মামার বাড়ি রসের হাড়ি -১
বলা হয়ে থাকে মামার বাড়ি রসের হাড়ি।আজকে আমার লেখা টা মুলত নানীর বাড়ি নিয়ে। অনেক দিন হল নানীর বাড়ি যাইনা।তাই গতকাল রাতে ভাবলাম নানীর বাড়ি থেকে ঘুরে আসি।মাথায় প্লান আসে আসার সাথেই বাসায় জানালাম বিষয়টি।বাবা মা ও সম্মতি দিল বিষয়টিতে। নানী বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশে রাতে ফোনে আ্যলার্ম দিয়ে দ্রুত ঘুমাতে গেলাম।সকাল এ ৮ টাই আ্যলার্ম এর শব্দ কানে আসতেই ঘুম ভেঙে গেল। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে গোসল দিলাম।এরপর খাওয়া দাওয়া করে বাবা মার কাছ থেকে বিদায় নিলাম।বিদায় নিয়ে নানী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম। অনেকদিন পর নানী বাড়ি যাওয়ার ফিল আসতেই মন থেকে এক প্রকার ভালো লাগা কাজ করছিল। আমার নানী বাড়ি কোথায় সেটাই তো বলা হয়নি।আমার নানি বাড়ি মূলত গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার শিবপুর ইউনিয়ন এ।
আর আমাদের বাসা বগুড়াতে।বাসা থেকে বের হয়েই রিকশা নিয়ে বগুড়া চারমাথা বাস স্ট্যান্ড এ রওনা হলাম।বাবা আমাকে রিকশাতে উঠে দিল। তারপর বাবা বাসায় ফিরে গেল আর আমি রিকশাতে চড়ে বাসস্ট্যান্ড এ গেলাম।রিকশা করে যাওয়ার সময় নানিবাড়ির নানা স্মৃতি চোখের সামনে ভাসতে লাগল।কতই না স্মৃতি জমে আছে এই নানুবাড়িকে ঘিরে।ছোটোবেলায় প্রায়ই যাওয়া হতো।ওই সময় নানিবাড়ি গিয়ে মামাতো ভাই-বোনদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতাম,আবার একসাথে সবাই মিলে দৌড়াদৌড়ি, কানামাছি, ছিবুড়ি,গুটিখেলাডহ যে আরও কত প্রকার খেলা খেলতাম তার কোনো ইয়ত্তা নেই।
এসব স্মৃতি মাথায় ভাসতে ভাসতে কখন যে বাসস্টপেজ এ চলে আসলাম তা বুঝতে পারলাম না।এরপর রিকশা থেকে নেমে ভাড়া দিয়ে বাস এ উঠলাম।বগুড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জ অর্থাৎ আমার নানীবাড়ি উত্তর দিকে।বাস এ উঠে বসলাম।বাস স্টপেজ থেকে ১০ টায় ছাড়ল। বাস বগুড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জ আসতে ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট লাগল।আসার সময় পথিমধ্যে মাটিডালী, মহাস্থানগড়, মোকামতোলা,ফাসিতলায় বাস থামাল।এরপর গোবিন্দগঞ্জ বাস থামতেই নেমে পরলাম। এরপর কিভাবে নানী বাড়ি গেলাম ও ওখানে গিয়ে কি কি ঘটল তা না হয় আর একদিন শেয়ার করব। আজ আর না।
ধন্যবাদ আপনার মামার বাড়ির বিষয়গুলো নিয়ে লেখার জন্য।
আপনাকে ও অসংখ্য ধন্যবাদ।