ক্যাম্পাস লাইফের স্মৃতিচারণ -পর্ব ৩(শেষ পর্ব)
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ২০ আগস্ট ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 2019 সাল পর্যন্ত ৪৮টি ব্যাচ প্রবেশ করেছে। আর আমরা 2020 সালে প্রবেশ করায় ৪৯ তম ব্যাচ।এজন্য বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে ৪৯ তম আবর্তন বলে ডাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ট্রেন্ড হল বড় ভাইরা জুনিয়রদের উপর ফাপর নেবে। ভার্সিটিতে আমরা জুনিয়র হওয়ায় আমাদের উপর বড় ভাইয়েরা ফাপর নিল।প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী এটাকে রেগিং সিস্টেম বলে।রেগিং দেওয়ার জন্য তো একটি মাধ্যম দরকার। আর এই মাধ্যম হলো পরিচয় পর্ব
।অর্থাৎ পরিচয়পর্ব ভুল হলেই শুরু হয়ে যায় রেগিং।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় ঠিক এমনভাবে ভাবে দিতে হয়-
আসসালামু আলাইকুম
মোঃআল মাহমুদ দিপু
রসায়ন বিভাগ
৪৯তম আবর্তন
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল।
জেলাঃ গাইবান্ধা।
আমার পরিচয় দেয়ার মাধ্যমে পরিচয় পর্ব টা তুলে ধরলাম।এইটুকু পরিচয়পর্ব দিতে গিয়ে যে কতবার ভুল করেছে তার কোন ইয়ত্তা নেই।শুধু যে আমি ভুল করেছি তা না আমাদের ব্যাচের সবাই ভুল করেছিল।প্রধানত বড় ভাইদের ভাইদের ভয়ে ভুল করেছিল সবাই। মার্চ মাসের 10 তারিখ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছিল।প্রথম অরিয়েন্টেশন ক্লাস টা শুরু হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকার বক্তব্যের মাধ্যমে।এরপর বিভাগীয় প্রধান স্যারের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ক্লাসগুলো পরিদর্শন। এরপর সব বন্ধুরা মিলে পরিচয় হওয়া এবং ঘুরতে যাওয়া।ক্যাম্পাস জীবনের মোট ৭ দিনে সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস ঘুরে বেরিয়েছি।ক্যাম্পাসের সুইজারল্যান্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন মুরগি চত্বর শহীদ মিনার সহ আরো অনেক জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছি।
আমার হলের বন্ধুদের সঙ্গে রাতের আড্ডা তো আছেই।এভাবেই দেখতে দেখতে ক্যাম্পাসের সাতটা দিন কেটে গেছে।এরপর করোনা মহামারীর কারণে ১৮ তারিখে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে আসতে হয়েছে। কেন শেষ হয়েও হইল না শেষ।এখনো অনেক মিস করি ক্যাম্পাস জীবনের এই সাতটা দিন।
প্রথম ও দ্বিতীয় পর্ব গুলো পড়েছি এবং শেষ পর্বটাও পড়লাম। ভালো লাগলো যাইহোক শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।
ক্যাম্পাস লাইফ, হোস্টেললাইফ আর মেসলাইফের মতো মজার জীবন আর একটাও হয় না।
সাবলিল ও রুচিশীল কথা। খুব সুন্দর লাগেছে কথা গুলো