে এত ভাল মন্তব্য করার জন্য। পরিবার নিয়ে ঘুরতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
ঢাকা ভ্রমণ করার কিছু সুন্দর মুহূর্ত আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। সাথে আপনি আজকে আমাদের মাঝে এমন কিছু লোভনীয় খাবার এর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে আমি কোন ভাবে লোভ সামলাতে পারছিনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। খাবারটি দেখতে যেমন লোভনীয় লাগতেছিল খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনার ঢাকা ভ্রমণের স্মৃতি যে অনেক মধুর হয়েছে তা আপনার পোস্ট পড়লে বোঝা যায়। আপনি একটি রেস্টুরেন্টের বসে খেয়েছেন এবং পরোটা গুলো খুব মজাদার হয়েছে এখানকার সার্ভিস অনেক পছন্দ হয়েছে আপনার যা আপনাকে আলটিমেটলি স্যাটিস্ফাইড করেছে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সত্যিই আলুর পরোটা অনেক ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঢাকা ভ্রমনের স্মৃতি সব সময় সোনালী স্মৃতি হয়ে থাক এই দোয়া করি। তবে কাছের মানুষের সাথে সময় কাটানোর মুহুর্তগুলো সব সময় মধুর হয়। আপনারা অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টে এসে এত ভাল মন্তব্য করার জন্য। পরিবার নিয়ে ঘুরলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাই আপনার ঢাকা ভ্রমণের চতুর্থ পর্বটি অনেক সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার এ পর্বে যমুনা ফিউচার পার্কের রেস্টুরেন্টে খাওয়ার মুহুর্ত শেয়ার করেছেন। যা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে পূর্বের পর্ব গুলোর লিংক দিতে পারলে পোস্টটি আরো সুন্দর হতো।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য এবং পরামর্শের জন্য। আগামীতে অবশ্যই পোস্ট এর লিংক দিয়ে দেব। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জীবনে প্রথম একবার ঢাকা গিয়েছিলাম তার স্মৃতি এখনো মনে পড়ে। আর অনেক হাসি পায় স্মৃতিগুলো মনে পড়ে। আপনার ঢাকা ভ্রমণের চতুর্থ পর্ব পড়ে ভালই লাগলো। আর ভালোই খাবার খেয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ঢাকা শহরে ঘুরতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলেই ইন্ডিয়ান ফুড আলু পরোটা আর মাংসের ছবি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।আমি কখনো যাওয়া হয় নি যমুনা ফিউচার পার্কে। তবে খাবারের ছবিগুলা দেখে মনে খেতে খুব সুস্বাদু। আর কৃএিম নারিকেল গাছটা বেশ সুন্দর ধন্যবাদ আপনাকে। শুভেচ্ছা রইল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু আমার পোস্টে এসে এত ভাল মন্তব্য করার জন্য। খাবারটি সত্যিই অনেক সুস্বাদু ছিল। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।