বন্ধুর সঙ্গে চা আড্ডা
![]() | ![]() |
---|
আমি আমার জীবনের বেশিরভাগ সময় বগুড়ায় কাটালেও আমার গ্রামের বাসা গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায়। আর এখন ঢাকায় অবস্থান করলেও করোনা ভাইরাসের মহামারীর লকডাউন এর জন্য অবস্থান করছি। ছোটবেলায় পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত এখানে পড়াশোনা করায় এখনকার কিছু বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে এখনো ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা করে আড্ডা দেয়া হয়। বেশ কয়েকদিন আগে তোমার এখানকার একজন বন্ধু রিয়াদের সঙ্গে দেখা করে আড্ডা দিলাম। গোবিন্দগঞ্জের চা এর জন্য একটি ভালো রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রেস্টুরেন্টের নাম টং এর চা। আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করব।
![]() | ![]() |
---|
মূলত আমি কিছুদিন আগে আমার নানির বাড়ি যাই। নানি বাড়িতে নানীর মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানে আমার বন্ধু রিয়াদকেও আসতে বলি।মৃত্যুবার্ষিকী অনুষ্ঠানের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ওর বাইকে করে বেশ কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ায়। এরপর দুজন মিলে আড্ডা দেয়ার জন্য কোথাও একটা যাওয়ার পরিকল্পনা করি। যেখানে নিরিবিলি সময় কাটানো এবং গল্পগুজব করা যাবে। নানি বাড়ি থেকে খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় ভারী খাবার না খেয়ে বরং হালকা খাবার খাওয়ার জন্য সুন্দর একটি জায়গায় বসতে চাই। গোবিন্দগঞ্জের টং এর চা এ জন্য পারফেক্ট। কারণ শুভ ভাই এবং ইমুর ব্লগে আমি চা এর রেস্টুরেন্টের রিভিউ পূর্বে দেখেছি। টঙের চা রেস্টুরেন্টের কথা মনে পরতেই বাইক নিয়ে দুজন মিলে সেখানে চলে গেলাম। মূলত তখন সময় ছিল বিকেলবেলা। আর বিকেল বেলায় মূলত সেখানে লোকজনের ভিড় বেশি থাকে। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর রেস্টুরেন্টে আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। চায়ের জন্য যে এত সুন্দর ডেকোরেশন করে রেস্টুরেন্ট থাকতে পারে তা আমার আইডিয়াতে ছিল না। চলো দুজন মিলে রেস্টুরেন্টে গিয়ে চায়ের জন্য অর্ডার করলাম। অর্ডার করার পর চা আসার আগে পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের বেশ কয়েকটি ছবি উঠিয়ে নিলাম। এরপর আমরাও নিজেদের সেলফি উঠালাম।চা আসার পর চা খেতে খেতে গল্পগুজব করলাম এবং আড্ডা দিলাম।
দুই বন্ধু মিলে চা খেতে খেতে খুব সুন্দর একটি সময় কাটালাম। টং এর চা রেস্টুরেন্টে মূলত একটি লেকের উপর। চা খেতে খেতে লেকের চারপাশের মনমুগ্ধকর দৃশ্য বেশ উপভোগ করলাম। আজ আপাতত এই পর্যন্তই। আবারো পরবর্তীতে নতুন কোনো কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। এ পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
আপনার লেখার হাত বেশ ভালো। অনেক সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করছেন আপনার বক্তব্য। চা এর ছবি দেখে মনে হচ্ছে সত্যিই এটি প্রথম শ্রেণীর চা। ওইদিকে কখনো গেলে অবশ্যই এটা টেস্ট করে আসবো। শুভকামনা আপনার জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো।
ভাই আপনি আপনার বন্ধুর সঙ্গে চায়ের আড্ডা দিতে গিয়ে অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।চায়ের কাপ এবং রেস্টুরেন্ট এর ডিজাইন দেখে বোঝা যাচ্ছে যে,এটি খুবই বিলাসবহুল রেস্টুরেন্ট।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।