বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা
শিক্ষাব্যবস্থা একটি জাতির মেরুদন্ড স্বরূপ। মেরুদন্ড ছাড়া যেমন একটি প্রাণী উঠে দাঁড়াতে পারে না, তেমনি উন্নতমানের শিক্ষাব্যবস্থা ছাড়া একটি জাতির উন্নতি সম্ভব নয়। উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা বলতে আমরা যে ধরনের শিক্ষাব্যবস্থাকে বুঝি তা হল সঠিকভাবে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝা।
আজকে দুঃখের সহিত বলতে হচ্ছে যে, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মানসম্মত নয়। এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাধান্য পায় প্রতিযোগিতা। আর এই প্রতিযোগিতা বিবেচনা করা হয় কে কত বেশি নাম্বার পেল তার ওপর ভিত্তি করে, যা হওয়া উচিত ছিল কে কত বেশি সৃজনশীল। সেই ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের নাম্বার প্রাপ্তির প্রতিযোগিতার মধ্যে ফেলে দেয়। যে যত বেশি নাম্বার পায়,শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকেও সে ততো বেশি সম্মানিত হয় এবং ভালোবাসা পায়। যার দরুন ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েগুলো হীনমন্যতা এবং বিকৃত মন-মানসিকতার নিয়ে বেড়ে ওঠে। ছেলেমেয়েগুলো এই প্রতিযোগিতাকে তাদের ধ্যান-জ্ঞান মনে করে অন্ধ হাফেজের মত করে পড়াশোনা মুখস্থ করতে থাকে। একগাদা তথ্য মুখস্থ করা কখনো শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হতে পারে না।ফলে তাদের একটা বিষয় বোঝার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। অর্থাৎ তারা তাদের সৃজনশীলতার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। এই প্রতিযোগিতা চলতে থাকে প্রাইমারি থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত। এতদিন পর্যন্ত ছেলেমেয়েগুলো বুঝতে পারে না যে তারা তাদের কত ক্ষতি করে ফেলেছে। সৃজনশীলতা প্রতিভা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে স্নাতক এ গিয়ে তারা চরমভাবে বিপদগ্রস্ত হয়। অনেকেই তাদের স্নাতক ডিগ্রী পুরোপুরি অর্জন করতে পারে না। তাদের যদি ছোটবেলা থেকেই সৃজনশীলতা কে প্রাধান্য দেওয়া হতো তাহলে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যে যেদিকে ভালো সে ঐদিকে যেত।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই গোড়ায় গলদ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তা না হলে ছেলেমেয়েগুলোর মেধাবিকাশ ঘটবেনা। তারা শুধু তাদের মুখস্ত বিদ্যা কাজে লাগাবে, প্রকৃতপক্ষে সৃজনশীল হতে পারবে না। আর শিক্ষাব্যবস্থার ভুল থাকলে একটি জাতির অবকাঠামোগত উন্নয়ন কখনোই সম্ভব হবে না।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া।বাবা ,মা এবং শিক্ষকরা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে হীনমন্যতায় ফেলে দেয় কোনো কোনো বিষয়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।ভালো ব্যাখ্যা করেছেন।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।