এখন পুরোদমে শীতকাল চলছে।এই সময় আমাদের দেশের বিভিন্ন গ্রামীণ অঞ্চলে সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের এই সভাগুলো গ্রামীণ মানুষের কাছে অনেক বড় উৎসবের মতো। গ্রামে সভার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হলে গ্রামের প্রতিটি বাড়ির লোকজন তাদের নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে।বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের পাশের গ্রামে একটি সভার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। ওই গ্রামের উক্ত সভায় অনুষ্ঠানটি আমিসহ আমার কয়েকজন বন্ধুরা মিলে বেশ ভালোই উপভোগ করি। আর আজকে আমি গ্রামের ওই সভা অনুষ্ঠান উপভোগের সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব।

আমাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী গ্রাম হলো ধুতুর বাড়ি।ধুতুর বাড়ি গ্রামে বেশ কয়েক দিন আগে ওই গ্রামের ৪০ তম বছরের সভা অনুষ্ঠিত হয়।৪০ তম বছরের সভা অনুষ্ঠান উপলক্ষে গ্রামটিতে বেশ ভালোভাবে এবং বড় রকম আয়োজন করেই সভা অনুষ্ঠানটি উদযাপিত হয়।ওই গ্রামে আমাদের পরিচিত একজন বন্ধু কনকের বাসা। সভা উপলক্ষে সে কয়েকদিন আগে আমাদেরকে বলে রেখেছিল। ওর কথা রাখার জন্য সবার দিনে আমি এবং আমার আরো একজন বন্ধু জোবায়ের মিলে সন্ধ্যার পর পর ওই গ্রামের দিকে রওনা হলাম।গ্রামের প্রবেশের পরই সুন্দর আলোকসজ্জা এবং লাইটিং দেখে মন ভরে গেল। সভার স্থানটিও চিনতে আর বাকি রইল না। সেখানে গিয়ে প্রথমে দূরে থেকে সভা অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ ভিউটি মোবাইলের ক্যামেরায় উঠানোর চেষ্টা করলাম। এরপর কনককে ফোন দিতেই সে আমাদের রিসিভ করে নিয়ে সভার ভেতরে নিয়ে গেল।গিয়ে প্রথমে আমরা পেঁয়াজু এবং চা খেলাম। এরপর সভার সম্পূর্ণ অংশ পর্যবেক্ষণ করলাম।সভার প্যান্ডেল গুলো ঘুরে দেখার পর নাগরদোলায় উঠলাম। অনেকদিন পর নাগরদোলায় উঠে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।সর্বশেষ হালিম খেয়ে এবং সবার ওয়াজ মাহফিল এর প্যান্ডেলে গিয়ে ঘুরে দেখলাম।

সব মিলে সুন্দর একটি সন্ধ্যা উপভোগ করেছিলাম।সভা হলো গ্রামীণ অঞ্চলের ঐতিহ্য। গ্রামীণ অঞ্চলের এই সভার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশী লোকজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায়। এছাড়াও বছরে একবার গ্রামের লোকজনরা ভালোভাবে বিনোদিত হতে পারে।সভার ওয়াজ মাহফিল থেকে সুন্দর এবং কার্যকরী কথা শুনার মাধ্যমে নিজেদের নৈতিকতাবোধের বিকাশও ঘটানো সম্ভব।সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং নিজের কাছের মানুষদের খেয়াল রাখবেন।