মাস দেড়েক আগের কথা আমি তখন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলাম। ক্যাম্পাসে থাকা কালিন সময়ে বেশ মন খারাপ হচ্ছিল। এইজন্য ভাবলাম কোথাও থেকে ঘুরে আসা যাক। আমি অবশ্য আমার পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।পুরনো বন্ধু গুলোর মধ্যে অনেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে। এজন্য ভাবলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরে আসা যাক। আমাদের ক্যাম্পাস শুক্রবার এবং শনিবার বন্ধ থাকে এজন্য কোথাও ঘুরতে গেলে বৃহস্পতিবারে বেশি যাওয়া হয়। মন খারাপের দিনে কোন এক বৃহস্পতিবার এ আমাদের ক্যাম্পাসের বাসে করে চলে গেলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

কোন বন্ধুর কাছে যাচ্ছে সে বিষয়ে কিছুই বলা হলো না। আমার বন্ধু শাফিউল। কলেজের দু'বছর আমরা একসঙ্গে পড়াশোনা করেছি। তবে ওর বাসা আমাদের বাসা থেকে খুব একটা দূরে নয়। মাত্রায় এ বাসা। প্রতিবেশী মানুষ হিসেবে কলেজে ওর সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব জমে ওঠে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল থাকে ও। বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পর ওকে ফোন দিয়ে ওর হলের নিচে আসতে বলি। পরে ওর সঙ্গে সারাটা বিকাল কাটিয়ে বেশ ভালই আড্ডা দেই। আড্ডা দেয়ার পর ওরে বললাম চলো আজকে বাইরে কোথাও খেতে যাই। আমি ফাস্টফুড খাওয়ার প্রস্তাব জানালে সে বলে আমি দেশি খাবার পছন্দ করি। পরে ওকে বললাম দেশি খাবার এর কোন একটা ভালো দোকান থেকেই খেয়ে আসা যাক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশে কোথায় ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় আমি অবশ্য তেমন একটা জানি না।

_{Device :vivo}

_{What's 3 Word Location}

---

_{What's 3 Word Location}

---

ওকে প্রস্তাব দিতেই ও বলল চল মামা হোটেলে খেয়ে আসি। মামা হোটেল নামটা শুনে অবাক হয়েছিলাম। ওর ভাষ্যমতে-সাধ্যের মধ্যে অনেক ভালো মানের খাবার পাওয়া যায় এখানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েরাও প্রায় সময় এখানে খেতে আসে।বিকেলবেলায় হোটেল খোলার পর শুধুমাত্র রাতের খাবারের বিক্রি হয় হোটেলটিতে। হোটেল সম্পর্কে এত কিছু জানার পরই আমি ঠিক করেছিলাম এই হোটেলে খাওয়া দাওয়া করার সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। নীলক্ষেতে এই হোটেলটি অবস্থিত। হোটেলে গিয়ে প্রথমে বেশ কয়েকটি ছবি উঠিয়ে নিলাম। এরপর বন্ধুকে বললাম খাবার অর্ডার করতে। আমাদের অর্ডার করা খাবারে ভাতের সঙ্গে খাবারের আইটেম এ ছিল পেঁয়াজ ভুনা, সবজি, ডালভর্তা এবং খাসির মাথা দিয়ে বুটের ডালের ঘন্ট। এই হোটেলের খাবারগুলোর মধ্যে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করা পেঁয়াজ ভুনা রেসিপি টা। এটা খাওয়ার জন্যই মূলত ভার্সিটির ছেলেমেয়েরা হলের খাবার বাদ দিয়ে এখানে খেতে আসে। খাবারের আইটেম গুলো আমরা একটি করে অর্ডার করলাম। দুজনাই প্রতিটি আইটেম অল্প অল্প করে নিয়ে খেয়ে দেখলাম। খাবারের স্বাদ অতুলনীয় ছিল। বিশেষ করে ডাল ভর্তা এবং খাসির মাথা দিয়ে বুটের ডালের ঘন্ট এ দুটি খাবার আমার অনেক পছন্দ হয়েছিল।

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে খাবারের বিল পরিশোধ করে দুই বন্ধু মিলে আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সেদিন রাতে অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছিলাম পরের দিন শুক্রবার ভালোভাবে ঘোরাঘুরি করে আবার আমাদের ক্যাম্পাসে চলে আসি।

পোস্টটি কেমন লেগেছে কমেন্ট করে জানান, আশা করি সবার ভালো লেগেছে। ভালো লেগে থাকলে, কমেন্ট এবং আপভোট দিবেন।💗💗🌲