গ্রাম্য মেলা পরিদর্শন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ
ব্যক্তিগতভাবে আমি বিভিন্ন নতুন নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি। শুধু যে ঘোরাঘুরি করতে পছন্দ করি তা নয়, বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠান উপভোগ করত আমার বেশ ভালো লাগে। এজন্য আশেপাশের কোথাও এরকম উৎসবমুখর পরিবেশের আয়োজন করা হলে সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি। সেটা এখন আমাদের নিজ এলাকা থেকে দূরেই হোক কিংবা কাছেই হোক। আজকে আমি সেরকমই সুন্দর এবং আনন্দঘন একটি মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আমাদের এলাকা থেকে একটু দূরে দাড়িদহ নামক স্থানে গ্রাম্য মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
বাইক রাইডিং করতে না পারলেও, বাইকে করে ঘুরতে ভালোই উপভোগ করি। এলাকায় থাকা কালিন সময়ে গ্রামের ছোট ভাইদের নিয়েই সাধারণত ঘোরাঘুরি করা হয়। আমি সহ তিনজন মিলে একটি বাইকে করে দাড়িদহ ঘুরতে গেলাম। দাড়িদহ হাইস্কুলের খেলার মাঠে মেলা এবং অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে। ওদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার কারণ হলো মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি ওদের কাছ থেকে শুনতে পাই। আমাদের এলাকা থেকে মেলার ওই স্থানটি দূরত্ব ভালই ছিল। বাইকে করে সেখানে যেতেও প্রায় ৩০ মিনিটের মত সময় লাগলো।ওখানে যাওয়ার পর দেখি লোকজনের ভালোই ভিড় জমে গেছে। মেলায় হরেক রকমের খাবার এবং খেলনার দোকান বসেছে। খেলনার দোকান গুলো থেকে খেলনা কেনার জন্য ছোট ছেলেমেয়েরা ভালোই ভিড় জমিয়েছে। সেগুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তবে সবচেয়ে অবাক হলাম এই শীতের মধ্যেও আইসক্রিমের দোকান গুলো দেখে। শীতের মধ্যেও কেন জানি সবাই আইসক্রিম খাচ্ছে। তাতেই বুঝলাম আইসক্রিম সবার কত পছন্দের খাবার।
ওখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল। আমরা তিনজন মিলে বেশ খানিকটা সময় অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মঞ্চের আশপাশে উঠতি বয়সী ছেলেরা ভালোই ভিড় জমিয়েছিল। তারা মঞ্চে গানের তালে তালে নিজেরা হাততালি দিচ্ছিল এবং নাচানাচি করছিল। বেশ খানিকটা সময় অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। আমাদের গ্রাম থেকে দাড়িদহ ভালোই দূরে হওয়ায় বেশিক্ষণ দেরী না করে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। সবমিলে দিনটি বেশ ভালই কেটে গেল। আজ আপাতত এতোটুকুই। পরবর্তী সময়ে আবার নতুন কোন কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
Join the Discord Server for more Details
শীতকালে বিশেষ করে ডিসেম্বর ও জানুয়ারী মাসে গ্রাম্য মেলাগুলো খুব বেশি হয়ে থাকে কারণ এই সময়টাতে স্কুল-কলেজে ছুটি থাকে এবং অনেকেই একটু ফ্রি সময় কাটানোর জন্য এই ধরনের আয়োজন কে অনেক বেশি উপভোগ করে থাকেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উঠতি ছেলেদের আগ্রহের ব্যাপারটা অনেক সাধারণ একটি ব্যাপার এবং আপনার দিনটি অনেক আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে যা শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল লাগল
আমার সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে এত সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম্য মেলায় একটু বেশী আনন্দ থাকে কারণ এখানে অনেক মানুষ জমায়েত হয়, শহর অঞ্চলে মানুষ সব সময়ই থাকে সে ক্ষেত্রে গ্রাম্য মেলা আমার কাছে ভালো লাগে।ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের মেলা গুলোতে সত্যিই অনেক মজার হয়। ছোট ছেলেমেয়েরা মেলায় গিয়ে ভালোই উপভোগ করে। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম্য মেলার পরিবেশ দেখলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। এ মেলায় ঘুরতে ও ভীষণ ভালো লাগে। ছবিতে দেখলাম আপনি গ্রাম্য মেলার পরিবেশটাকে খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। দেখতে পেলাম অনেকগুলো পপকন একসাথে ভাজা হচ্ছে। দেখে অনেক বেশি ভালো লাগলো। শীতকালে মেলার প্রচলন বেশি হয়। আর মেলায় ঘুরতে ও ভীষণ ভালো লাগে।
শীতকালে গ্রাম্য মেলায় ঘুরতে বেশ ভালো লাগে। এছাড়াও বইমেলা গুলোরও আয়োজন করা হয়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
গ্রাম্য মেলার গুলোতে ঘুরতে আসলেই খুবই ভালো লাগে। কারণ এই সময়টায় গ্রাম অঞ্চলে অনেক জায়গায় মেলা হয়ে থাকে। ঘুরাঘুরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। খুবই আনন্দ করার একটা জায়গা মেলা। শীতকালে রাত্রিবেলা মেলা দেখতে খুবই মজা হয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্যও শুভকামনা রইল।
ঠিক আপনার মত আমিও ভাইয়া ঘোরাঘুরি অনেক পছন্দ করি। বলতে গেলে ঘুরতে আমার অনেক ভালো লাগে। মেলায় ঘোরা কত আনন্দের সেটা যে ঘরে সেই বুঝে। বিশেষ করে গ্রামের মেলা গুলোতে অনেক মজা হয়। মেলায় বেড়াতে গেলে সেখানকার জিলাপি আমার অনেক ফেভারিট। আমি গেলেই সব সময় খাই। ধন্যবাদ ভাইয়া
জি ভাই, আপনি সত্যিই বলেছেন।গ্রামের মেলাগুলোতে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে। আমার মত ভ্রমণপিপাসু একজন মানুষ পেলাম। আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
গ্রাম্য মেলা উপভোগ করা এবং কি গ্রাম্য মেলার মধ্যে ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান উপভোগ করা এটা আসলে খুবই আনন্দের বিষয়। আপনার গ্রাম্য মেলার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অতীতের কথা মনে পড়ে গেল। গ্রামের যদি কোথাও মেলা বসতো তখন যেতে না দিলেও চুরি করে হলেও যেতাম। তখন আলাদা একটা আকরষন ছিলো মেলায়, বাদ্যযন্ত্র, সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এবং কি খাওয়া-দাওয়া ধুম পড়ে যেত। আর বাঁশি বাজাতে বাজাতে পোলাপান ছোটাছুটি করতো বাসির শব্দে মুখরিত থাকতো পুরা মেলা প্রাঙ্গণ। আর বিশেষ করে মেলাগুলো শীতের সময় বেশী বেশী হতো। জাই হোক আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের সাথে আপনার মেলার উপভোগ করা আনন্দঘন মুহুর্তটি শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
এত সুন্দর এবং গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি নিজেও ঘুরাঘুরি করতে অনেক পছন্দ করি। মাঝে মাঝেই আমার বন্ধুর সাথে আমি এদিক সেদিক ঘুরতে যায়। গ্রাম্য মেলা গুলো অনেক প্রাচীন পদ্ধতিতে স্থাপিত হয়। সেজন্য অনেক আগে থেকেই এর একটা আকর্ষণ মানুষের মধ্যে তৈরি হয়ে আছে। মেলার ছবিগুলো দারুণ ছিল ভাই। এবং খুবই ভালো উপভোগ করেছেন মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আমি ভালই উপভোগ করেছি।ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই গ্রাম্য মেলায় অনেক মজা হয় বিশেষ করে এই মেলাগুলোতে বিভিন্ন রকমের ফাস্টফুডের দোকান বসে যেগুলো খেতে খুবই মজাদার লাগে ।আপনি গ্রাম্য মেলায় অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ফার্স্ট ফুডের না ভাই স্ট্রীট ফুডের দোকান বসে বেশি আমাদের এই দিকে।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রাম্য মেলা পরিদর্শন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আপনি অনেক ভাল একটি সময় কাটিয়েছেন। বিশেষত এই দিনগুলোতে অনেক মজা হয়ে থাকে। এই দিনগুলোতে বন্ধুবান্ধব থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন সবার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আড্ডা দেয়ার একটা সুযোগ তৈরি হয়। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। আপনার আগামীর জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য।