রন্ধনশালা রেস্তোরাঁয় ভ্রমণ

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago (edited)

received_292429535934923.jpeg
মানুষ মরণশীল ।সুতরাং সব মানুষেই তাঁর জীবদ্দশায়
কোন না কোন সময় অবশ্যই মারা যাবেই। আর মানুষের জীবন খুব ক্ষণস্থায়ী। আর ক্ষণস্থায়ী এই ধরনের কোন মায়ায় পড়ে আটকে থাকা যাবেনা। আবার সারাদিন মন খারাপ করে বসে থাকলেও চলবে না। ক্ষণস্থায়ী জীবনকে উপভোগ করতে হবে যতটা সম্ভব করা যায়। মানব জীবনে হতাশা, ক্ষোভ, ব্যর্থতা,মানসিক দুশ্চিন্তা সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা আসবে। কিন্তু এগুলো নিয়ে পড়ে থাকলে চলবে না। এগুলো থেকে পাশ কাটিয়ে উঠতে হবে। তবেই প্রফুল্ল থাকা যাবে।

received_303766264616576.jpeg
মানব জীবনের সকল প্রকার প্রতিকূলতাকে পাশ কাটিয়ে উঠে প্রফুল্ল থাকার জন্য সবচেয়ে উত্তম উপায় হচ্ছে ভ্রমণ করা। ভ্রমণ মানুষের মনকে সতেজ রাখে এবং দেহকে প্রফুল্ল রেখে নতুন করে ভাবতে শেখায়। এজন্যই তো জ্ঞানীরা বলে থাকেন- মন খারাপ তাহলে ভ্রমণ করতে যাও। একটিমাত্র কথা থেকে বুঝা যায় যে কোন মানুষের মন এবং দেহকে প্রশান্তি দান করে কতটা চাঙ্গা করে তোলে।

সুতরাং আপনারা বুঝতেই পারছেন আজকে আমি ভ্রমণ নিয়ে লিখতে যাচ্ছি। আজকে আমি যেখানে ঘুরতে গেছিলাম একটি রেস্তোরাঁ এবং এর নাম রন্ধনশালা। এটি আমার প্রাণের শহর বগুড়া থেকে ১৫ কিলোমিটার উত্তরে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় অবস্থিত। ভ্রমণের জন্য রেস্তোরাঁটি দেশের প্রধান কারন হচ্ছে গ্রামীণ পরিবেশে এবং শৈল্পিক ভাবে তৈরি। বাসা শহরে হওয়ায় গ্রামীন পরিবেশের প্রতি আলাদা একটা আকর্ষণ কাজ করে। এই রেস্তোরাঁর কথা অনেক আগে শুনেছি কিন্তু সময়ের অভাবে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ করে বন্ধুরা সবাই মিলে আবদার করে ভাবলাম ঘুরে আসা যাক। যদিও দেশে এখন লকডাউন চলছে কিন্তু এই রেস্তোরাঁ কঠোর বিধিনিষেধ এবং রেস্ট্রিকশন মেনে খোলা ছিল। আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে ওপর বিধিনিষেধ এবং নিরাপদ দূরত্ব মেনে রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করলাম। ভেতরে প্রবেশ করে দেখলাম লোকজন খুব কম। কম হবে নাই বা কেন এই কঠোর লকডাউনে যে মানুষ বের হয় তা এখানে না আসলে বোঝা যাবে না। বাইরের মানুষ খুব কম ছিল স্থানীয় লোকজন নেই যা একটু টুকটাক ছিল। অনেকদিন পর চার বন্ধু মিলে ভাল আড্ডা দিলাম এবং প্রাণ খুলে একে অপরের সঙ্গে কথা বললাম। তারপর ছবি উঠালাম এবং খাবার অর্ডার করলাম। ওখানে ওরা সবাই মিলে সেট মেনু খেলাম। খাওয়া দাওয়া শেষে সবাই মিলে ভাব বিনিময় করে আবার বগুড়ায় ফিরে আসলাম।

লকডাউন চলায় অনেকদিন হলো ঘর থেকে বের হয়নি। সারাদিন ঘরে থাকা হয়েছে। একঘেয়েমি পরিবেশে সারাদিন শুয়ে বসে থাকায় মনটা অনেক খারাপ ছিল। মন খারাপ থেকে পরিত্রান পেয়ে মানসিকভাবে চাঙ্গা হতে একটা ভ্রমণের খুব প্রয়োজন ছিল। কান থেকে ঘুরে এসে মানসিক দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণপেয়ে এখন কিছুটা ফুরফুরে মেজাজে আছি। যাইহোক আজ আর নয় ।এখন খুব ক্লান্ত। এ পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি।
received_591702188459620.jpeg

received_500057441144688.jpeg

received_373473964104197.jpeg

Sort:  
 3 years ago 

অনেক দিন পর আপনার রেস্তোরাঁ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা শুনে ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

পোস্টটি পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

বন্ধুদের সাথে উপভোগ করুন আপনার সুন্দর মুহূর্ত গুলো, ভালো থাকুক সকল বন্ধুত্ব।

 3 years ago 

পোস্ট পড়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

 3 years ago 

হ্যা, ভাই ভ্রমন একটি জরুরী বিষয় আমাদের জন্য, কারন আমরা নানা কারনে মানসিক চাপের মাঝে থাকি আর ভ্রমন আমাদের সতেজ রাখতে ভূমিকা রাখে। ধন্যবাদ কিছু ভালো মুর্হুত আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।

 3 years ago 

আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 3 years ago 

অনেক সুন্দর হয়েছে

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 64118.79
ETH 3390.14
USDT 1.00
SBD 2.51