আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া বানানোর প্রক্রিয়া আপনাদের মাঝে উপস্থাপনা করব। মসুর ডাল ও পুঁইশাক দিয়ে তৈরি বড়া খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। মুসুর ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন আছে। এ মসুর ডালের জনপ্রিয়তা সব সময় রয়েছে। মসুর ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করা যায়। যেমন মসুর ডালের বড়া, মসুর ডালের ভর্তা, মসুর ডালের খিচুড়ি, পাতলা মসুর ডাল, মসুর ডাল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়।

আজ আমি এই মুসুর ডালের সাথে পুঁইশাকের সমন্বয়ে সুস্বাদু বড়া তৈরি করে দেখাবো। পুঁইশাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। এছারাও আরো অনেক ভিটামিন রয়েছে পুইশাকে যা মানবদেহের জন্য খুবই কার্যকরী। আর এই পুইশাকের উৎপাদন বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। গ্রামবাংলায় একটি কথা আছে, "মাছের মধ্যে রুই আর শাকের মধ্যে পুই"। পুঁইশাক খেতে সত্যিই অনেক অনেক মজার হয়ে থাকে।

পুঁইশাকে যেমন পুষ্টিগুণ রয়েছে ঠিক তেমনি মসুর ডালের মাঝেও অনেক অনেক পুষ্টি বিদ্যমান। আর তাই এই দুটির সমন্বয়ে আজ আমি মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া রেসিপি তৈরি করেছি। আমি কিভাবে এই মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া তৈরি করেছি তার প্রতিটি ধাপ খুব সহজ করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস আমার রেসিপি অনুসরণ করে এই মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া তৈরি করে খেলে অনেক অনেক স্বাদ পাবেন। তো বন্ধুরা আমি কিভাবে মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া তৈরি করেছি তা আপনাদের মাঝে দেখিয়ে দিচ্ছি। আজ আর কথা বাড়াচ্ছি না তাহলে চলুন দেখে নেয়া যাক, মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া তৈরীর প্রক্রিয়া।

ক্রমিকনং	উপকরণ	পরিমাণ
১	মসুর ডাল	২৫০ গ্রাম
২	পুই শাক পাতা	১০-১২টি
৩	বেসন	পরিমান মত
৪	হলুদ গুঁড়া	১চা চামচ
৫	আদা বাটা	১চা চামচ
৬	রসুন বাটা	১চা চামচ
৭	গোটা জিরা	পরিমাণমতো
৮	কাঁচা মরিচ	১০-১২ টি
৯	পেঁয়াজ	মাঝারি ৩টি
১০	সয়াবিন তেল	পরিমাণমতো
১১	লবণ	পরিমাণমতো

" ধাপ : ১ "

প্রথমে কাঁচামরিচ গুলো কেটে এবং পেঁয়াজগুলো কে কুচি করে কেটে নিতে হবে। উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।

" ধাপ : ২ "

এবার পুঁইশাকের পাতাগুলোকে চিত্রের মত কুচি করে কেটে নিতে হবে।

" ধাপ : ৩ "

এবার পরিমাণমতো বেসন নিতে হবে। এবং মসুর ডাল গুলোকে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

" ধাপ : ৪ "

এবার মসুর ডাল ব্লেন্ড, পুঁইশাক কুচি, বেসন, কেটে নেয়া পেঁয়াজ মরিচ, লবন এবং উপকরণে দেয়া সকল গুরা ও বাটা মসলা সহ একত্র করবো।

" ধাপ : ৫ "

তারপর হাতের সাহায্যে ভালোভাবে মেখে নিতে হবে।

" ধাপ : ৬ "

এবার চুলায় ফ্রাইপেন বসিয়ে দিতে হবে। তারপর উপকরণে দেয়া পরিমাণমতো সয়াবিন তেল ফ্রাইপেনে ঢেলে দিতে হবে।

" ধাপ : ৭ "

এবার সয়াবিন তেল গুলো গরম হয়ে আসলে, হাতের সাহায্যে চেপে চেপে গোলাকার সেপ এনে গরম তেলে ছেড়ে দিতে হবে। এই গলাকার সেপটি যেন খুব বেশি মোটা হয়ে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তা না হলে বড়াগুলো খেতে মচমচে হবে না।

" ধাপ : ৮ "

গরম তেলে মুসুর ডালের বড়াগুলো ছেড়ে দেবার পর কিছুক্ষণ পরপর উল্টিয়ে পাল্টিয়ে কিছুটা বাদামী রঙের করে ভেজে নিতে হবে। আর যখন ভাজা হয়ে যাবে তখন একটি পাত্রে তুলে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া।

আশা করি আমার তৈরি মসুর ডাল ও পুঁইশাকের মজাদার বড়া বানানোর পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।