জীবনের গতিময়তা
মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে থেমে থাকা বলে কোন কিছু নাই। জন্ম নেয়ার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একজন মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকে থাকার জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। অর্থাৎ মানুষের জীবন প্রক্রিয়া এক প্রকার চলমান কাঠামো। জীবনের এই গতিময়তায় স্থিরতা বা ধ্রুবকতার কোন স্থান নেই।
জন্মের সেই শুরু থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মানুষের জীবন প্রক্রিয়া একটি গতিশীল প্রক্রিয়ায় আবদ্ধ। জীবনের এই গতিশীল কাঠামো এবং নদীর স্রোতের মধ্যে মিল পরিলক্ষিত হয়।
জীবনের শুরু থেকে বেড়ে ওঠার প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের নিজ কর্ম করে যেতে হয়। বাল্যকালে যখন পড়াশোনা করতাম তখন মনে হতো অ-আ, ক-খ, ABCD পড়লে বুঝি পড়াশোনা শেষ হয়ে যাবে। তারপর যখন প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হলাম তখন মনে হতো পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়লেই বোধ হয় আর বলা লাগবে না। এরপর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ার সময় মনে হতো পড়াশোনা বুঝি মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্তই। উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে মনে হয় পড়াশুনা বুঝি অনার্স পর্যন্তই। অর্থ জীবনের শুরুর দিন থেকে এখন পর্যন্ত জীবনের গতিময়তার ধারা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। গতিময় ধরেই ধারা থেকে উপলব্ধি করা যায় যে, ভবিষ্যতেও এই গতিময়তা বজায় থাকবে। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে হবে, স্থির বা ধ্রুবকতার কোন স্থান নেই এই গতিশীল কাঠামোয়।
জীবনের এই গতিশীল কাঠামোয় জীবন সংসার টিকে থাকতে হলে গতিশীল কাঠামোর সঙ্গে অভিযোজিত হতে অর্থাৎ খাপ খাইয়ে নিতে হবে।
সময় তার নিজস্ব গতিতে চলে কিন্তু জীবনের তার গতিতে চললেও ভালো ও মন্দ বিষয়গুলিকে আমরা চালিয়ে নিয়ে যাই।সুন্দর ব্যাখ্যা করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।