আ_{^{মার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর ভাই ও বোনেরা, মুসলিম ভাই ও বোনদের জানাই আসসালামু আলাইকুম। সনাতন ধর্মালম্বী ভাই ও বোনদের জানাই আদাব এবং অন্যান্য ধর্ম অবলম্বনকারী ভাই ও বোনদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।}}

আজ আবারো ফিরে আসলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আর আজ আমি আমাদের কুড়িগ্রাম শহরের ও. এফ. সি. ফাস্টফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গিয়ে খাবার খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে এসেছি। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন খাবারের স্বাদ পেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আর তাই আমি মাঝে মাঝে চেষ্টা করি আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, ভিন্ন ভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে লোভনীয় খাবার গুলো খেতে।

তবে কখনো কখনো এই লোভনীয় খাবারগুলো খেয়ে খুব একটা তৃপ্তি পাইনা। আবার কখনো কখনো লোভনীয় এই খাবারগুলো খেয়ে এতটাই তৃপ্তি পাই, যার কারনে আবারো সেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে লোভনীয় সেই খাবারগুলো খাবার চেষ্টা করি। আমাদের কুড়িগ্রাম শহরে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
আর সেই রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে যাদের খাবারের মান খুবই ভালো।

আবার এমন কিছু রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে গিয়ে একবার খেলে, দ্বিতীয়বার আর যাওয়ার ইচ্ছে হয় না। তবে আমি সেদিন কুড়িগ্রাম শহরের ও এফ সি রেস্টুরেন্টে গিয়ে যে খাবারগুলো খেয়েছিলাম সেই খাবার গুলোর মান কিন্তু খুবই ভালো ছিল। আর সে বিষয়ে আজ আমি আপনাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।

এই হচ্ছে সেই ও.এফ.সি. রেস্টুরেন্ট। যে রেস্টুরেন্টে আমি প্রথমবার গিয়েছিলাম। কেননা রেস্টুরেন্টটি উদ্বোধন হওয়ার খুব বেশিদিন হয়নি। তাই আগে কখনো আমার এই রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়নি। রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে, রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন দেখে আমার বেশ ভালো লেগেছিল। তবে নতুন রেস্টুরেন্ট হওয়ার কারণে, রেস্টুরেন্টে লোকজনের সমাগম একদম ছিল না বললেই চলে।

রেস্টুরেন্টটির পরিবেশ একদম ঝকঝকে ও চকচকে। খুব সুন্দর পরিষ্কার করে পরিপাটি করে রেখেছে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে তাদের ওয়াশ ব্লকটিও ছিল ছিমছাম পরিপাটি। সব মিলিয়ে আমার কাছে রেস্টুরেন্টটি খুব পছন্দ হয়েছিল। আর হ্যাঁ এই রেস্টুরেন্টটি কিন্তু আমার খুবই পরিচিত একজন কাকু পরিচালনা করেছেন। যার কারণে রেস্টুরেন্টটি দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছিল।

এই রেস্টুরেন্টটিতে একটি সেলফি জোন রয়েছে, যেখানে সবাই দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে পারবে। এছাড়ও রেস্টুরেন্টের চারিদিকে আর্টিফিশিয়াল ফুল ও পাতাবাহারের গাছ দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রেখেছে। আমরা যে সিটগুলোতে বসেছিলাম, তার মাথার উপরে খুব সুন্দর আর্টিফিশিয়াল পাতাগুলো খুব সুন্দর করে ঝুলছিল, তা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছিল।

আমি যেদিন এই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম সেদিন কিন্তু প্রচন্ড গরম পড়েছিল। আর তাই গরমে ঠান্ডা ঠান্ডা কিছু খাওয়ার জন্য আমি লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম। তাই যখন হোটেল বয় এসে আমাকে মেনু কার্ড হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল, তখন সাথে সাথেই আমি লাচ্ছি অর্ডার করেছিলাম। যদিও বা আমরা সেখানে ভারী খাবার খাওয়ার জন্য গিয়েছিলাম, তবে গরমের তীব্রতার কারণে প্রথমে লাচ্ছি খেয়ে শরীরটাকে একদম চাঙ্গা করে নিয়েছিলাম।

---

---

আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আজ আর নয়, দেখা হবে আগামীতে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে।

আমি মোঃ মাহবুবুল ইসলাম লিমন। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি। বাংলা ভাষা আমার মাতৃভাষা। আমি এই অপরূপ বাংলার কোলে জন্ম নিয়ে নিজেকে অনেক অনেক গর্বিত মনে করি। এই বাংলায় আমার ভালো লাগে, বাংলায় চলতে, বাংলায় বলতে, বাংলায় হাসতে, বাংলায় গাইতে, বাংলায় শুনতে, আরো ভালো লাগে এই অপরুপ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নিজেকে হারিয়ে যেতে দিতে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি যেন আগামীতেও আরো অনেক সুন্দর সুন্দর পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পারি। সবাই পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। এই প্রত্যাশাই সর্বদা।