এখন রমজান মাস চলছে। দেখতে দেখতে বেশ কয়েকটি রোজা চলে গেল। রোজার দিন গুলো মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুসলিমদের জন্য না খেয়ে থাকার পরীক্ষা। এবারের রমজানে একদিন ও বাহিরে ইফতার করা হয়নি। এজন্য ভাবলাম একদিন বাহিরে ইফতার করায় যায়। যেই ভাবনা, সেই কাজ। বন্ধুকে নিয়ে ইফতার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঠিক করলাম। বাসার বাহিরে ইফতার করার সুন্দর এই মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

---

ইফতার করার উদ্দেশ্যে বিকাল চারটায় আমরা বেরিয়ে পরলাম। রোজার মধ্যে একদিনও বাইরে বের হওয়া হয়নি। এজন্য একটু আগেভাগেই বের হলাম। সাতমাথায় বেশকিছু টুকটাক জিনিস কেনাকাটা করে নিলাম। কেনাকাটা করার পর আমরা রানার প্লাজা দিয়ে ইফতার করার জন্য চলে গেলাম। রানা প্লাজার সবচেয়ে উপরের তলায় অনেকগুলো ফুডকোর্ট রয়েছে। সেগুলো প্রধানত ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট হলেও; রোজার মধ্যে ইফতারের বিভিন্ন মেনুর আয়োজন থাকে। অনলাইনে কোন রেস্টুরেন্টে কোন খাবার পাওয়া যায় সেটা আগে দেখে নিয়েছিলাম। যার ফলে আমাদের খাবারের মেনু গুলো নিয়ে ইফতারের সময় ভাবতে হয়নি। কিন্তু রেস্টুরেন্টের ভেতরে গিয়ে বাধা-বিপত্তি। ইফতার উপলক্ষে রেস্টুরেন্টটি লোকজন দিয়ে ভর্তি। বাধ্য হয়ে আমাদের অন্য রেস্টুরেন্টে যেতে হলো।

---

পরে রানা প্লাজা থেকে নেমে রওনা দিলাম জলেশ্বরীতলার উদ্দেশ্যে। সেখানকার একটি রেস্টুরেন্ট এর খাবার সম্পর্কেও অনলাইন থেকে আইডিয়া নিয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টের নাম ছিল কাসাব।পুরো রেস্টুরেন্ট প্রায় ফাঁকাই ছিল। আমরা প্রধানত ইফতারের মেনু দেখে সেখানে গেলেও; ইফতারের মেনু বিশেষ কারণে ছিল না। ততক্ষণে ইফতারি করার জন্য খুব একটা বেশি সময়ও নেই। এ জন্য বাধ্য হয়ে সেখানে যে খাবার গুলো ছিল সেগুলো মধ্য থেকে অর্ডার করতে হলো।

---

রেস্টুরেন্ট এর লোকেশন ও ডেকোরেশন:

রেস্টুরেন্টের নাম কাসাব রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টটি বগুড়া জেলার জলেশ্বরীতলায় অবস্থিত।এখানে বগুড়া শহরের প্রায় বেশিরভাগ রেস্টুরেন্ট রয়েছে। রেস্টুরেন্টে খুব একটা বড় না হলেও,;ভেতরে লাইটিং বেশ ভালই ছিল। ফলে সাধারণ দর্শনার্থীদের ভালোই আকর্ষণ করবে।

আমরা যা যা অর্ডার করলাম:

---

১. দুটি সেট মেনুর প্লেটার।(ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চিকেন মাসালা, সালাত ও খেজুর)।

২. দুটি পানি

---

নির্দিষ্ট সময় পর আযান দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পানি মুখে দেওয়ার মাধ্যমে ইফতারের সূচনা করলাম। ফ্রাইড রাইস টা বেশ ভালোই ছিল। চিকেন মাসালা ও মন্দ ছিল না। চিকেন মাসালা দিয়ে ফ্রাইড রাইস খেতে বেশ ভালোই ছিল। সর্বশেষে খেলাম চিকেন ফ্রাই। চিকেন ফ্রাইটা মোটামুটি ছিল। সেট মেনুর প্রতিটি প্লেটারের দাম ছিল ১৭০ টাকা করে। দুটি পানি ৩০ টাকা ছিল। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে মোট ৩৭০ টাকা বিল পরিশোধ করে রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে পড়লাম। সব মিলিয়ে প্রথমবার বাইরে ইফতারে বেশ ভালো সময় কেটেছিল।