মামার বাড়ি রসের হাড়ি (২য় দিন)
আজকে আমি লিখব নানিবাড়িতে কাটানো দ্বিতীয় দিন সম্পর্কে।নানি বাড়িতে কাটানোর দ্বিতীয় দিন টা অনেক মজার ছিল।প্রথম দিনে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমোতে যাওয়ার ২য় দিন অর্থাৎ আজকে খুব সকালে ঘুম থেকে উঠেছিলাম।ঘুম থেকে উঠে দেখি বড় মামি পিঠা বানাতে বসেছে।ফ্রেশ হতেই আমার খাওয়ার জন্য বাটিতে করে পিঠা রেডি করল।বড় মামির হাতের তৈরি দুধ পিঠা,পুলি পিঠা,তেলেভাজা পিঠা সবাই মিলে একত্রে খেলাম।খাওয়া-দাওয়া করে নানিবাড়ির কিছু বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিলাম।ওখানকার বন্ধুবান্ধবরা সবাই খুব মিশুক।যার ফলে অনেকদিন পর দেখা হওয়াতে ও তারা খুব তাড়াতাড়ি আপন করে নিল।ছোটবেলায় যে ওদের সঙ্গে কতটা সময় ব্যয় করেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই।সবাই মিলে একত্রে গোল্লাছুট খেলা,মার্বেল খেলা,দৌড়াদৌড়ি খেলা সহ আরো কত রকমের খেলা খেলেছি তা বলে শেষ করা যাবে না।ওদের সঙ্গে ভালো সময় কাটানোর পর ১২ টার আগে নানি বাড়ি ফিরে আসলাম। শুক্রবার হওয়ায় জুম্মার নামাজের জন্য এত দ্রুত ফিরতে হল।
ফিরে এসে গোসল করে সবাই মিলে খাওয়া দাওয়া করে নামাজ পড়তে গেলাম।নামাজ পড়ার পর মসজিদ থেকে ফিরে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করে দুপুরের খাবার খেলাম।দুপুরের খাবার খাওয়ার পর একটা ঘুম দিলাম।ঘুম থেকে বিকাল পাঁচটায় ওঠার পর মামাতো ভাই-বোনদের সঙ্গে ঘুরতে গেলাম।আমার মামার বাড়ি গ্রামের মধ্যে হওয়ায় গ্রামের পরিবেশটা খুব মনোরম ও নিরিবিলি ছিল।সবাই মিলে খুব মজা করলাম।সন্ধ্যা সাতটায় আবার নানি বাড়িতে ফিরে আসলাম।ফিরে এসে সবাই মিলে টিভি দেখতে বসলাম।এরপর রাতের খাবার খেয়ে আবার ঘুমাতে গেলাম।যাই হোক নানী বাড়িতে কাটানো দ্বিতীয় দিনটা মোটামুটি ভালই কাটল।আজ আপাতত এই পর্যন্তই।সবাই ভাল থাকবেন,সুস্থ থাকবেন এই কামনায় করি।
খুব সুন্দর লাগছে আপনার গল্প গুলো
আমি আপনার বিগত পোস্টগুলো পড়েছি এবারেরটাও বললাম ভালো লিখেছেন মামার বাড়ি সম্পর্কে ধন্যবাদ।