গ্রাম হল এদেশের মূল কাঠামো। এ দেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক কাঠামোগুলো গ্রামকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে। বর্তমানে আমাদের প্রধান এবং অর্থকরী ফসল হলো ধান।এখন ধান চাষের মৌসুম চলছে। ধান চাষাবাদের মৌসুম চললেও কিছু কিছু জমিতে আলু এবং সরিষার ফসলগুলো পরেই রয়েছে। আজকে আমি আমাদের এলাকার কৃষি জমি গুলো পর্যবেক্ষণের উদ্দেশ্যেই বিকেল বেলা বের হই। কৃষিভিত্তিক গ্রামীন পরিবেশের সামগ্রিক হালচাল আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করব।

ফটোগ্রাফিঃ-১

ফটোগ্রাফিঃ-২

উপরোক্ত ফটোগ্রাফি গুলো মুলো আলু এবং সরিষা ক্ষেতের। অনেক স্থানে এই দুটি ফসল কেটে ঘরে তুললেও কিছু কিছু অঞ্চলে এখনো এগুলো জমিতেই রয়ে গেছে। আর শীতকালের এই অসময়ে বৃষ্টি হওয়ার জন্য এই ফসল দুটি কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এখন যে জমিতে যে আলুর ফসল গুলো রয়েছে সেগুলো দ্রুত তুলে নিয়ে বাজারজাত করা উচিত। কারণেই আলুগুলো বৃষ্টির পানিতে ভেজার ফলে নষ্ট যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফটোগ্রাফিঃ-৩

ফটোগ্রাফিঃ-৪

ফটোগ্রাফিঃ-৫

ফটোগ্রাফিঃ-৬

ফটোগ্রাফিঃ-৭

আলু এবং সরিষা এই দুটি ফসল জমি থেকে উঠানোর পরে জমিতে ধানের চাষাবাদ করা শুরু হয়। আর ধানের চাষাবাদ করার জন্য আমাদের এলাকায় পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়।প্রথমে ধানের জমিতে গোবর দেওয়া হয়। এরপর জমিগুলোতে পানি দিয়ে সেচ দিতে হয়।এরপর পাওয়ার টিলার ব্যবহার করে জমিগুলো প্রথমে ধান চাষের জন্য প্রস্তুত করে নিতে হয়। এজন্য জমিতে দুইবার চাষ করার প্রয়োজন পরে। উপরোক্ত ফটোগ্রাফির মূলত ধানের জমি প্রস্তুত করে নেয়ার সময়কার।

ফটোগ্রাফিঃ-৮

ফটোগ্রাফিঃ-৯

ফটোগ্রাফিঃ-১০

ফটোগ্রাফিঃ-১১

উপরোক্ত ফটোগ্রাফি গুলো হল ধানের চারা রোপন করার পর ধান ক্ষেতের। জমি ধান চাষের জন্য প্রস্তুত করে নেয়ার পর চারা গাছগুলো জমিতে রোপণ করতে হয়। ধানের চারা গাছগুলো রোপন করে নেওয়ার পর আবার সেচের প্রয়োজন পড়ে।

কেবল তো গেল ধান চাষের শুরুর অধ্যায়। এরপর চারা গাছ থেকে ফসল উৎপন্ন হওয়ার আগ পর্যন্ত আরও কত কাজ বাকি।আসলে কৃষিভিত্তিক দেশের এই প্রধান কাজের সঙ্গে জড়িত লোকজনরা অনেক পরিশ্রমী। এত পরিশ্রম করার পরেও তাঁদেরকে আবার অনেক সময় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে থাকতে হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত কোন বৃষ্টির কারণে আবার অনেক সময় ফসলের ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।