অনেকদিন পর নানু বাড়িতে ঘুরতে যাওয়া ||10% beneficiary for shy-fox||
সর্বশেষ ঈদ এর মধ্যে নানীর বাড়ি গিয়েছিলাম।এরপর আর নানী বাড়ি যাওয়া হয়নি। এখন আর আগের মতো তেমন একটা যাওয়া হয় না। ছোটবেলায় ১-২ মাস পর পর যাওয়া হতো।এখন না যাওয়ার কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হলো আমার নানা এবং নানি দুজনই পরলোকগমন করেছেন।আমার নানা মারা গিয়েছেন যখন আমি চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ি।নানাভাই আমাকে খুবই ভালোবাসতেন।আর নানি মারা গেছেন আমার উচ্চ মাধ্যমিকের শেষ দিকে থাকাকালীন সময়ে।
আমার নানী মারা যাওয়ার পর থেকে নানীর বাড়ি যাওয়া কমে গেছে।আগে প্রায় প্রায়ই নানি ফোন দিয়ে আমাকে তাদের বাড়িতে যেতে বলতেন। আর নানীর কথাও আমরা ফেলতে পারিনি।কারণ নানি আমার ভীষন পছন্দের একজন মানুষ ছিলেন।প্রিয় এই মানুষকে হারানোর পর ওই বাড়িতে গেলে খারাপই লাগতো।ওই জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের পর থেকে সেখানে যাওয়ার আগ্রহ হয়নি।তবে ঈদ কিংবা বড় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলে আম্মু আমাদেরকে নিয়ে নানু বাড়িতে ঘুরতে যেতো।গতকাল আমার নানু বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার এমন একটা উপলক্ষ রয়েছে।আমার নানীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবেন শুক্রবার বাদ জুম্মা অর্থাৎ আজকে।
আমি,আমার ছোট ভাই আর আম্মু তিনজন মিলেই নানীর বাড়ি যাচ্ছি।দুপুরের দিকে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও ব্যস্ততার কারণে নানি বাড়ি যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেলো।আমার নানি বাড়ি আমাদের একই থানাতে।থানা একই হলেও আমাদের বাড়ি এবং নানি বাড়ি গোবিন্দগঞ্জের দু'প্রান্তে।আমাদের বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ থেকে পশ্চিম দিকে ১০ কিলোমিটার দূরে আর নানি বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ৮ কিলোমিটার পূর্বে।মোটকথা আমাদের বাড়ি থেকে আমার নানীর বাড়ির দূরত্ব ১৮ কিলোমিটারের মতো।ইউনিয়ন এর নাম শিবপুর।গতবছর কুরবানীর ঈদের পর আজকে গেলাম।অনেকদিন পর নানীর বাড়িতে যেতে বেশ ভালই লাগছিল।আমার মামাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন চাকুরী কিংবা ব্যাবসার সুবাদে সবাই গ্রাম থেকে শহরে বসবাস করছেন।নানু বাড়িতে কেউ থাকে না বললেই চলে।এমনকি অনেক মামারা ঈদ এর মধ্যেও তেমন একটা নানি বাড়ি আসেন না।যার ফলে অনেক মামাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে দেখা হয় না।সেই হিসেবে এবারের যাওয়ার সময় মনের মধ্যে খুশি খুশি ভাব কাজ করছিল।
আমাদের বাড়ি থেকে নানীর বাড়ি যেতে প্রায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় লাগলেই এবারে যেতে সময় একটু বেশিই লাগলো।কারণ গোবিন্দগঞ্জ গিয়ে আম্মু আমার ছোট ভাইয়ের জন্য কিছু কেনাকাটা করলো।১ ঘন্টা পর সেখানে পৌঁছে বেশ ভালই লাগলো।বাড়ি ভর্তি লোকজন।মনে হয় যেন বাড়িতে উৎসব লেগেছে।নানি বাড়িতে গিয়ে কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো নিয়ে পরবর্তীতে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। এ পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের আপনজনদের খেয়াল রাখবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
দুআ করি ভাইয়া আল্লাহ তায়ালা যেনও আপনার নানীকে জান্নাতুল ফেরদৌসে দান করে
আমিন।ভাইয়া আমি আমার আজ থেকে ১৫ বছর ধরে নানু বাড়িতে যাওয়া হয় না। তবে অনেক দূর সেই জন্য যেতে আরও ভালো লাগে না।তবে ভাইয়া ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
তাই বলে আপু ১৫ বছর ধরে নানু বাড়ি ঘুরতে যান না।শুনে খুবই খারাপ লাগলো।আপনার নানা নানি কি বেচেঁ আছেন??
নানুর বাড়ি খুব একটি মজার জায়গা । কিন্তু এই মজার জায়গায় খুব বেশি একটা যাওয়া হয়ে ওঠে না কারণ আমার নানা নানী দুজনেই পরলোকগমন করেছেন। আপনার নানুর বাড়ি যাওয়ার দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে গেছি মনে হচ্ছে ইস আমিও যদি যেতে পারতাম খুব ভালো লাগতো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে
ঘুরতে যাবেন ভাই।নানা নানী মারা গেছে ঠিক আছে।মামারা তো ঠিকই বেচেঁ আছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
নানার বাড়িতে গিয়ে তো মনে হয় অনেক ঘোরাঘুরি করলেন। আমার নিজেরও নানুর বাড়িতে তেমন একটা যাওয়া হয় না। নানা নানু থাকার সময় প্রচুর গিয়েছিলাম। এখন মাঝেমধ্যে যাওয়া হয় মামার বাড়িতে। নানা নানু থাকার সময় যতটা মজা করতে পারতাম এখন আর সেটা হয় না। কিছুদিনের জন্য চাওয়া হলেও ঘোরাঘুরি করে আবার ফিরে আসি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আপু আপনার মত আমারও একই অবস্থা।আগে নানা নানী বেচেঁ থাকতে বেশি যাওয়া হতো।এখন আর যাওয়া হয়না তেমন একটা।তবে গেল ভালই ঘুরাঘুরি করি।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আপনার নানি বাড়িতে যাওয়ার সময় অনেক সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন।তবে আপনার নানা এবং নানি দুজনেই মারা গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগলো।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনারা সুন্দর মতামতের জন্য।