কাচ্চি কান্ড রেস্টুরেন্ট এবং এর খাবারের রিভিউ ||10% beneficiaries for shy-fox ||
বলা হয়ে থাকে-"বাঙালিরা ভোজন রসিক জাতি"। আমিও বাঙ্গালী। সুতরাং আমিও এর ব্যতিক্রম নই। সুন্দর সুন্দর লোকেশনে ঘুরতে যেতে এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। কোথাও ঘুরতে গেলে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্টগুলোতে খাওয়ার চেষ্টা করি। তবে সব রেস্টুরেন্টের খাবারের যে আমাকে আকৃষ্ট করে তা নয়। কিছু কিছু রেস্টুরেন্টের খাবারের মান অনেক উন্নত এবং দামও মোটামুটি সামঞ্জস্যপূর্ণ। খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে এইসকল রেস্টুরেন্টকেই আমি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। এমনিতেই আমি ছাত্র মানুষ,তার মধ্যে খুব একটা আয়-উপার্জনও নেই।ফলে ইচ্ছা থাকলেও নামিদামি রেস্টুরেন্টের দামি খাবারগুলো খেতে পারি না। যাইহোক আমার চাহিদার সঙ্গে মিল বিদ্যমান বগুড়ায় এরকম একটি রেস্টুরেন্ট হল কাচ্চি কান্ড। এখানকার শাহী মাটন কাচ্চি এবং মোরগ পোলাও খেতে বেশ সুস্বাদু। আমি আজকে এই রেস্টুরেন্ট এবং এর খাবারের রিভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।
বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলা অনেক উন্নত একটি অঞ্চল। সাধারণত বিখ্যাত কাপড়ের শোরুম এবং সুন্দর সুন্দর রেষ্টুরেন্টগুলো বগুড়ার এই অঞ্চলে অবস্থিত। ফলে এই অঞ্চলটি শুধু বসবাসের জন্য গড়ে ওঠেনি, বরং বাণিজ্যিক অঞ্চল হিসেবেও ভালই বিখ্যাত। অতীতের রেস্টুরেন্ট গুলোর তুলনায় বর্তমানের রেস্টুরেন্ট গুলো ভিন্ন আদলে তৈরি। কারণ কিছু বছর পূর্বেও মানুষ শুধু খাবারের মানের উপর নির্ভর করে রেস্টুরেন্টে যেত। কিন্তু বর্তমানে সবাই চাকচিক্যময় এবং খাবারের মান উভয় বিষয়ই প্রাধান্য দেয় রেস্টুরেন্টে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আর রেস্টুরেন্টগুলোতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি উঠিয়ে ফেসবুকে আপলোড করে। যাতে করে ছেলে কিংবা মেয়েরা ছবিগুলো দেখে ইমপ্রেস হয়।হা হা হা। আপনাদেরকে আমার পোষ্টের মাধ্যমে একটুও বিনোদন দেয়ার চেষ্টা করলাম। আমাদের পোস্টগুলো পড়ে যদি পাঠকরা একটু মজাও না পায় তাহলে এক সময় তারা পোষ্ট পড়া ছেড়ে দেবে।
যাই হোক মূল কথায় আসা যাক। কাচ্চি কান্ড রেস্টুরেন্টটিও বগুড়া শহরের জলেশ্বরীতলাতে অবস্থিত। এই রেস্টুরেন্টটিও মূলত বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানির হলেও ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট গুলোর মতই বেশ চাকচিক্যময়। ছবিগুলোতে তা বুঝতে পারবেন। রেস্টুরেন্টেটি বেশ ছোটই বলা চলে। বিরিয়ানির হোটেলগুলোর মত অতটা বড় নয়। মাত্র দুটি টেবিল এবং তার চারপাশে বসার জন্য রয়েছে কয়েকটি করে টুল। রেস্টুরেন্টের টেবিল এবং বসার টুলের কাঠগুলো বেশ উন্নত মানের।সেই সঙ্গে রেস্টুরেন্টের ভেতরে পর্যাপ্ত আলোর জন্য উন্নত মানের লাইটিং এরও ব্যবস্থা রয়েছে। যার ফলে এখানে ছবি উঠালে ছবিগুলোতে যে কাউকেই খুব সুন্দর দেখায়। ফলে ভোজন রসিক মানুষদের জন্য একসঙ্গে দুটো কাজই হচ্ছে। এ তো গেল কাচ্চি কাণ্ড রেস্টুরেন্ট এর বর্ণনা।
এখন রেস্টুরেন্টের খাবারের কোয়ালিটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। রেস্টুরেন্টে কি কি খাবার পাওয়া যায় তা আপনারা মেনু কার্ডে ইতোপূর্বে দেখেছেন। এখানে নানান আইটেমের খাবার পাওয়া গেলেও,শাহী মাটন কাচ্চি এবং শাহী মোরগ পোলাও এ দুটি খাবারই আমায় সব থেকে বেশি ভালো লাগে। ভালো লাগে বলতে কম রেটের মধ্যে বেশ ভালই বলা চলে। আমি আজকে অন্য কাজের জন্য সাতমাথায় গেলেও, রেস্টুরেন্টটিতে আবাবা গেলাম। এবার অবশ্য কম টাকা থাকার কারণে শাহী মোরগ পোলাও খেলাম। শাহী মোরগ পোলাও খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। রেষ্টুরেন্টটিতে এই ছিল আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত এবং খাবার খাওয়া। এখন রেটিং দেওয়ার পালা।
রেষ্টুরেন্টটিকে আমি ১০ এর মধ্যে ৬.৫ দিলাম।
খাবারের কোয়ালিটির দিক দিয়ে আমি ১০ এর মধ্যে ৭.৫ দিবো।
ধন্যবাদ সবাইকে।
@mahamuddipu
Photography | @mahamuddipu |
---|---|
Device | Vivo Y19 |
Location | Link |
রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে আপনি খুবই সুন্দর বিবরণ দিয়েছেন। সেইসঙ্গে রেস্টুরেন্টের খাবারের বর্ণনাও করেছেন। আর সর্বশেষ খাবার এবং রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন এর রেটিং দিয়েছেন। সব মিলে অনেক সুন্দর ভাবে রেস্টুরেন্টে রকমের খাবারের রিভিউ দিয়েছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।