বৈশাখী মেলায় আমার কাটানো কিছু মুহূর্ত || ১০% বেনিফিশিয়ারি shy-fox এর জন্য
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।
আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। বৈশাখী মেলায় আমার কাটানো কিছু মুহূর্তটুকু আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। বৈশাখ মাসে বৈশাখী মেলা হবে এটাই হচ্ছে মূল কথা। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে গত দু'বছর আমাদের এদিকে কোথাও কোন মেলার আয়োজন হয়নি। আর তাই আমরাও কোন প্রকার আনন্দ উল্লাস করতে পারিনি। পরিবারের সকলে মিলে মেলায় ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। মেলাতে বিভিন্ন ধরনের দ্রব্য সামগ্রী ক্রয় এর সাথে সাথে বিভিন্ন রকমের রাইডার গুলো আনন্দ দেয়ার জন্য মেলার মধ্যে সমবেত হয়েছে। অনেক অনেক দিন পর পরিবারের সকলে মিলে মেলায় আনন্দ করতে পেরে আমাদের সকলের কাছে অসম্ভব ভাল লেগেছিল। আর সেই ভালো লাগার মুহূর্ত টুকু আজ আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।
প্রথমেই বৈশাখী মেলায় পৌঁছে আমার ছেলে মেয়ে দুটি আনন্দে আত্মহারা হয়ে দৌড়ে মেলার ভিতরে প্রবেশ করে ছিল। আমরা তখনও গেটের বাইরে। গেটটি বিভিন্ন ধরনের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে রেখেছিল যা দেখে অনেক অনেক ভালো লেগেছিল। তাই মেলার ভিতরে প্রবেশ করার পূর্বে এক'টি ছবি এবং আমার ছেলে মেয়ের প্রবেশ এর একটি ছবি ক্যামেরাবন্দি করে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
গেটের ভিতরে প্রবেশ করে প্রথমেই ডান দিকে পরে একটি আচারের দোকান। দোকান টিতে অনেক ধরনের সু-স্বাদু আচার সাজিয়ে রেখে ছিলো। আর বাম দিকে পড়েছিল একটি আইসক্রিমের দোকান। দোকান টিতে বিভিন্ন ফ্লেভারের আইসক্রিম পাওয়া যায়। তাই দেখে দুটো ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
এরপর দুই চার কদম হাঁটতেই চোখের সামনে পড়ে গেল একটি খেলনা ও শো পিস এর দোকান। সেখানে অনেক সুন্দর সুন্দর শোপিস এবং ছোট বাচ্চাদের খেলনা সাজিয়ে রেখে ছিলো। সেখান থেকে আমার ছোট ছেলে আয়ান সোনার জন্য একটি প্রাইভেটকার খেলনা গাড়ি কিনে নিলাম।
তারপর আবারো দুই চার কদম হাঁটতেই চোখের সামনে পড়ে গেল মাটির তৈরি সামগ্রী এবং সোনালী আঁশ পাট এর কিছু সামগ্রী। তা দেখে আরো দু একটি ছবি তুলে নিলাম আমার মুঠোফোনে।
যেহেতু বৈশাখী মেলা, তাই নানান রকমের রাইডার এসেছিল মেলাতে। আর সেই রাইডার গুলোতে আমার ছেলে ও মেয়ে চড়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দিল। কতইনা আনন্দে রাইডার গুলোতে চড়ার জন্য ছটফট করছিল। আমি আমার ছেলেকে ঘোড়া রাইডার এর উপরে চড়ানোর জন্য মন স্থির করলাম আর ঠিক তখনই আমার ছেলে দৌড়ে গিয়ে একা একাই ঘোড়ার উপরে চরার চেষ্টা করছে। ব্যাপারটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আর তাই দ্রুত একটি ছবি তুলে নিলাম।
আমার ছেলে মেয়েকে যখন ট্রেন রাইডারে চড়ানোর মন স্থির করলাম, ঠিক তখনই তারা দুজন দৌড়ে গিয়ে ট্রেনে বসে পড়ল। আর সেই দৃশ্য দেখে আমার অর্ধাঙ্গিনী দ্রুত টিকিট কাটার জন্য টিকিট কাউন্টারে গেল। তারপর টিকেট নিয়ে আসার পরে আমার ছেলে ও মেয়ে ট্রেন রাইডারে বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করলো।
এই মেলাটির মূল আকর্ষণ ছিল এই রাইডার গুলো। আর তাই আমরা খুবই আনন্দের সাথে রাইডার গুলোতে চরেছিলাম। আমরা পরিবারের সকলে মিলে নাগরদোলায় উঠেছিলাম। সবাই চিৎকার চেঁচামেচি করে আনন্দ উল্লাস করে নাগর দোলায় দুলেছিলাম। অসম্ভব ভাল লেগেছিল সেই মুহূর্তটুকু।
অনেকটা সময় ঘুরাঘুরি করার পরে, রাইডার গুলোতে চরার পরে, এবার আমাদের বাড়ি ফেরার পালা। বাড়িতে ফেরার আগে মেলার ঐতিহ্যবাহী আচার,ফুচকা ও চটপটি খেয়ে কিছু ছবি তুলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।
Photographar | MD Mahbubul Islam |
---|---|
Device | oppo A16 |
Ram | 4GB |
Rom | 64GB |
আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ সুন্দর বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।
দেখেই বোঝা যাচ্ছে বৈশাখী মেলায় অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন মাঝে মাঝে এরকম বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি করতে খুবই ভালো লাগে। যদিও আমি এখন পর্যন্ত বৈশাখী মেলায় যাইনি তবে ইচ্ছা আছে যাওয়ার। এত সুন্দর একটি বৈশাখী মেলায় কাটানো মুহুর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
জ্বি ভাই একদম ঠিক কথা বলেছেন বৈশাখী মেলায় আমরা প্রচুর আনন্দ করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মেলায় কাটনো সময় অনেক ভালো কাটছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে। আপনার সাথে আমাদের কমিউনিটির দুইজন ভেরিভাইড মেম্বার ও আছে। দেখে খুব ভালো লাগলো। আসলে পরিবার নিয়ে কোথাও গেলে আমারও খুব ভালো লাগে। শুভ কামনা রইলো আপনাদের সবার জন্য।
জি ভাই, আমাদের কমিউনিটির দুইজন ভেরিফাইড মেম্বার হচ্ছে একজন আমার ভাগিনা ও একজন ভাগ্নি। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বৈশাখী মেলার ছবি গুলো দেখতে পেয়ে ভিষণ আনন্দিত। মনে পরে গেলো বৈশাখী মেলার কথা। যদি ও এই বছর কোথাও বের হওয়া হয়নি। তবে যখন ছোট ছিলাম তখন কোন মিস হত না তবে গ্রামে আনন্দ বেশী হতো মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ ভালো মূহুর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
ভাই আমার পোস্টে এসে অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন। আর এই মন্তব্য পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এসব মেলাকে ঘিরে ছোটদের আগ্রহ একটু বেশিই থাকে। মেলাটা দেখছি একেবারে জমে উঠেছে। নানারকম খাবার রাইড রয়েছে। বাচ্চারা আবার এইসব রাইডে চড়তে অনেক পছন্দ করে। মেলায় দারুণ সময় কাটিয়েছেন। অনেক সুন্দর ছিল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
ঠিকই বলেছেন ভাই, মেলাকে ঘিরে ছোটদের আগ্রহটাই বেশি দেখতে পাওয়া যায়। আর তাই আমার ছেলে মেয়েরা সেই মেলায় গিয়ে অনেকটাই আনন্দ উপভোগ করেছিল। ধন্যবাদ
বৈশাখী মেলায় খুবই সুন্দর সময় পার করেছেন, সত্যি পরিবারের সাথে নিয়ে এরকম আনন্দময় পরিবেশের মধ্যে ভ্রমণ সত্যি মজাটাই অন্যরকম, খুবই ভালো লাগলো আপনার ভ্রমণ কাহিনী এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে।
আমার কাছেও তাই ভাই, পরিবারের সকলকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
গত দুই বছর যাবৎ আমি বৈশাখ পালন করতে পারিনি , অনেক খারাপ লাগে। করোনা পরিস্থিতি আমাদের বাধ্য করেছে। যাই হোক আপনার পোস্ট দেখে আমার মনে হচ্ছে আমি বৈশাখী মেলায় ঘুরছি। পরিবারের সাথে এরকম বৈশাখ উদযাপন প্রতিটি বাঙালি করুন এই আশা করি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
করোনাকালীন সময়ে আমরা কখনও কোন মেলাতে যোগদান করতে পারিনি। আর তাই এই বৈশাখী মেলায় আমরা অনেক অনেক আনন্দ ফুর্তি করেছিলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৈশাখী মেলা হয়ে থাকে বৈশাখী মেলাতে বলা হয় বাংলাদেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। আপনি খুব সুন্দর ভাবে বৈশাখী মেলা সম্পর্কে আপনার অনুভূতি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। বৈশাখী মেলায় আপনি অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন না দেখেই বোঝা যাচ্ছে এবং সেই সময় গুলো আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে নিখুঁত করে উপস্থাপন করেছেন। বৈশাখী মেলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে।এত সুন্দর একটি সময় আমাদের মাঝে একজন মানুষ ধারণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, আমার পোস্টে এসে এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
খুবই সুন্দর সময় কাটিয়েছেন মেলায় গিয়ে। আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত পোস্ট পড়ে। বৈশাখী মেলায় গিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো খুবই চমৎকার ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু,বৈশাখী মেলায় গিয়ে সত্যিই অনেক অনেক আনন্দ ও উল্লাসে সময়টুকু পার করেছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল সেই সময়ের মুহূর্তটুকু। ধন্যবাদ
ভাই আপনি বৈশাখী মেলায় খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। মেলায় বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র উঠেছে। এবং বাচ্চাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও রয়েছে। নৌকাটা দেখেত আমার ভীষণ ভয় লাগছে এই নৌকায় উঠতে অনেক সাহসের প্রয়োজন হয়। বোঝা যাচ্ছে আপনারা সবাই খুব আনন্দ করেছেন। এবং ঘোরাঘুরিতে আপনারা ফুচকা খেয়েছেন। ফুচকা তোমার ভীষণ পছন্দ আপনাদের খাওয়া দেখে আমার খুব খেতে ইচ্ছে করছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাওয়ার সুন্দর এবং আনন্দের মুহূর্ত টুকু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
এই নৌকায় উঠতে সত্যিই অনেকে খুবই ভয় পেয়ে থাকে। আবার কেউবা যদি সাহস করে ওঠে পরে ভয়ে আবার নৌকায় উঠেই চিৎকার শুরু করে দেয়। বেশ মজা লাগে এইসব দৃশ্য দেখতে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাই দারুন লাগলো আপনাদের বৈশাখী মেলায় ঘোরাঘুরি। আপনাদের মত আমাদেরও একই অবস্থা। করোনার জন্য গত দুই বছর কোন রকম কোন মেলা হয়নি আমাদের এখানে। ঐতিহ্যবাহী জসীম পল্লী মেলা সেটাও বন্ধ আছে প্রায় পাঁচ বছর। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মেলায় ঘোরাঘুরি করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুন্দর কিছু মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
সত্যিই ভাই, পরিবারের সকলে একসাথে ঘুরে বেড়ালে মজাটাই অন্যরকম হয়। সুন্দর মন্তব্য দিয়ে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।