রেস্টুরেন্ট রিভিউ ||10% beneficiary for shy-fox||
আমর সমগ্র পোস্টের বিষয়বস্তু
বগুড়া শহরে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট এর অভাব নেই। শুধু বগুড়া শহর বললে ভুল হবে। সারাদেশে এখন একই অবস্থা। করোনা ভাইরাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে রেস্টুরেন্টের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। বগুড়াতেও প্রায় প্রতিটি স্থানে গড়ে উঠছে ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট। বগুড়ায় বিশেষ করে জলেশ্বরীতলা রেস্টুরেন্টের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
রেস্টুরেন্টের নাম
এখানে প্রতিনিয়ত রেস্টুরেন্টের মালিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে- কে কার থেকে নিজেকে বেশি আপডেট করতে পারে।এই লক্ষ্যে তৈরি হয় নতুন নতুন রেস্টুরেন্ট অথবা পুরাতন রেষ্টুরেন্টগুলো নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রেখে দেয়। আমার এক বন্ধুর বড় ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষ করে এখন বসে আছে। বাবার বেশ ভালো পরিমাণ টাকা থাকায় তিনি প্লান করেছেন রেস্টুরেন্ট দিবেন। নতুন কোন রেস্টুরেন্ট ভাড়া নেননি।বরং একটি বন্ধ থাকা পুরাতন ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট রিলিজে নিয়েছেন। ওই রেস্টুরেন্টের পূর্বের মালিক নিজেদের আপডেট না করায় রেস্টুরেন্টটি আর চলে না। রেস্টুরেন্টে তিন বছরের জন্য নিতে কত টাকা লেগেছে এসব কমার্শিয়াল বিষয়ে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেন নি। আমাদেরকে শুধু রেস্টুরেন্টের উদ্বোধনী দিনে খাওয়ার জন্য ডেকেছেন। পরবর্তীতে উদ্বোধনী দিনে অতিথির পরিমাণ বেশি থাকায় তিনি ঐদিন না এসে পরবর্তী দিনে আসার কথা বলেছিলেন।
পরবর্তী দিনে আমি এবং আমার এক বন্ধু মিলে চলে গেলাম রেস্টুরেন্টটিতে। দ্বিতীয়দিন যাওয়াই উদ্বোধনী দিনের কিছুটা আমেজ ছিলই। পূর্বে ওই রেস্টুরেন্টের নাম কি ছিল তা আমার সঠিক জানা নেই। তবে বড় ভাই নতুন নাম হিসেবে "সানরাইজ রেস্টুরেন্ট" নামে উদ্বোধন করেছেন। এদিন অবশ্য ব্যস্ততার কারণে বন্ধুর বড় ভাই রেস্টুরেন্টে ছিলেন না। তা না হলে ওনার সঙ্গে একটি ছবি উঠিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করতাম। রেস্টুরেন্টের প্রবেশপথেই রেস্টুরেন্টের নাম কাচের দেয়ালে লাগিয়ে দেয়া ছিল। ভেতরের পরিবেশ মোটামুটি সাজানো-গোছানো ছিল। সাধারণত প্রতিটি ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট চাকচিক্যময় হয়। রেস্টুরেন্টে তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেইসঙ্গে উদ্বোধনী দিনের বেলুনগুলো লাগানো ছিলই। বড় ভাই আমাদের থেকে আগেই পছন্দের খাবার মেনু শুনে নিয়েছিল। এজন্য রেস্টুরেন্টে গিয়ে ওয়েটারকে নতুন করে খাবারের মেনু পছন্দ করে দিতে হয়নি। যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই খাবার পরিবেশন করা হয়েছিল। পছন্দের খাবার তালিকায় গ্রিল এবং নান রুটি সিলেক্ট করে দিয়েছিলাম। খাবারগুলো খেয়ে আমরা তিনজন মিলে চলে আসলাম। সবমিলে আজকের সন্ধ্যা মোটামুটি ভালই কেটে গেল।
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Location | Link |
Device | Vivo Y19 |
আসলে কি প্রতিযোগিতা ছাড়া কিছুই সুন্দর হয় না। যেমন দেখেন বিকাশ অনেক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। যখন নগদ সুবিধা দিতে শুরু করলো তখন বিকাশ একটা সিস্টেম চালু করতে বাধ্য হয়েছে যে একটি এজেন্ট থেকে হাজার ১৫ টাকা নিবে । প্রতিযোগিতা থাকায় রেস্টুরেন্ট টা অনেক সুন্দর আর গুছালো।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
🙏🙏🙏
রেস্টুরেন্টটির অনেক সুন্দর রিভিউ দিয়েছেন। এর ডেকোরেশনও অনেক সুন্দর ছিল। সেই সাথে খাবারের পরিবেশন বেশ ভালো ছিল। আপনার বন্ধুর বড় ভাইয়ের জন্য শুভকামনা রইল। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
প্রতিটা গ্রাম অঞ্চলের রেস্টুরেন্ট তৈরি হচ্ছে আসলেই করোনার কারণে মানুষ কি করবে। তাই মানুষ আনন্দ উপভোগের জন্য রেস্টুরেন্টে গিয়ে সময় কাটায়। আপনাদের রেস্টুরেন্টে পরিবেশটা ভিতর ভালোই ছিল এবং আসলেই সুন্দরভাবে পরিবেশন করছে। বন্ধু মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত উদযাপন করেছেন। খাবারগুলো ছবি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।