মুসলিম ভাই ও বোনদের জন্য আসসালামু আলাইকুম, সনাতন ধর্মালম্বী ভাই-বোনদের জন্য আদাব, এবং অন্যান্য ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন গ্রহণ করবেন।
আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সকলেই ভাল আছেন। এবং সকলেই ভাল থাকেন এই দোয়া ও কামনা করি। আমি গত আট দিন যাবত ভীষণ অসুস্থ ছিলাম। অসুস্থ হওয়ার পরে নিজেকে খুব অসহায় মনে হচ্ছিল। মনে হতো কত দিনে আমি সুস্থতা লাভ করব। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি এখন একদম সুস্থ। তাই আজ আমি আবারও আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদেরকে দেখাবো আলু গাজর ও বৈরালী মাছ দিয়ে মজাদার ও সুস্বাদু চচ্চড়ি কিভাবে তৈরি করা যায়। ছোট মাছ খেতে আমরা অনেকেই ভালবাসি। আর এই ছোট মাছ দিয়ে আলু গাজর চচ্চড়ি অসাধারণ সুন্দর একটি খাবার। আমার রেসিপি দেখে এই চচ্চড়ি একবার যদি কেউ খেয়ে থাকেন তাহলে আরো একবার খেতে চাবেন বলে আশা রাখি। তাহলে বন্ধুরা চলুন শুরু করা যাক আলু গাজর দিয়ে বৈরালী মাছের চচ্চড়ি তৈরি করার প্রক্রিয়া।
ক্রমিক নং | উপকরণ | পরিমান |
১ | বৈরালী মাছ | ৫০০গ্রাম |
২ | আলু | ৫০০গ্রাম |
৩ | গাজর | ২০০গ্রাম |
৪ | কাঁচা মরিচ | মাঝারি ১০পিস |
৫ | পেঁয়াজ | মাঝারি ৪পিস |
৬ | হলুদ | ১ চা চামচ |
৭ | জিরার গুড়া | ২ চা চামচ |
৮ | লবণ | পরিমাণমতো |
৯ | সয়াবিন তেল | ১কাপ |
প্রথমে গ্রেট করা আলুগুলোর সঙ্গে উপকরণের সব মসলা দিয়ে আলু গুলোকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এরপর আবারও আলুগুলোর সঙ্গে গ্রেট করা গাজরগুলো মাখিয়ে নিতে হবে উপরের চিত্রের মত করে।
এরপর মাখিয়ে নেওয়া আলু ও গাজরের সাথে মাছগুলোকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। এবং আলু গাজর ও মাছ মাখানো হয়ে গেলে পরিমাণমতো পানি দিয়ে নিতে হবে উপরে দেয়া ছবির মত করে।
এরপর চচ্চড়ির স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ধনিয়াপাতা ছোট ছোট করে কেটে আলু চচ্চড়ির ওপরে ছড়িয়ে দিতে হবে উপরে দেয়া চিত্রের মত করে।
এরপর মাছের চচ্চড়ির পানি যখন একদম শুকিয়ে যাবে ঠিক তখনই বুঝতে হবে আমাদের আলু গাজর দিয়ে বৈরালি মাছের চচ্চড়ি তৈরি হয়ে গেছে।
এরপর তরকারি যখন হয়ে যাবে আপনি আপনার পছন্দমত সাজিয়ে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন আলু গাজর দিয়ে বৈরালী মাছের চচ্চড়ি।
আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি, বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। বাংলায় লেখালেখি করতে আমার খুব ভালো লাগে আমার জন্য দোয়া করবেন এবং সহযোগিতা করবেন আমি যেন আগামীতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট আপনাদের উপহার দিতে পারি।
এই মাছের নাম আগে কখনো শুনিনি।এমনও হতে পারে হয়ত খেয়েছি কিন্তু ভিন্ন নামে।রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। শুভকামনা আপনার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া, সত্যিই বলেছেন অবশ্যই আমার মনে হয় মাছটি খেয়েছেন অন্য কোন নামে। এই মাছটি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে, নদীর হলে তো কোন কথাই নেই। আপনার জন্যও অনেক শুভকামনা রইল।
বৈরালি মাছ এখনো খাওয়া হয়নি আমার। তবে মাছগুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আলু, গাজর দিয়ে বৈরালি মাছের রেসিপিটি খুবই দারুণ হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ,এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য । তবে আমার মনে হয় আপনি অবশ্যই মাছটি খেয়েছেন অন্য কোন নামে । অঞ্চলভেদে আপনার এলাকায় মাছ টি হয়তো বা অন্য কোন নামে পরিচিত। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
খুবই মজাদার রেসিপি তৈরী করছেন আপনি,আলু মাছ দিয়ে আপনি অনেক মজাদার রেসিপি আমাদের কাছে শেয়ার করছেন।প্রতিটা ধাপ অনেক ভালো করে দেখিয়েছেন। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া, আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন এরকম সুন্দর সুন্দর রেসিপি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
বৈরালি মাছ আমার কাছে একদম নতুন একটা মাছ। এরকম মাছের সাথে আগে কখনো পরিচিত হইনি ।যাইহোক আপনার রেসিপি টা একদম ইউনিক হয়েছে। সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বোঝার ক্ষেত্রে সহজ হয়েছে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া, বৈরালি মাছ নাম ব্যতীত অন্য কোন নাম এই মাছটির আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তাই হয়তো মাছটির নাম আপনার কাছে একদম নতুন মনে হচ্ছে। মাছটির অন্য কোন নাম খুঁজে পেলে আপনাকে জানানোর চেষ্টা করব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
দেখে মনে হচ্ছে খুব স্বাদের হয়েছে রান্নাটি কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই মাছগুলো আমি খুব একটা পছন্দ করি না তবে হ্যা, আমার আম্মু খুব পছন্দ করেন এবং তিনি টমেটো ও পেয়াঁজ দিয়ে ভুনা করে খেতে বেশী পছন্দ করতেন। আর গাজর দিয়ে তরকারি রান্না বেশ লাগে কারন একটু মিষ্টি মিষ্টি হয় তরকারিটি। ধন্যবাদ ভাই শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য, আসলে এক এক জনের রুচি একেক রকমের। কেউ বা মাছ পছন্দ করে, আবার কেউ বা মাংস পছন্দ করে। শীতকালীন সময় টমেটো গাজর সত্যিই অনেক মজাদার। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আলু গাজর দিয়ে বৈরালী মাছের চচ্চড়ি রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার রেসিপি তৈরির প্রসেস উপস্থাপন করেছেন। অনেক মজাদার বৈরালী মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আলু গাজর দিয়ে বৈরালি মাছের চচ্চড়ি রেসিপি সত্যিকার অর্থেই একটি মজাদার খাবার। এই রেসিপি অত্যন্ত সুন্দরভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পেরেছি জানতে পেরে খুবই ভালো লাগছে আমার জন্য দোয়া করবেন।
ভাইয়া আপনি তো বেশ ভালই রেসিপি তৈরি করতে পারেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে আলু গাজর দিয়ে বৈরালী মাছের চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন। সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে ভাইয়া। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি ভালো রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি মাত্র, আপনার কাছে ভালো লেগেছে, সুন্দর হয়েছে জানতে পেরে আমার চেষ্টাটি সফল হয়েছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
বৈরালি মাছের নাম আগে কখনো শুনিনি। খাওয়া তো দূরের কথা। কিন্তু আপনার মাছগুলো দেখে চেনা চেনা লাগছে। যাই হোক আপনার আলু এবং গাজর দিয়ে মাছের চচ্চড়িটি খুবই লোভনীয় লাগছে। দেখে মনে হচ্ছে যে খুবই মজাদার হয়েছে। পরিবেশনা টা খুব সুন্দর ছিল।
ধন্যবাদ আপু, একেক জায়গায় একেক রকম আঞ্চলিক ভাষা হওয়ার কারণে হয়তোবা আমার মাছের নামটি আপনি চিনতে পারছেন না। তবে এই মাছ দিয়ে আলু চচ্চড়ি সত্যি মজাদার একটি খাবার। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
বৈরালি মাছ আমি আগে কখনো নাম শুনিনি।তবে কিছু ছবি এডিড করার জন্য মনে হয় কালার অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছে। ন্যাচারাল কালারটা বোঝা যাচ্ছেনা। তবে রেসিপি টা মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে। ওই পিকগুলো এডিট করা নয়, ওগুলোতে লাইট একটু বেশি পড়েছে। ধন্যবাদ।
জাস্ট ওয়াও একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আমার কাছে মনে হচ্ছে এটি একটি ইউনিক রেসিপি দেখতে খুব ভালো লাগছে। আলু গাজর দিয়ে বৈরালী মাছের চচ্চড়ি রেসিপি আমার কখনো খাওয়া হয়নি তবে বৈরালি মাছ আমাদের এদিকে সম্ভবত মোয়া নামে পরিচিত যাইহোক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য
"ওয়াও"কথাটি শুনতে যেন মনের ভিতরে কেমন একটা দোলা দিয়ে যায়। রেসিপিটি আসলেই অনেক সুস্বাদু ও মজাদার আমার পোষ্টের দেয়া ধাপ অনুযায়ী অবশ্যই রান্না করে খাবেন । ইনশাআল্লাহ অবশ্যই অনেক ভালো লাগবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল,ধন্যবাদ।