দেশের করোনাভাইরাস ও বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতি
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। লোকজনও তেমন একটা বিধিনিষেধ মেনে চলছে না। যে যার মত দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয় লোকজনকে আর কাবু করতে পারছে না। এজন্যই হয়তো কঠোর লকডাউন দেয়া সত্ত্বেও বাইরে ঘোরাফেরা বেড়ে গেছে।
লোকজনের ঘর থেকে বহির্মুখী হওয়ার আরেকটি প্রধান কারণ থাকতে পারে তাহলো জীবিকার তাগিদ। দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও গার্মেন্টসসহ যাবতীয় সকল কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। ফলে জীবিকার তাগিদে সকল পেশার মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছে,মানছে না কোন বাধা কিংবা উপেক্ষা। দেশের বেশির ভাগ মানুষের কর্মস্থল এর কেন্দ্র হল ঢাকা। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে বিভিন্ন পথ ধরে ছুটে চলছে ঢাকার দিকে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ,ফেরি, ট্রাক থেকে শুরু করে সকল যানবাহনে লোকজনের উপচে পড়া ভিড় লেগেই আছে। পুলিশ সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক সকল লোকজন চেষ্টা করেও লোকজনের ভিড় কমাতে পারছে না। যার প্রভাব পড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হারের সংখ্যায়। প্রতিদিন ব্যাপকহারে বেড়ে যাচ্ছে মৃত্যুহারও। দেশে বর্তমানে দৈনিক মৃত্যুর হার ২00 ছাড়িয়ে যাচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই হচ্ছে না। দেশের হাসপাতালগুলোর করোনা ওয়ার্ডগুলোতে লোকজনের বেশ ভিড় জমে যাচ্ছে।
বর্তমানে দেশে করোনাভাইরাস দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। প্রতিনিয়ত এ ভাইরাসের ভেরিয়েন্ট পরিবর্তিত হচ্ছে। এক এক সময় এক এক রূপ ধারণ করছে। ফলে ভাইরাসের টিকা নিয়েও লোকজনের শঙ্কা কাটছে না। সুতরাং ভাইরাস থেকে বাঁচতে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। সকল বিধিনিষেধ মেনে চলা উচিত।
মানুষের অসচেতনতাই করোনা ভাইরাস মারাত্মক আকার ধারন করছে।সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি আপনার মন্তব্যের জন্য।