মেলা মানে খুশির আমেজ, মেলা মানে উৎসবমুখর পরিবেশ। যার ফলে যেকোনো খারাপ সময়ে মেলায় গেলে মনটা ভালো হয়ে যায়। শুধু যে আমরা খারাপ সময়ে মেলায় গিয়ে মন ভালো করতে পারি তা নয়, আমাদের খুশির সময়গুলো আরো বেশি উৎসবমুখর করতেও আমরা মেলায় যাই। কয়েকদিন আগে আমি আমার একটি পোস্টে এই শিল্প পণ্য মেলা রিভিউ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি এই মেলায় কাটানো আমার সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। তাহলে চলুন এই মেলায় গিয়ে আমার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত নিয়ে আলোচনা শুরু করা যাক।
![IMG-20220122-WA0025.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmXNuVqRYt39YD1Dr7R4NwJuBX7hCifeHzHWD7WWK6Tsji/IMG-20220122-WA0025.jpg)
![IMG-20220122-WA0007.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd4duGCitwyxEfW4np8R3GikvN353WDWJSTXx9jMYiM9z/IMG-20220122-WA0007.jpg) | ![IMG-20220122-WA0017.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUPNskEicswbV9Q43sVZmfLBGu7unCradxg5M79gjhgNz/IMG-20220122-WA0017.jpg) |
মূলত গত শুক্রবার আমি এবং আমার মামাতো ভাই মিলে আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে এই মেলায় যাই। আর এ ধরনের মেলাগুলো সাধারণত বিকাল থেকে জাঁকজমকপূর্ণ হতে শুরু করে। মেলায় প্রবেশের পর আমার এক ছাত্র এবং বন্ধুর সঙ্গেও দেখা হয়। যে কোন মেলায় সাধারণত একা ঘোরার থেকে অনেক কয়েকজন মিলে ঘুরলে বেশি আনন্দ করা যায়। ওদের পেয়ে আমাদের দল ভারী হল। এমনিতেই মেলায় অনেক ভিড় থাকে, তার মধ্যে আবার শুক্রবার। সব মিলে এক প্রকার জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছিল। মেলায় এতটা ভিড় ছিল যে, কিছু দূরে যেতে না যেতেই লোকজনের সঙ্গে ধাক্কা খেতে হয়। আমরা প্রথমে মেলায় গিয়ে নিজেদের বেশ কয়েকটা সেলফি উঠালাম। অতঃপর সম্পূর্ণ মেলায় বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করলাম। ঘোরাঘুরি করার সময় আবার আমার একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এর সঙ্গে দেখা হলো। তিনি আমাদের বিয়াম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ এর বগুড়া শাখার গণিত বিভাগের শিক্ষক। উনাকে পেয়ে আমাদের আনন্দের মাত্রা আরো বাড়িয়ে গেল। স্যারের সঙ্গে আমরা গুড়ি দিয়ে বেলুন ফাটানো খেলায় অংশ নিলাম। শফিক স্যার অবশ্যই খেলায় বেশ পারদর্শী ছিলেন। আমরা গুলি দিয়ে নির্দিষ্ট বেলুন ফাটাতে না পারলেও, উনি বেশ দক্ষতার সঙ্গেই নির্দৃষ্ট বেলুনটি ফাটাছিলেন। এরপর স্যারের সঙ্গে আমরা সবাই মিলে কিছু ছবি উঠালাম। অবশ্য আমরা বাণিজ্যমেলার ভেতরের দোকানগুলো থেকে জিনিসপত্র না কেনার চেষ্টা করেছি। কারণ মেলার ভিতরে জিনিসপত্র এবং খাবারের দাম অনেক বেশি ছিল।
![IMG-20220122-WA0029.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmcc59Da4kFMzGRghykRgV5mBp4ASq3W9yh9hjpoZNfsNb/IMG-20220122-WA0029.jpg)
![IMG-20220122-WA0033.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmQjc7W7rqdq2uPsUHfBhjiq1zxuHwc9RgGN45WEtYTSCm/IMG-20220122-WA0033.jpg) | ![IMG-20220122-WA0019.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmdE2tg9pxZN6ptMwL56RBQUCox3xZDUo3RFTurQGnyLFn/IMG-20220122-WA0019.jpg) |
আমরা বিকাল চারটায় মেলায় গিয়ে ফিরতে ফিরতে প্রায় রাত আটটা বেজে গিয়েছিলো। কখন যে রাত একটা বেজে গেছে তা একদমই বুঝতে পারিনি। আসলে আনন্দের সময় গুলো চোখের পলকে খুব দ্রুত চলে যায়। তবে আমি সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছি যে বিষয়টির কারণে তা হল এই করোনা ভাইরাসের মহামারী সময় লোকজনের এতটা ভিড় দেখে। করোনাভাইরাস এতটা সময় ধরে স্থায়িত্ব লাভ করেছে যে লোকজনের মধ্যে এ ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার ভয় তেমন একটা নেই বললেই চলে। যাই হোক সব মিলিয়ে আমাদের সবার খুব সুন্দর একটা দিন কেটে গেল।
➡️ মেলাতে ঘুরতে কার না ভালো লাগে, আমি নিজেও মেলাতে ঘুরতে খুব পছন্দ করি। বিশেষ করে আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় মেলা দেখতে যাই। কিন্তু এবছর বাণিজ্যমেলার শিল্পকলা কোন কিছুই দেখা হলো না। আপনার কাছে আজ দেখে মেলাতে যেতে খুব ইচ্ছে করতেছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।