মামার বাড়ি রসের হাড়ি (৩য় দিন)
আজকে লিখব আমি আমার মামার বাড়িতে কাটানো তৃতীয় দিন অর্থাৎ আজকের দিন নিয়ে।তৃতীয় দিনের সকাল থেকে বাইরে বের হতে পারিনি।
আজকে সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি আবার কখনো বা মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।এজন্য সকাল থেকে নানুর বাড়িতে ঘর বন্দী জীবন কাটাচ্ছিলাম।সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠে বৃষ্টি দেখছিলাম।বৃষ্টির দিন গুলোতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না।আমি ভ্রমণপিপাসু মানুষ হওয়াই বাসায় বসে না থেকে বাইরে ঘুরতে বেশি পছন্দ করি।বৃষ্টির দিন গুলোতে মনের ইচ্ছা থাকলেও বাইরে যাওয়া সম্ভব হয় না।যার ফলে দিনটা একঘেয়েমিতেই কেটে যায়।
কিন্তু নানী বাড়িতে থাকার কারণে দিনটা মোটামুটি ভালোই কেটেছে।বাসায় অর্থাৎ বগুড়ায় থাকলে দিন টা হয়তো খুব খারাপ যেত।নানি বাড়িতে দিনটি ভালো যাওয়ার প্রধান কারণ হলো সেখানে যৌথ ফ্যামিলি হওয়ায় সবাই একসঙ্গে থাকে।দশটায় সকালের খাবার খেয়ে মামাতো ভাই বোনদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বসলাম।এরপর সবাই মিলে লুডু খেলতে বসলাম।কয়েকদান লুডু খেলার পর সবাই মিলে মুড়ি মাখা খেলাম।বৃষ্টির দিন গুলোতে সবাই মিলে একত্রে বসে মুড়ি খাওয়ার মজাই আলাদা।মুড়ি মাখা খেয়ে সবাই মিলে কিছুক্ষণ গল্পগুজব করলাম।গল্পগুজব করে ঘড়িতে লক্ষ্য করে দেখি দুইটা বেজে গেছে।বৃষ্টির দিন হওয়ায় সময় যে কোন দিক দিয়ে চলে গেল কিছু বুঝতে পারলাম না।এরপর গোসল দিয়ে সবাই দুপুরের খাবার খেলাম।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিকাল চারটায় বাড়ির বাহিরে বের হলাম।আকাশ কিছুটা পরিষ্কার ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হওয়াতে আকাশে তেমন একটা রোদ ছিলনা।অন্যদিনগুলোতে সাধারণত রোদের তীব্রতায় বিকাল ৫টার আগে বাইরে যাওয়া যেত না।বৃষ্টির দিনে বাইরে বের হয়ে নানীবাড়ির গ্রামীণ পরিবেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
আজকের পরিবেশ টা আরো বেশি শান্ত এবং কোলাহলমুক্ত ছিল।লোকজন ও বাইরে তেমন একটা ছিল না।জমির পাশের রাস্তায় কিছুক্ষণ বসে থাকার পর সন্ধ্যা সাতটায় আবার বাসায় ফিরে আসলাম।এরপর মামাতো ভাই বোনদের সঙ্গে টিভি দেখতে বসলাম।টিভি দেখা শেষে রাত ৯ টায় রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে গেলাম।
বিগত 2 পর্ব ভালো ছিল এবং শেষ পর্বটাও ভালো লাগলো। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে ।আপনার মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া মামার বাড়ির সুন্দর মুহূর্তগুলি শেয়ার করার জন্য।