নাটকের কিছু তথ্য

মূল চরিত্রে:-

বডি সোহেল :-:-: মিশু সাব্বির
ডান্সার শাহালম :-:-: জিয়াউল হক পলাশ।
মিজান (কুত্তা মিজান) :-:-: চাষী আলম।
আকবর (এতিম আকবর) :-:-: মারজুক রাসেল।

নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী

নাটকটিতে মূলত মেয়েলি বিষয় নিয়ে সকলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে। এজন্যই নাটকের নাম Female 2.মিজান (কুত্তা মিজান) এর ভাতিজা ডান্সার শাহালম।আকবর (এতিম আকবর) এর ভাতিজা বডি সোহেল। মিজানকে কুত্তা মিজান এবং আকবরকে এতিম আকবর বললেই ক্ষেপে যায়। নাটকের প্রথমে দেখা যায় ডান্সার শাহালম তার নাচের স্কুলে মহল্লার ছেলেদের নাচ শেখায়।ডান্সার শাহালম অবশ্য তোতলা। এমন সময় একজনের বাবা এসে ছেলেটিকে নিয়ে যায়। ডান্সার শাহালম প্রতিবাদ জানায়। তার মতে সিগারেট খাওয়া কিংবা ফোনে গেমস খেলার থেকে তার নাচের স্কুলে নাচ শেখা অনেক ভালো। কিন্তু অভিভাবক তার কথা না শুনে নিজের সন্তানকে পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারের বিষয় চিন্তা করে জোর করে নিয়ে যায়। এরপর এন্ট্রি ঘটে বডি সোহেলের জিমনেসিয়ামে জিম করা অবস্থায়। পরিচিত এক ছোট ভাই কে অপমান করার বিষয়টি বডি সোহেলকে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে সে জিম থেকে মারার জন্য বেরিয়ে পড়ে। বডি সোহেলের রাগ অনেক বেশি। সে ঘটনাস্থলে গিয়েই দুজনকে চড় মেরে দেয়। পরবর্তীতে তাকে বডি সোহেল বলা না হলে আবার চড় মারে। একপর্যায়ে প্রশাসনের একজন লোককে না বুঝে গালে চড় মারায় পরবর্তীতে তাকে লাঠির কোপ খেতে হয়। আকবর এবং মিজানের বয়স অনেক বেশি হওয়া সত্বেও তাদের বিয়ে এখনো হয়নি। যার ফলে তারা পাত্রী দেখা কিংবা বিয়ের জন্য এখনও উদগ্রীব হয়ে রয়েছে।

ফেসবুক একটি মেয়ের আইডি সানজানা সরকার। যা ছিল মূলত পারসা ইভানার। এই একই আইডির সঙ্গে আকবর,মিজান বডি সোহেল, এবং ডান্সার শাহালম প্রত্যেকের কথা চলতে থাকে। প্রত্যেককে অবশ্য সানজানা সরকার ফেসবুক আইডির মেয়েটির প্রেমে পড়ে যায়।সানজানা সরকারকে পটানোর জন্য সবাই নিজেদের কার্যকলাপের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও শেয়ার করে। আকবার অবশ্য মেয়েদের বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন ধরনের হাস্যরসাত্মক মন্তব্য করেন। যা দেখে বডি সোহেল এবং ডান্সার শাহালম ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।তারা বিষয়টির জন্য অনেকবার আকবর কে সাবধান করলেও, সে প্রতিনিয়ত তার কার্যক্রম চালিয়েই যায়।

আকবর মূলত একজন ওয়াইফাই লাইনের ব্যবসায়ী। কর্মচারী ছিল শিমুল। কিন্তু শিমুল একসময় নিজেই আলাদাভাবে ওয়াইফাই এর ব্যবসা শুরু করে। এতে করে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় আকবর। এ বিষয়টি নিয়েও দুজনের মধ্যে বেশ কয়েকবার হাতাহাতি এবং গালাগালি হয়। এদিকে মোটা টুটুলকে হাতি টুটুল বললেই ক্ষেপে যায়। সে একজন কম বয়সী সুন্দরী মেয়েকে বিয়ে করে। এ নিয়ে এলাকার ছেলেপেলেরা তাকে বেশ ট্রল করে। কোন কিছু হলেই বিচার চলে যায় এলাকার মেয়রের কাছে। কিন্তু এলাকার বেশিরভাগ মেয়রকে তেমন একটা দাম দেয়না।

যার ফলে মেয়েলি বিষয় এবং ওয়াইফাই লাইনের সংযোগ এর বিষয়টি নিয়ে একসময় সকলের মধ্যে মারামারি বেধে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মারামারির সঙ্গে জড়িত মহল্লার সবাইকে দুমাস জেলে রাখে। জেল থেকে বের হয়ে অবশ্য সকলের মধ্যে আবার মিল থাকেই। এভাবে মূলত নাটকটির পরিসমাপ্তি ঘটে।

নাটকটি থেকে শিক্ষা

কমেডি ধরনের নাটক হলেও কিছুটা শিক্ষানীয় বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বর্ধমান যুগের ছেলেপেলেদের মোবাইল ফোন এবং সিগারেটের থেকে আসক্তি কমিয়ে জিম করা কিংবা নাচ শেখার বিষয় ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে যুবক ছেলেদের মাঝে মেয়েলি বিষয় নিয়ে মারামারি হরহামেশাই দেখা যায়। মেয়েলি বিষয়গুলো নিয়ে মারামারি করে আমাদের কোন লাভ হয় না,বরং বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিই হয়। নাটকটিতে এই বিষয় থেকেও বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।

ব্যক্তিগত মতামত

ব্যক্তিগতভাবে আমি কমেডি এবং রোমান্টিক ধরনের নাটক বেশি পছন্দ করি। নাটকটি কমেডি ধরনের হয় আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তবে নাটকটিতে বিনোদন দেয়ার জন্য বেশ কিছু অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এদিকটা অবশ্য আমার কাছে কিছুটা খারাপ লেগেছে।

রেটিং

নাটকটির ইউটিউব লিংক: